প্রবাসিনীর আমবৌলা দর্শন-১


লেখিকা শেলী জামান খান আমেরিকা প্রবাসী। স্বদেশে এসে বরিশালের আগৈলঝাড়া’র আমবৌলা গ্রাম তাকে মোহিত করে। আমবৌলা গ্রামকে নিয়েই তার তিন পর্বের ভ্রমণ কাহিনি। এটি প্রথম পর্ব।


শশীপল্লীর দিনরাত্রি


বাংলার অপরূপ রূপ, সবুজ সৌন্দর্য যদিও এখন আর বাংলাদেশে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। এসব এখন কেবল গল্প আর রূপকথা বলেই মনে হয়। তার চেয়ে আমেরিকার শহর, উপশহর এবং গ্রামগুলো কী অপূর্ব। শুধু সবুজ আর সবুজ চারিদিকে। শীতের আগমনের প্রাক্কালে, ঋতুবদলের সময় পাতার সেকি বাহারি রঙ। সেসব রঙ ফুলের রঙকেও হার মানায়। দীর্ঘদিন আমেরিকায় থেকে সবুজে অভ্যস্ত চোখদুটো এবার বাংলাদেশে এসে বারবার হোঁচট খাচ্ছিল। কোথায় হারিয়ে গেল সেই সবুজ অরণ্য; কোথায় সেই স্লিগ্ধ মায়া?

ধূলিময় জৌলুসহীন নগর, নিষ্প্রভ মফস্বল শহর আমাকে ব্যথিত করে তুলেছে। সবুজ পাতারা কোথায় হারিয়ে গেছে? নদী, খাল, বিল, পুকুর, ডোবা, নালা সব ভরাট হয়ে সেখানে উঠছে দোকানপাট, বাড়িঘর। চারিদিকে কেবল নির্মাণের ছড়াছড়ি। ইটপাথর আর দ্রুত বেড়ে ওঠা জনসংখ্যার চাপে দেশটির যেন নাভিশ্বাস উঠছে। দেশের দিকে তাকিয়ে কেবলই মনে হতে লাগলো, ‘ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই— ছোট সে তরী’।

Image source: Shelly Zaman Khan

কিন্তু বরিশালের আগৈলঝাড়া’র আমবৌলা গ্রামের বাগানবাড়িতে এসে আমার সেই দুঃখবোধ ঘুচে গেল। সবুজহীনতার ব্যথা যেন প্রশমিত হল। এই বাংলোবাড়িতে আজ আমাদের দ্বাদশ দিবস। এখানে বিশাল একটা এলাকা জুড়ে দশ-বারোটি বড় বড় পুকুর নিয়ে মাছের ঘের, হাঁস-মুরগী, গরু-ছাগলের খামার গড়ে তোলা হয়েছে। এছাড়াও আছে নারকেল-সুপারি, আম-কাঁঠাল-লিচুসহ হরেক রকমের গাছপালার বাগান। আছে সবজি ক্ষেত। প্রতিটি পুকুরের আইলে পেঁপে, কলাগাছ এবং মৌসুমি শাকসবজির আবাদ। সুবিশাল এই প্রকল্পের কর্মীদের জন্যও গড়ে তোলা হয়েছে আবাসন ব্যবস্থা। কর্মীদের বেশিরভাগই ‘গারো’ উপজাতীয়। তারা সবাই এখানে তাদের পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে। বরাদ্দ মাসিক বেতন ছাড়াও সপরিবারে আবাসন সুবিধা পাওয়ায় তারা এখানে নিজেদের মতো করেই বাস করতে পারছে। ফলে কোনো পিছুটানও নেই। তাদের অনেকেরই বাচ্চা-কাচ্চার জন্ম এখানে হওয়ায় তারা তাদের ‘গারো’ মাতৃভাষার তুলনায় বাংলাভাষায় বেশি সাবলীল। কিন্তু তাদের খাদ্যাভাস ও ঘরবাড়িগুলোতে গারো সংস্কৃতির ছাপ দৃশ্যমান।

