মাসুদ চয়নের দুটি কবিতা “কুয়াশার মমি”এবং “ঘাস জন্মের ইতিকথা”
পথ ভুলে ডুবে গেছি আঁধারে;
নিঝুম সন্ধ্যার নিঃসঙ্গ পাখিদের সাথে
ধানের ছড়ার গল্প হৃদয়ে তুলি–
এ ছড়া নীড় হয়ে ওঠে;
সে নীড়ে স্বপ্ন সত্তা হয়ে গজায়–
পরিচ্ছন্ন পরিপাটি আয়না হয়ে ওঠে;
আয়নায় ধূসর ভবিষ্যতের আল্পনা আঁকছে মহাকাল;
আমি তার গন্তব্য খুঁজে খুঁজে ক্লান্ত দিকভ্রান্ত হই;
জাগতিক মসৃণ আগাছায় লেপ্টে ধূসরতায় হারিয়ে গেছে শাবক শৈশব
কত শত আলোকবর্ষ দূর হতে আলো হয়ে ফিরে আসে মাঝে মাঝে রাত হয়ে ভোর হয়ে কাল হয়ে;
মনের ক্যানভাসে মমি হয়ে ওঠে স্মৃতি তত্ত্বের বারান্দা;
সন্ধ্যার তীর ঘেষে রাঙা ভোর চেতনা ফিরে পায়–
নিমগ্ন আঁধারে বোধ খুঁজে পায় যাপন অনুধ্যান;
বোধের ভিতরে ঢুকে হয়ে উঠি কুয়াশার মমি।
পাথর পৃষ্ঠে চাপা পড়া নির্বাক ঘাস মৃত্যুকে মুক্তির স্বরূপ দিগন্ত মেনে অনাদি অনন্তের পথে অগ্রসর হতে থাকে;
জীর্ণ প্রাচুর্যের মতো জ্বলতে থাকা নিরুত্তর দীর্ঘশ্বাসগুলো ক্ষয়ে ক্ষয়ে আঁধারে লীন হলে
ভীষণ দাহ্যতায় নিষ্করুণ প্রতিবিম্বের মতো নুয়ে পড়ে;
দেহ পাজরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অবজ্ঞা অবগাহন বধির বিষন্নতা লেপ্টে নেয়;
পাথর তো স্তব্ধ দানব, হিংস্র হাঙ্গরের মতো পিষে ধরে অন্যায্য অধিকারে;
সে চায় রক্ত ঝরাতে,
নির্মল তারুণ্যের ভাষা কেড়ে নিতে।