মিছিলে মুষ্টিবদ্ধ হাত যারা আকাশে ছুঁড়ে মারতে পারে
যাদের শ্লোগানে জালিমের তখত থরথর কেঁপে ওঠে
সত্যের জন্য যারা উদোম করে দেয় বুক
বুকে ঠুকা দিয়ে বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে বলে
নে শূয়োরের বাচ্চা গুলি কর
এই দেশ আমার, এই দেশ কারও বাপের পৈতৃকসম্পত্তি না।
আমি আমার অধিকারের কথা বলতে এসেছি।
নে গুলি কর, না হয় পথ ছাড়।
এই দেশ আমার, এই বন্দুক আমার ট্যাক্সের টাকায় কেনা।
আমি লাথি মারতে এসেছি জালিমের বুকে
শহীদ কিংবা জয় ছাড়া সামনে অন্যকোন বিকল্প নাই আমার।
যারা মিছিলে যেতে জানে
যারা শ্লোগান দিতে জানে
তারা ময়দানের স্বভাব কবি, দ্রোহ পঙক্তি রচিত হয় তাদের মুখে মুখে।
পঙক্তিতে পঙক্তিতে তারা বলে যায়
“তুই জঘন্য স্বৈরাচার, এই মুহূর্তে গদি ছাড়।”
তারা হারামজাদাকে স্পষ্ট করে হারামজাদাই বলে।
দালাল কবি, নির্লজ্জ অধ্যাপক,
বদমাইশ ডক্টর, বিবেক বন্ধক দেওয়া রাজনৈতিক চ্যালা,
তেলবাজ মিডিয়া কর্মী, কপালে লাল টিপের নারীবাদীর মতো তারা পিচ্ছিল কথার ধারধারে না।
যারা মিছিলে যেতে জানে
যারা রাজপথ রাখতে জানে দখলে
তারা মুক্তির পঙক্তি রচয়িতা।
তাদের বুক ও পিঠ তড়িৎ গতিতে হয়ে পড়ে নুর হোসেনের কবিতা লেখার খাতা।
দেয়ালে দেয়ালে ইট রঙে লেখে
স্বৈরাচারের পতন ছাড়া আমি আর ঘরে ফিরব না।
মিছিলের কবিরা লেখে সত্যের কবিতা
তারা স্যুট টাইয়ের মতো এতো নিয়ম দোচে না।
বস্তুত অনিবার্য বিপ্লব রচনা করে নিজস্ব নিয়ম।