প্রকল্পের একটি নিরিবিলি অংশে খোদ মালিকের জন্য তৈরি হয়েছে বাংলো প্যাটার্নের এই বাড়িটি। সবুজ রঙের টিনের চাল, সাদা রঙের ইটের দেয়াল, সামনে গ্রিলঘেরা টানা বারান্দার বাড়িটিতে রয়েছে আধুনিক জীবন-যাপনের সমস্ত সুযোগ সুবিধা। বাথরুমে ইংলিশ হাই কমোড, শাওয়ার, গরম পানির গিজার। তিনটি বেডরুম, দুটো ফুল বাথরুম, লিভিংস্পেস, কিচেন, ডাইনিং ও মিটিংরুম। বাড়ির বাইরে ডানদিকে একটি বেশ বড়সড় পাকা রান্নাঘর। সেখানে বড় পরিসরে লাকড়ির চুলোয় গ্রামীণ পদ্ধতিতে রান্নাবান্নার ব্যবস্থা আছে। বাইরে থেকে আত্মীয়-স্বজন বা মেহমান এলেই এখানে রান্নার আয়োজন হয়। মূলত ‘মাছের ঘের’-কে কেন্দ্র করেই এই প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে। প্রকল্পের মালিক আমার ছোটবোন শামীম জামান ও সিরাজুল হক  দম্পতি। সিরাজ তার উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পৈত্রিক কিছু সম্পত্তির সাথে নিজে আরও কিছু জমি কিনে এই প্রকল্পের কলেবর বৃদ্ধি করেছেন। এবং দিনদিনই এর পরিসর বাড়ছে; সংযোজিত হচ্ছে নতুন নতুন জিনিস। বর্তমানে এটি তার নেশা এবং পেশায় পরিণত হয়েছে। তার সময়ের সিংহভাগই তিনি কাটান তার স্বপ্নের প্রকল্পে। তাদের একমাত্র ছেলে শশী’র নামানুসারে প্রকল্পের নাম ‘শশীপল্লী’।


ঞ্চিতা রেবেকা আজিম ও ডাগলেস ডানিয়েল নকরেকের গল্প


সঞ্চিতা রেবেকা আজিম। বয়স ঊনত্রিশ। তার মায়ের নাম এজলা আজিম। বাবার নাম শচীন্দ্র রংকিং। সঞ্চিতার চার বোন এক ভাই। ছোট তিন বোন ঢাকায় থাকে। দুই বোন কাজ করে বিউটি পার্লারে। ছোটবোনটি পড়াশোনা করছে ঢাকার ইডেন কলেজে। সঞ্চিতা ভালোবেসে বিয়ে করেছে ডাগলেস নকরেক-কে।

ডাগলেস নকরেক এর মায়ের নাম অনুপমা নকরেক। গারো উপজাতিদের পরিবার হলো মাতৃতান্ত্রিক। পরিবারের কর্তা মেয়েরা। তাই তাদের সন্তানরা মায়ের বংশ পরিচয়ে পরিচিত হয়। মেয়েরা বিয়ে করে স্বামীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বামীরা ঘরজামাই হিসেবে থাকে। তাই ছেলে সন্তানরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তির ভাগীদার হয় না। মেয়েরা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ভোগদখল করে। সেই কারণে তাদের বৃদ্ধ মা-বাবাকেও মেয়েরা দেখাশোনা করে। ছেলে সন্তানের উপর এই দায়িত্ব থাকে না। তাদেরকে নিজের বাবা-মায়ের দেখাশোনার পরিবর্তে স্ত্রীর পরিবারের দায়িত্ব নিতে হয়।

Image source: Shelly Zaman Khan

চেহারা বা শারীরিক গঠন দেখে ডাগলেসের বয়স অনুমান করা খুব কঠিন। দেখলে মনে হবে পঁচিশ। কিন্তু তার হাসি হাসি মুখ, ছোটখাট হালকা পাতলা পেটানো শরীর দেখে অনুমান করার উপায় নেই যে তার বয়স আসলে বত্রিশের উপরে। সারাক্ষণ ছোটাছুটি করে কাজ করে। খুব দায়িত্বপরায়ণ, কর্মঠ ও সৎ মানুষ।

সঞ্চিতাও খুব হাসিখুশি মেয়ে। সারাদিন প্রচুর কাজ করেও চেহারায় কোন ক্লান্তির ছাপ নেই। গারো মেয়েরা বাইরের, ক্ষেতখামারের পুরুষালী কাজকর্মগুলো করতেই বেশি অভ্যস্ত। তারা খুব কঠোর পরিশ্রমী, স্বাধীন ও স্বাবলম্বী। সঞ্চিতা ও ডাগলেসের দুই মেয়ে। বড় মেয়ে প্রথমা তেরেজা আজিম, বয়স এগারো। ছোট স্নেহা ক্যাথরিনা আজিম, বয়স ছয়। দুটি সন্তানই মেয়ে হওয়ায় সঞ্চিতা এবং ডাগলেস খুব খুশি। কারণ কন্যারা বিয়ের পর তাদের সংসারেই থাকবে এবং জামাইকে ঘরে নিয়ে আসবে। তাতে তাদের উপার্জনের লোক বাড়বে। আমবৌলা আশীর্বাদ এজি স্কুলের ছাত্রী প্রথমা ও স্নেহা।


ঞ্চিতা ও ডাগলাসের আদি বাসস্থান


ওদের দু’জনেরই আদি বাসস্থান সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায়। থানা তাহেরপুর, গ্রাম বুরুঙ্গাছড়া। বুরুঙ্গাছড়া গ্রামের খুব কাছেই ভারতের পাহাড়ী রাজ্য মেঘালয়ের সীমানা। মেঘালয়ে আছে কয়লার খনি; যাকে কোয়ারি বলা হয়। কয়লার পাহাড়ের পাদদেশ দিয়ে সুড়ঙ্গ তৈরি করে শ্রমিকরা সেখানে কয়লা উত্তোলনের কাজ করে।এই কয়লার খনিতে সঞ্চিতা ও ডাগলেস মজুরের কাজ করত। সেখান থেকেই তাদের পূর্বপরিচয় গাঢ় হয়ে উঠেছিল। এমনি একটি কয়লার কোয়ারিতে ওরা আটকে পড়েছিল একদিন। সেটা ছিল পঁচিশ জনের একটি দল। সেই দলে ছিল বেশ কজন নেপালি, খাসিয়া, গারো আর ভুজং সম্প্রদায়ের লোক। সাধারণত এই সব কোয়ারিগুলোতে পঞ্চাশ থেকে একশত জনের মতো একেকটি শ্রমিকের দল সুড়ঙ্গ দিয়ে ভিতরে ঢুকে কাজ করে। গাইতি দিয়ে পাহাড় খুঁড়ে তারা কয়লা তোলে। বেসরকারি মালিকানার এইসব কোয়ারিগুলোতে যারা কাজ করে তাদের বেতন হয় সাপ্তাহিক ভিত্তিতে প্রতি শনিবারে। বিপজ্জনক কাজ ও প্রচন্ড কষ্টের তুলনায় সেই মজুরি খুবই সামান্য। ঝড়, বৃষ্টিবাদলার দিনে এসব কোয়ারিতে কাজ করা আরও বেশি বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। সুড়ঙ্গ পথে বৃষ্টির পানি চুঁইয়ে কোয়ারির ভিতরে হাঁটুঅব্দি জল জমে যায়। মাঝেমধ্যে বড় ধরনের ধ্বস নামে কোয়ারির ভিতরের কুঠরিতে। দুর্গম এই কোয়ারির ভিতরে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে সেখান থেকে জীবন নিয়ে ফিরে আসা খুবই দুরূহ ব্যাপার। উদ্ধারকাজও খুব জটিল। তাই সেই দুর্ঘটনা থেকে ভাগ্যক্রমে রক্ষা পাওয়ার পর জীবনের মায়ায় ডাগলেস আর সঞ্চিতা কয়লাখনির কাজ ছেড়ে চলে আসে। তাছাড়াও প্রতিবার ভারত বাংলাদেশ বর্ডার ক্রস করে কাজে যাওয়াও ছিল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। প্রায়শ-ই ধরা পড়লে জেল জরিমানা হয়।

এসব কোয়ারিগুলোর মালিক বেশিরভাগ খাসিয়া জনগোষ্ঠির লোকজন। খাসিয়া ভাষার নাম খাইস্যা। ডাগলাসদের গারো ভাষার নাম আবেং। তাদের পক্ষে আবেং ভাষা বোঝাও বেশ কঠিন হতো। বিয়ে করার পর সঞ্চিতা-ডাগলেস দুজনেই মাছের ঘের তদারকির কাজ পেয়ে শশীপল্লীতে চলে আসে। তাদের দুই কন্যার জন্মও এই শশীপল্লীতে। ধীরে ধীরে ডাগলেস তার ছোট ভাই ও ভাইয়ের বউ মোনালিসাকেও এখানে এনে কাজে দিয়েছে। সঞ্চিতাও তার ভাই ও আত্মীয়-স্বজনকে শশীপল্লীর কাজে এনে নিযুক্ত করেছে; কেননা গারোরা আত্মীয়-স্বজন নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে থাকতে ভালোবাসে।

