কীভাবে আপনি বুক রিভিউ লিখবেন?

আপনি যে বইগুলি পড়েছেন সে সম্পর্কে অন্যান্য পাঠকরা সবসময় আপনার মতামতের প্রতি আগ্রহী হয়ে থাকেন। আপনি বইটি পছন্দ করেছেন নাকি অপছন্দ করেছেন সেটা জানতে সবাই আগ্রহী থাকে। আপনি যদি আপনার পাঠ করা বই সম্পর্কে আপনার সৎ এবং বিস্তারিত চিন্তা-ভাবনা লেখনীর মাধ্যমে ব্যক্ত করেন তবে মানুষ সহজেই তাদের চাহিদামতো নতুন বই খুঁজে পাবে।

আপনি যদি পর্যালোচনায় কী বলবেন তা নিয়ে আটকে থাকেন, তাহলে এটি কল্পনা করতে থাকেন যে আপনি এমন কারো সাথে কথা বলছেন যিনি আপনাকে জিজ্ঞাসা করছেন, তাদের বইটি পড়া উচিত কিনা!

১. বইটি সম্পর্কে কয়েকটি বাক্য দিয়ে শুরু করুন

শুরু করতে হবে কোনো স্পয়লার না দিয়ে বা প্লট টুইস্ট প্রকাশ না করে! একটি সাধারণ নিয়ম হিসাবে, বইয়ের মধ্যে যে কাহিনি থাকে সে সম্পর্কে বিস্তারিত লেখা এড়ানোর চেষ্টা করুন। যদি বইটি একটি সিরিজের অংশ হয়, তাহলে সেটি উল্লেখ করুন, তাহলে পাঠক সিরিজের অন্যান্য বই পড়তে আগ্রহী হতে পারে।

২. বইটির কোন বিষয়গুলো আপনি বিশেষভাবে পছন্দ করেছেন তা আলোচনা করুন

কাহিনি এবং যে ভঙ্গিতে বা গদ্যে বইটি লেখা সে সম্পর্কে আপনার চিন্তাভাবনা এবং অনুভূতির দিকে মনোনিবেশ করুন। আপনি নিম্নলিখিত কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে পারেন:

  • আপনার প্রিয় চরিত্র কে ছিলেন এবং কেন?
  • চরিত্রগুলো কি আপনার কাছে বাস্তব মনে হয়েছে?
  • গল্পটি কি আপনাকে ভাবাচ্ছে?
  • বইটির আপনার প্রিয় অংশ কোনগুলো এবং কেন?
  • বইয়ের বিশেষ অংশসমূহ যেগুলো আপনার হৃদয় কেড়েছে, যেমন- ট্র্যাজেডিপূর্ণ অংশ, আবেগঘন অংশ ইত্যাদি
  • বইটি আপনাকে হাসাবে নাকি কাঁদাবে?
  • কাহিনী কি আপনাকে আঁকড়ে ধরে রেখেছে এবং পাতা উল্টাতে সাহায্য করছে?

৩. বইটি সম্পর্কে আপনার অপছন্দনীয় বিষয়গুলো উল্লেখ করুন

কেন আপনি মনে করেন যে, বইটি আপনার জন্য নয় বা আপনার ভালো লাগেনি সেই বিষয়গুলো লেখার চেষ্টা করুন। উদাহরণ স্বরূপ:

  • আপনার কাছে কি বইয়ের সমাপ্তিটা বাজে লেগেছে, বইটির সমাপ্তি নিয়ে কি আপনি হতাশ?
  • আপনার কাছে কী প্রধান চরিত্রটি ঠিকভাবে বিকশিত হয়নি মনে হয়েছে বা প্রধান চরিত্রটি অসফল মনে হয়েছে, এবং কেন বিষয়টা মনে হয়েছে?
  • বইয়ের কাহিনি কী আপনার জন্য বেশি মাত্রায় ভীতিকর ছিল?
  • বইয়ের থিমটি আপনার কাছে কী আকর্ষণীয় ছিল না?

৪. আপনার পর্যালোচনা রাউন্ড আপ

আপনি যে ধরনের পাঠককে বইটি সুপারিশ করবেন তাদের পরামর্শ দিয়ে বইটি সম্পর্কে আপনার কিছু চিন্তাভাবনা সংক্ষেপে লিখুন। যেমন: বইটি কমবয়সী পাঠক, বয়স্ক পাঠকদের জন্য কিনা; অথবা এটা কোন ধাঁচের: নাটক/রহস্য গল্প/কমেডি কিনা এগুলো উল্লেখ করুন। বইটির মতো আর কোনো বই বা সিরিজ আছে কিনা যার সাথে আপনি বইটির তুলনা করতে পারেন?

৫. আপনি বইটিকে একটি রেটিং দিতে পারেন, উদাহরণস্বরূপ পাঁচ বা দশের মধ্যে একটি নাম্বার দিতে পারেন, যদি আপনি চান! এটা বাধ্যতামূলক কিছু নয় কিন্তু অনেকে এই নাম্বারকে গুরুত্ব দেয়।

 

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
কবিতা

ফ্রম দ্যা “মেট্রো-থ”

মজুমদার নোভেলের কবিতাগুচ্ছ   ০১। ব্যাপার-টা দিনকাল না দিয়ে দিলকাল দিয়ে শুরু হইলেও পারতো, কিন্তু পারে নাই– মানে, যে ব্যাপার-টা

তার স্থির প্রেমিকের নিকট

বেঁচে থেকে কোনো লাভ নেই,- -আমি বলিনাতো। কারো লাভ আছে;– সকলেরই;– হয়তো বা ঢের। ভাদ্রের জ্বলন্ত রৌদ্রে তবু আমি দূরতর

গল্প

টিচার

রাজমাতা হাইস্কুলের সেক্রেটারি রায়বাহাদুর অবিনাশ তরফদার ভেবেচিন্তে শেষপর্যন্ত টিচারদের কিছু সদুপদেশ দেওয়া স্থির করল। বুড়ো বয়সে এমনিতেই তার ঘুম হয়।

শতাব্দী

চার দিকে নীল সাগর ডাকে অন্ধকারে, শুনি; ঐখানেতে আলোকস্তম্ভ দাঁড়িয়ে আছে ঢের একটি-দুটি তারার সাথে — তারপরেতে অনেকগুলো তারা; অন্নে