জেসিকা আক্তার জেসি

ঝুলে থাকা বাঁদুর

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

জেসিকা আক্তার জেসির দুটি কবিতা


ঝুলে থাকা বাঁদুর


জ্বরে পুড়ে যায় হৃৎপিণ্ড বুকের ভিতর তবুও যেন বাহিরে সবকিছু ঠিকঠাক ভিষণ
গ্রীষ্মের স্বচ্ছ আকাশে কোথায় থেকে যেন পেঁজা তুলোর মতো ভেসে আসে মেঘ–

তীর্যক রোদে পুড়ে যায় ধানক্ষেত আর ফসলের মাঠ তার’চে বেশি পোড়ে আমার মন
মেঘ জমে আমি উৎফুল্ল চোখে শীতলতার অপেক্ষায় থেকে থেকে–

অনুভব করি, ধানক্ষেত নীল হয়ে গেছে পৃথিবীর কোথাও শুদ্ধতা নেই আর
একটু উষ্ণতার খোঁজে বাঁদুর হয়ে ঝুলে থাকি অন্ধকার রাতের ভিতর–

যদি একটু সহানুভূতি পাই যদি মেনে নেয় সে আমার ভালোবাসার আবেদন
কিন্তু তার কাছে সমস্ত প্রেম আর আবেদন শিমুল হয়ে ঝরে যায়–

তারপর রূপান্তরিত হয় হেমন্তে বুড়িয়ে যাওয়া একটি কুমড়ো পাতায়
এবং একসময় রাতের পেটে ঢুকে ঢেকে নিয়ে আসে সব’চে বেশি নিঃসঙ্গতা।


শেষ চোখ


মৃত্যুর স্থির চোখ দিয়ে যায় কেয়ামতের খণ্ড খণ্ড নমুনা
এসো, ভাগ করে সাজিয়ে রাখি তাকে
এক চোখ পৃথিবীতে তাকিয়ে আছে কমলার কোয়ার উপর–

দেখছে হেমন্তে মরে গেছে খড়ের সবুজ রং, কুমড়ো ফুল
ঝড়ে পড়ে গেছে
দেখা কি শেষ? না, ভাসছে প্রিয়ার আলোকতার চোখ,
দুঃখের আকাশ আর সুখের আঁচল–

গোল্লাছুটের দৌড়, সবুজ পোশাক আর অ আ ক খ এখনও হয়নি দেখা?
না, দেখছি প্রত্যাখানের চিঠির অক্ষর আর দীঘির মরা মাছের শরীর–

আমার দম আটকে আসছে এখনও কি দেখা শেষ করা যায় না, আরেক চোখের রঙের কথা বলি?
গোলা চোখে দেখা যায় শুধু অন্ধকার, এমন অন্ধকারে ঢাকা পড়ে গেছে গায়ের পশম–

ঢাকা পড়ে গেছে পৃথিবীর সূর্যের মাথা, শোনা যায় না নারীর হাসির শব্দ
এমন নিরবতায় চিৎকার করতেও বড্ড ভয়; কোথায় এলাম আমি?

মুক্তি পেয়ে অচেনা পথে হাঁটার শব্দ বাতাসের মতো হালকা হোক
দুঃখগুলো ঝুলে থাকুক আসমানে, আর আমি গুনে নিবো এক দুই তিন করে।

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu