ছিন্নমূল

বুঝলি হারুন, পৃথিবীতে সবাই আপন আপন স্বার্থ গোছাচ্ছে। তুমার কথা কেউ ভাববে না। টাকা-কড়ি ধন-সম্পদ যা আছে তুমার জন্মের আগে যে ভাবে হোক মানুষ নিজেদের দখলে নিয়ে রেখে দিছে। তুমি চাইলেও কেউ তুমাকে এমনি এমনি দিবে না। তুমি যদি পেতে চাও তুমাকে অর্জন করতে হবে। অবশ্য তুমার বাবা যদি তুমার জন্য কিছু রেখে যেতো তুমি উত্তরাধিকার হিসেবে পেতে। তাও নেই। আমার বাবাও আমার জন্য কিছু রেখে যেতে পারে নি। দাদা কিছুটা রেখে গেলেও বাবা অভাবের সাথে লড়াই করে সেগুলো আগলে রাখতে পারেন নি, অন্যদের দখলে চলে যায়। তুমি আমি জন্মেছি নিঃস্ব হয়ে বেঁচে আছি ছিন্নমূল হয়ে। আর এই সিস্টেম আমাদের জন্য কিছুই রাখে নি। এখানে যার আছে তার আরও হোক যার নাই সে না খেয়ে মরুক। তুমার জন্য তারা একটুও ছাড়বে না। প্রয়োজনে তারা দেশের টাকা বিদেশে পাচার করবে, বেগমপাড়া করবে, চুরিকরে হেগে সেখানে চলে যাবে। দেখো না সেসব? তাদের সেই চুরি চামারির কাছে আমাদের এটাতো কিছু না হারুন, সিন্ধুর মাঝে বিন্দু!
মাসুদের লেকচার শুনে হারুন হাসে আর তার টাকা গুনা দেখে। এই মানিব্যাগে তারও হিস্যা রয়েছে।

হাসছিস ক্যান? মাসুদ প্রশ্ন করে। দিবে, তুকে কেউ মাগনা দিবে? যা না গিয়ে হাত পেতে দেখ কেউ দেয় কিনা। তুই কাজ করবি তুকে কে কাজ দিবে এখন? আর আমরাতো গরিব মারছি না। এদের পকেটে আমাদের দেদার হক আছে। হারুন হা করে তাকিয়ে মাসুদের কথা শুনে আর বোকার মতো দাঁত কেলিয়ে রয়।

তুই যা, চালচুলাহীন মানুষ তোকে কেউ মূল্য দিবে না। এখানে যত আইন-কানুন আর প্যারা সব গরিবদের জন্য। বড়লোক কেউ আটকাতে দেখছোস? তারা সব কায়দায় খাবে কিন্তু গরিবের চোখের জল মুছতে দিবে না…!

মাসুদ কিছুটা লেখাপড়া জানা লোক। মাঝে মধ্যে বুদ্ধিজীবীদের মতো কথা বলে। যথেষ্ট চালাক আর সাহসী ছিলো লোকটা। রসিকতাও করতো বেশ। শেষবার যখন ধরা খেলো মোবাইল ছিন্তাইয়ের ঘটনায়। কোন সরকারী বড় কর্তা সাহেবের মোবাইল নাকি রাস্তা থেকে ছুঁ মেরে নিয়ে পালিয়েছিলো। অবশ্য হারুনের ধারণা মোবাইলটি মাসুদ ছিন্তাই করে নি। পুলিশ তাকে খামোখা ধরেছিলো। তার কিছুদিন পর হারুনও ধরা পড়লো পুলিশের হাতে। তারপর আর একে অন্যের কোন খোঁজ জানে না। এই সময় যদি মাসুদ তার পাশে থাকতো তাকে এভাবে কাটাতে হতো না। উপায় একটা হয়ে যেতো। জেলের চাইতে বাইরের দুনিয়া আরও কঠিন! দেশে ছিত্তম চলছে। এর চাইতে জেলটা তার কাছে কতো ভাল ছিলো। থাকার জায়গা দেয়, সময়মত আহার দেয়, অসুখ হলে চিকিৎসা দেয়। কথা বলার মানুষ মিলে। কারও ফায়-ফরমায়েশ খাটলে উচ্ছিষ্ট হলেও কিছু জুটে। এখানে কেউ কাউকে জিকায় না, কেউ কাউরে চিনে না। ঈশ^রের এতো বড় দুনিয়ায় না পাচ্ছে ভাতের নিশ্চয়তা না পাচ্ছে মাথা গুজার ঠাঁই। সবাই তার দিকে সন্দেহের নজরে তাকায়। অনাহার অনিদ্রায় এ কয়দিনে যা হাল হয়েছে তাকে পাগল কিংবা নেশাগ্রস্ত ছাড়া কী ভাবতে পারে?