Image source: Shelly Zaman Khan

ডাগলেসের ছোট ভাই সমবীর ও নতুন বউ মোনালিসা


মোনালিসা সদ্য বিবাহিতা নতুন বৌ। মুখে এখনও রয়ে গেছে লাজুক হাসি। নাম জানতে চাইলেও সে সহজে মাথা তুলে তাকাতে পারে না। যদিও গারো কন্যারা বিয়ে করে জামাই ঘরে তুলে আনে, কিন্তু কাজের প্রয়োজনে এক্ষেত্রে মোনালিসা তার স্বামী সমবীরের সাথে শশীপল্লীতে চলে এসেছে। মোনালিসা লাজুক হলেও কাজ করে মুখ বুজে। তাছাড়া সে বাংলা ভাষায় তেমন পটু না হওয়ায় কারণেও কথা বলে কম। মাঝেমধ্যে বাচ্চাদের সাথে কোরাস গানে সঞ্চিতা, কল্পনারা গলা মিলালেও মোনালিসাকে কখনও গান করাতে রাজি করানো যায়নি। সমবীর ও সব বাচ্চাদের সাথে মোনালিসার খুব ভাব। তাদের সাথে সে মন খুলে আবেং ভাষায় গল্প করে। তখন তাকে খুব হাসতেও দেখা যায়। প্রথমা ও স্নেহা তাদের নতুন কাকিমার খুব ভক্ত।

সমবীরকে দেখলেও তার বয়স অনুমান করার কোনো উপায় নেই। মাঝারি উচ্চতার গারো নারী পুরুষ সবারই শরীর বেশ মজবুত। চেহারায় শিশুসুলভ সারল্য। যাকে ইংরেজিতে ‘বেবিফেস’ বলে।


কল্পনা রংধী ও অথরা ফ্লবিনা রংধী


গারো কন্যা হলেও কল্পনা রংধী খুব আরামপ্রিয় এবং ঘুম কাতুরে মানুষ। কল্পনার মায়ের নাম আয়েষা রংধী। কল্পনার দুই ছেলে রনি রংধী ও স্বচ্ছ রংধী। একমাত্র কন্যার নাম অথরা ফ্লবিনা রংধী। ছয় বছরের অথরা কেজি ক্লাসের ছাত্রী। কল্পনাদের আদিবাসস্থান ময়মনসিংহের নেত্রকোনায়। গ্রামের নাম দক্ষিণ তারানগর। দুই কিলোমিটার দূরেই ভারতের সীমান্ত গ্রাম বাগমারা ও রংরা। কল্পনার মায়ের আদি নিবাস ছিল ভারতের রংরা অংশে। তার নানি এবং নানির দুই বোন এখনও রংরায় বাস করছেন। পাহাড়ি গ্রাম রংরা ও বাগমারার অধিবাসীরা বেশিরভাগই উপজাতি। সেখানে প্রচুর হাজং, খাসিয়া এবং গারোদের আবাস রয়েছে। এই দুই গ্রামে কল্পনাদের প্রচুর আত্মীয়-স্বজনও থাকে। তাই প্রায়ই তারা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারতে যাতায়াত করে।


প্রথম পর্ব দ্বিতীয় পর্ব তৃতীয় পর্ব


বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
গল্প

স্বপ্নজাত সংশয়

নয়ন মাহমুদের গল্প স্বপ্নজাত সংশয় রেল লাইনের ধারে কৃষ্ণকাকার দোকান। রোজ সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে বসি। সিগারেট ধরাই। পাশে প্রবহমান নদী।

পতাকা – বিভাবরী রহমান

জব্বার সাহেব একটি আর্জেন্টিনার পতাকা কিনেছেন। দৈর্ঘ্যে পনেরো হাত প্রস্থে তিন হাত। যদিও আর্জেন্টিনার পতাকার অনুপাত ৯ঃ১৪ হবার কথা, তবু

গল্প

ঘুড়ি

দাশবাবুর বাড়ি থেকে হেমন্তের মারমুখো দুপুরে পিচগলা রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় খালেক মিয়ার চোখটা কেমন যেন ঝাপসা হয়ে আসতে

সামান্য মানুষ

একজন সামান্য মানুষকে দেখা যেতো রোজ ছিপ হাতে চেয়ে আছে; ভোরের পুকুরে চাপেলী পায়রাচাঁদা মৌরলা আছে; উজ্জ্বল মাছের চেয়ে খানিকটা