সীমা শামীমার তিনটি কবিতা
কোনো কোনো মন খারাপ খুব একা হয়
সিটকে পড়া ট্রেনের বগির মতো আনএটেন্ডেট,
অন্ধকার খসে পড়ে স্মৃতির আরশিতে–
দৃষ্টিহীন কুয়াশার মতো বিছিয়ে থাকা এলোপাথাড়ি ভালবাসা ডিঙিয়ে যায় বেদনার ঘাসফুল,
না সময় না কোনো পথভোলা নক্ষত্র, কেউ তাকে ছুঁয়ে দেখে না।
জানি কোনো এক বাতাবি রাতে
উড়ে যাবে ভালোবাসা
ছিপি খোলে রাখা আতরের মতো।
সেই ঈর্ষান্বিত প্রেম
সেই প্রখর সূর্যের মতো প্রেম,
ঢাকা পড়বে জানি
রমণীর ঠোঁট বাঁকানো হাসির অন্তরালে।
ঋতু বদলের মতোই পরিবর্তিত হবে ভালবাসার নাম।
কলাবতী রাত ভুলে যাবে হলুদ পাতার গান
বাতাসের প্রতিটি নিঃশ্বাস ভালোবাসা মুক্ত হবে,
আমিহীনতায় উল্লাসে নেচে উঠবে বায়বীয় মেঘ
সোহাগের ঘুঙুর হয়ে বাজবে বৃষ্টির উর্বশী পায়।
জেনে রেখো সেদিন পৃথিবীর মতো আমিও ডুবে যাবো
পাথর কালো অন্ধকারে।
মহাসমুদ্রের মতো খুলে দেব বুক আগ্রাসী ঘূর্ণিঝড়ে!
সময়ের খোলসে অজস্র কালশিটে গুটিয়ে থাকা মৌনতারা জানে যে
কতোটা রাত পেরুলে জেগে উঠে ঘুম
আড়ভাঙা সুবহে-সাদিক ক্রমশ ফিকে হতে হতে কখন ডুবে যায় রক্তস্রোতে, টের পায় মুয়াজ্জিন।
প্রার্থনার অধিক ছুঁয়ে থাকা হাত ডেকে নেয় চোরাবালিতে।
হায় বিষণ্ণ চিল! কেনো ডাকো নির্জনে?
গজভুক্ত কপিত্থের ন্যায় পড়ে থাকা মন কেনো কাষ্ঠকুটের চুম্বনে ছুঁয়ে যাও?
অজস্র নিরবতায় বন্ধ চোখ জানে, কতোটা সমুদ্র ডুবে থাকে গহিনে।
কতোটা স্মরণ, কতোটা ভেজায় চোখ!