মহামারি, লকডাউন আর মন্দায় কাহিল। রাশিয়া নাকি ওদিকে ইউক্রেন দখল করছে। দেশে শুরু হয়েছে আকাল। পকেটে টাকা নাই জিনিসপত্রের দাম যা বাড়া বাড়ছে। অভাবে নাকি কোথাও কোথাও মানুষ গলায় দড়ি দিয়ে মরছে। সরকারি আমলা-কামলা আর তাদের আশীর্বাদপুষ্ট ছাড়া কেউ ভালো নাই। করোনায় বেশুমার মানুষ চাকরি হারিয়ে হয়েছে বেফানা। ছোট ছোট ব্যবসায়িরা দিশাহারা। মুখে তাদের ভাষা নেই। আর ওদিকে রাস্তার দুপাশে সম্পদ। সম্পদের উঁচু নীচু পাহাড়ের নীচে সে রাস্তার ধারে পড়ে আছে ক্ষুদ্র কিটের মতো। যখন চোখ তুলে তাকায় হরেক রংয়ের ঝিলিক দেখে তার চোখ পোড়ে। ‘কেউ তাদের অধিকার থেকে তার জন্য একটুও ছাড়বে না। হয় মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অর্জন করো না হয় লুট করো!’

তার পুরনো খেয়াল মাথার মধ্যে সুড়সুড়ি দেয় কিন্তু শরীরে সে তাকত এখন নেই। আশপাশে কোথাও মারামারি হয়েছে। এক সুদখোর কিস্তির টাকার জন্য এক দিনমজুরকে পিটিয়ে বেঁধে রেখেছে। লোকগুলো তার থেকে বেশ তফাতে দাঁড়িয়ে কথা বলছে। ওদিকে হাঁটে নাকি এক পকেটমারকে ধরে বেদম পিটুনী দিছে। শুনে তার গাটা শিউরে ওঠে!
সে চুপচাপ বসে আছে। কেউ তারে জিকায় না।

মেঘাচ্ছন্ন বিকেলটাকে সেই কখন হারিয়ে গেছে সন্ধ্যার চাদরে। সন্ধ্যার পর এক পশলা বৃষ্টিও হয়েছে। এখন বৃষ্টি নেই তবে আকাশটা মেঘভার। অন্ধকার পুরোটা গিলে ফেলছে। শো শো করে বইছে বাতাস। হঠাৎ দমকা বাতাসের ঝাঁপটায় গাছের পাতায় জমে থাকা পানি ঝরঝর করে ঝরে পড়ে। কখনো একটা দুইটা গাড়ি এলে হেড লাইটের আলোয় সামনের রাস্তা ভেসে ওঠে। রাস্তা, রাস্তার দুপাশের ড্রেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়াল এসব। ওদিকে রাস্তার পাশে বড় গোরস্থান। গোরস্থানের শেষ মাথায় মসজিদের বারান্দার সামনে বৈদ্যুতিক বাতি জ¦লছে। বিকেলে মিলাদ হয়েছিলো। গেইটের বাইরে থেকে কোন রকম এক পকেট আখনী নিজের ভাগে আনতে পারছিলো বলে পেটের ক্ষুধা এখনো কিছুটা শান্ত আছে। পর পর দুটি এ্যাম্বুল্যান্স দ্রুত গতিতে চলে যায়। চায়ের দুকান সন্ধ্যার পর বৃষ্টি নামার আগে ভাগেই বন্ধ করে চলে গেছে। মাটির চুলায় পানি ছিটিয়ে গেলেও উত্তাপ এখনো শেষ হয়ে যায় নি। কুকুর দুটো চায়ের চুলার পাশ ঘেষে শুয়ে আছে। রাস্তার দিকে কেন জানি তাদের সতর্ক দৃষ্টি। মাঝে মাঝে ঘেউ ঘেউ করে কোন গাড়ির পিছু ধরে। কিছুদূর গিয়ে আবার ফিরে আসে।

