মরিয়মের নদী হতে ইচ্ছে করে
মরিয়মের নদী হতে ইচ্ছে করে, কলোরাডো নদী– ফিরোজা সবুজ রঙ! তাকে জড়ো করতে বলি পাতা, মর্মর, মিহি বালির মুকুট, মদিরার আস্ফালন। সে সকল জড়ো করলে, পৃথিবীকে কাত হতে বলি; সম্পূর্ণ পৃথিবী হয়ে উঠে কলোরাডো নদীর নমিত গহ্বর।
একজোড়া ডাকাতিয়া
কুমুদ চলে গেলে আমরা ক’জন শোকের মাতম তুলি ঈষদুষ্ণ পোশাক ছিঁড়ে তন্নতন্ন করে খুঁজি মরণদূত, এদিকে বাড়িওয়ালা বিছানাপত্র বদলে টু-লেট ঝুলিয়ে দেয়। কুমুদ ডাকে– সাইফুল, আমার সম্পূর্ণ কবিতাটি সিঁড়ি বেয়ে নেমে যায়, তাকে একটা বাসা খুঁজে দে। আমি বাসা খুঁজতে বেরোই তখনও কয়েকজনকে বলতে শুনি– আহা বেচারা কুমুদ জীবনের কাছে হেরে গেল! মানুষ কি জীবনের কাছে হেরে যায়, কুমুদ?
এ শহরের প্রতিটি কপাটে টোকা দেই, ওয়াক্ত মাফিক লেহন করি স্বেদবিন্দু, আমার বিচ্যুতি দেখে ঈশ্বরও হেসে উঠে তবু সহঅবস্থান করার মতো কোনো স্থান খুঁজে পাই না।
কুমুদ ডাকে– সাইফুল, সম্পূর্ণ কবিতাটি নদীতে ফেলে দে।
নদী কোথায় পাব?
– প্রত্যেক করতলে বয়ে চলে একজোড়া ডাকাতিয়া!