বেঞ্চের নীচে হেলান দিয়ে ঝিমুতে ঝিমুতে আরেকটু কাত হয় হারুন। পাশদিয়ে কখনো গাড়ি হর্ণ বাজিয়ে চলে গেলেও চোখ খোলে তাকায় না। কুকুর দুটিও শান্ত চুপচাপ আছে। বাতাসের ঢেউ গোরস্থানের ওপর আছাড় খেয়ে সেখান থেকে আবার লাফ দিয়ে উঠে। বিজলীর সাথে মেঘ ডাকে। তার চোখ ভারি হয়ে আসে। বিজলীর চাবুক পেটা মেঘের গর্জনে আসমান ভেঙ্গে বারিষ নামে। বৃষ্টির তোড়ে নদী ফুলে ফেঁপে উতালা হয়ে তীরে কামড় বসায়। তারপর বাড়িঘর সুদ্ধা গিলে নিয়ে শান্ত হয়। বৃষ্টি থামে। আসমানও ফর্সা হয়। তারপর আসমান আবার ধোঁয়ায় কালো হয়ে যায়। দাউ দাউ করে আগুন জ¦লে শহরের উপকণ্ঠে বস্তিতে। গরিবের ঘর পুড়ে, সংসার পুড়ে। বই খাতা সব পোড়ে ছাই হয়ে যায়। সে আগুন নিভতে না নিভতে আগুন জ¦লে কারখানায়। ‘স্যার লাশ না পেলে হাড্ডি এনে দেন’ মানুষের রোনাজারির মধ্যে সে তার মাকে খুঁজে। বিচরাইতে বিচরাইতেও তার মা জননীকে খোঁজে পায় না। খোঁজতে খোঁজতে শহরে ফুটপাতেও খুঁজে। রাতে এখানে সেখানে ঘুমিয়েও পড়ে। জানতে পারে ঢাকা শহরে টাকা উড়ে। সেও টাকা ধরতে চায়, পারে না। সব টাকা বড় বড় নেটে আটকে যায়। সেখান থেকে বড় বড় হাত এসে নিয়ে যায়। এই টাকায় কি তার হিস্যা নেই? তার চোখ কেবল টাকার দিকে যায়। সুযোগ বুঝে ছুঁ মেরে দৌড় দেয়। পাবলিক যেভাবে দৌড়ায় মনে হয় তাদের বাবার টাকা নিয়ে দৌড় দিছে। সে থামে না। পুলিশ তাকে দৌড়ায়। সে হাঁপিয়ে ওঠে…!
গাড়ি ব্রেক কষলে সামান্য ঝাকুনি খায়।

দুজন পুলিশ গাড়ি থেকে নামে। সাথে আরও একজন নামে। তারা এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখে। তারপর পাশের গলিপথে ঢুকে পড়ে। গাড়িতে বসা দুজন পুলিশ চুপচাপ মোবাইলে আঙ্গুল ঠেলছে। ছেলেটি তার পাশে মাথা নত করে বসে আছে। কখনো বাইরের দিকে একটু তাকালেও আবার চোখ নিচে ফিরিয়ে আনছে, কোন কথা বলছে না। মেয়েটিকে রাখা হয়েছে সামনের সীটে। ওড়না দিয়ে ঘোমটা টেনে এক কোনে ভেজা মুরগীর মতো গুটিয়ে বসে আছে। কোথা থেকে ধরে আনছে কে জানে? তাকেও বা কেন ধরছে সে উত্তরও তার জানা নাই। সেখানে একটু ঘুম এসেছিলো, কোত্থেকে এসে ধরে গাড়িতে উঠায়। পুলিশের কাজই হচ্ছে ক্রিমিনাল ধরা। থানায় নেয়া, কোর্টে চালান দেয়া, রিমান্ডে আনা। থানা-হাজত, কোর্ট এসবে সে অভ্যস্থ। জেলের পরিবেশের সাথে নিজেকে ভালো ভাবে মানিয়ে নিছে। তার কাছে এখন বাইরের কারাগার থেকে ভেতরের জেলটা সুবিধেজনক। তার একটা ব্যবস্থা তারা করে দিচ্ছে হয়তো। ওদিকে পুলিশ হয়তো আরও দু একজনকে ধরতে গেছে। হতে পারে কিছু আনতেও গেছে।
তারা খালিই ফিরলো। গলির মুখে দোকানে ঢুকে সিগারেট কিনে আগুন ধরিয়ে তিনজন ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে গাড়িতে উঠে বসে। গাড়ি আবার স্টার্ট হয়। রাস্তা প্রায় ফাঁকা তবুও পুলিশের গাড়িটি মধ্যম গতিতে চলছে। সামনের সিটের কর্ণারে বসা মেয়ে ঘুমাচ্ছে নাকি নিরবে চোখের পানি ফেলছে ঘোমটার আড়ালে কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। মাথা তুলে একবারের জন্যও এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না মেয়েটি।
হারুন এসব নিয়ে চিন্তিত নয়।

ঘুমের মধ্যে কি সব হাবিজাবি স্বপ্ন দেখে সকালে উঠে চোখ কচলাতে কচলাতেও তার মনে পড়ে না। মাসুদকে দেখেছিলো, কোথায় দেখেছে ঠিক মনে পড়ছে না। মাসুদের দু হাত ভর্তি খাবার। তার প্রচণ্ড ক্ষুধা কিন্তু তাকে দিচ্ছে না। হাত অনেক ওপরে তুলে বলে – দেখ নাগাল পাছ কিনা? হারুন হাত বাড়ায়, নাগাল পায় না। সে মাসুদকে অনুরোধ করে, মাসুদ দেয় না। বলে- পারলে কেড়ে নিয়ে খা! তারপর কী করেছিলো তার মনে পড়ছে না। পাশে ছেলেটি বসে আছে। হাজতে সারা রাত মনে হয় না ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। মেয়েটিকে রাখা হয়েছে আলাদা। ছেলেটা যেন আটকা পড়েছে চিন্তার খাদে। দেখে মনে হয় ভদ্রঘরের ছেলে। যদিও মামলাটি খুব বড় কিছু নয়, জেলে পাঠালেও দুদিনের মধ্যে জামিনে ছাড়া পাবে। যারা পেশাদার তাদের জন্য এসব ডাল-ভাত। কিন্তু এদের ইজ্জত বলে কথা! চাইবে যেভাবে হোক ইজ্জতটা বাঁচুক। যতো গড়াবে তত ডুববে। তাদের ইজ্জতের প্রশ্নে পুলিশের মওকা বেশি।

‘আরে মিয়া এতো চিন্তা করেন ক্যান, এটা তুচ্ছ ব্যাপার।’

‘ভাই, ভয়টাতো মান-সম্মান নিয়ে। মুখ দেখাবো কেমনে চিন্তা করছি।’ ছেলেটার নিরীহ উত্তর।

‘এতো মান-ইজ্জত নিয়া ঘুরলে হোটেল করতে গেলেন ক্যান, বিয়া করে ঘুরতে পারেন না?’

ছেলেটা চুপসে যায়। তার মুখে রা বের হয় না। চেহারাটা নিরীহ আর লজ্জা-কাতর।

সে আর কোন কথা বলে না।

বাসা থেকে ছেলে এবং মেয়ে পক্ষের গার্জিয়ান এসেছে থানায়। তারা ওসি সাহেবের সাথে কথা বলছে।

ওসি মারফত উল্লাহ আইনের মানুষ তিনি আইনের বাইরে গিয়ে কিছু করতে পারবেন না, ছেলে-মেয়ে দুটাকেই কোর্টে চালান দিবেন। ছেলে মেয়ে উভয় পরিবারের কেউ চাচ্ছে না বিষয়টি আর বেশিদূর গড়াক। তারা এখানেই মিমাংশা করে নিতে চায়। দুজন পাতিনেতাও সাথে নিয়ে এসেছেন।

‘ছেলে মেয়ে কোথায় যায়, কী করে আপনারা এসব দেখেন না? ঘটনা একটা ঘটলে দায় পুলিশের। পুলিশের নিস্তার নাই। সোজা কোর্টে চালান দিবো সেখান থেকে যা হবার হবে।’
ওসি সাহেব প্রথমে বেশ মেজাজ দেখালেও উভয় পক্ষের মুলামুলিতে পারদ নামতে নামতে মাকড়শাহর জালে ফাঁক বের হয়। তার গোঁফের নীচে এক ঝলক রোদ উঠলো। তিনি টেবিলের ওপর মোচলেখা পেপার রেখে কলমের মুখ খোলেন।

হারুন আবারও ঘুমিয়ে পড়েছিলো। তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে আনা হয়েছে। চোখ থেকে ঘুম ঘুম ভাব এখনো যায় নি। ওসি মারফত উল্লাহ যতোটা না তার ওপর তার চেয়ে বেশি বিরক্ত এএসআই গৌতমের ওপর। কোত্থেকে যে উদ্ভট একটাকে ধরে নিয়ে আসছে। যুৎসই পাগলও নয়। জেল, থানা,কোর্ট-কাচারি থেকে বাঁচতে যেখানে গরু-বাছুর বিক্রি করে নিয়ে এসে হাত-পায়ে ধরে সেখানে এ লোক উল্টো জেলে যেতে চায়।

‘কোত্থেকে যে এসব ফালতু লোক ধরে নিয়ে আসো, তুমাদের কমন সেন্স বলতে কিছু নাই। এটারে নিয়া খাট্রা খাইবা?’

‘নেশা-টেশা, চুরি-টুরি এরকম কেস দিয়ে চালান করে দেন স্যার।’

‘গর্দভ!’

ওসি মারফত উল্লাহর ধমকে এএসআই গৌতম চুপ হয়ে যায়।

ওসি রাগে খানিকটা অন্যমনস্ক তাকিয়ে রইলেন। তারপর তাকে হাত ইশারা করে বলেন-যা, চলে যা।

যাবার কথা শুনে হারুন দ্বিগুন বিস্ময়ে ওসির দিকে তাকায়! ‘চলে যাবো কিন্তু… ঐ স্যার ঠিকই বলেছেন, ছোটখাটো কোন মামলা, যেমন চুরি, নেশা এসব দিয়ে চালান করে দেন স্যার। এসব চুরি-ছিন্তাই করে আগেও জেলে ছিলাম স্যার…

‘চুপ! ফাইজলামো করছ হারামজাদা! বেরিয়ে যা না হয় এমন ডলানি দেবো একেবারে…টেবিলের ওপর জোরে চাপড় মারতে হারুন কেঁপে উঠে!
ধমক খেয়ে সে উঠে দাঁড়ায়। আমতা আমতা করে কী বলতে যেয়েও বলতে পারে না। একবার ঢুক গিলে আবার ওসির দিকে তাকায়। এক পা দু পা করে দরজার দিকে এগোয়। দরজায় গিয়ে আবার দাঁড়ায় এবং ফিরে তাকায়।

‘যাচ্ছি স্যার, তবে আবারো আসছি। জেলে আমাকে পাঠাতেই হবে!’ সে হনহনিয়ে বেরিয়ে যায়।

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
গল্প

একটা আষাঢ়ে গল্প

দূর সমুদ্রের মধ্যে একটা দ্বীপ। সেখানে কেবল তাসের সাহেব, তাসের বিবি টেক্কা এবং গোলামের বাস। দুরি তিরি হইতে নহলা দহলা

যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো

যখন মৃত্যুর ঘুমে শুয়ে রবো — অন্ধকারে নক্ষত্রের নিচে কাঁঠাল গাছের তলে হয়তো বা ধলেশ্বরী চিলাইয়ের পাশে — দিনমানে কোনো

গল্প

ক্ষুধিত খরায় জীবনের খতিয়ান

: কহছি, আর ভাত লিব্যা নাকি? খরখরে কণ্ঠে মতি জিজ্ঞাসা করে। চোখ ভর্তি ধোঁয়াটে বিতৃষ্ণা। ভাত নিবে কি নিবে না,

কবিতা

পৃথিবীতে এই

পৃথিবীতে এই জন্মলাভ তবু ভালো; ভূমিষ্ঠ হবার পরে যদিও ক্রমেই মনে হয় কোনো-এক অন্ধকার স্তব্ধ সৈকতের বিন্দুর ভেতর থেকে কোনো