শকুন্তলা সংখ্যা: ‘ইহিতা এরিন’-এর কবিতা


দর্পণের বিশেষ সংখ্যা ‘শকুন্তলা’-তে প্রকাশিত ইহিতা এরিন-এর তিনটি কবিতা


দীর্ঘশ্বাস


পিঠের দেয়াল বেয়ে নেমে যাচ্ছে সিল্কের হলুদরাঙা রোদের আয়না।
আবহসঙ্গীত। সময় ঘড়ি।
পাতার মর্মরে মৃতদের কণ্ঠস্বর।

ল্যান্ডস্কেপ। অপরিচিত পাখি। চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে
পঞ্চমীর চাঁদ। শীতের মরা মাছির চোখের মতো মৃতনগরী।

পরিত্যক্ত লবণ খনির সাথে নিভে যায় প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস।


বিপরীত প্রতিবিম্ব ও সমান্তরাল মহাফেজখানা


ঘুমের দরোজা থেকে পালিয়ে এসেছে
প্রজাপতি চোখ

বরফের ডিম
তা দিচ্ছে ক্লীব সভ্যতা

বিশ্বাসের জিহ্বায়
পবিত্র প্রেত অযুখানার
শাসকের কররেখায় আঁধার

তার উদাম নৃত্য
কবরখানা থেকে শ্মশান
নীরবতা ভেঙ্গে
একজন বলে উঠলো মানুষ

মানুষটি
মানবতার চাদর মুড়িয়ে
ফিরে গেলো
ফ্রান্সের সেই শিক্ষকের কাছে

এসব-ই আদপে
হোমো স্যাপিয়েন্স

প্রজনন-চক্র


সানসিল্ক রোদ


বুঝতে পারি, তবু চুপ করে থাকি,
খুব কম কয়লাই হীরা হয়।
গাছেরা ঝরে ঝরে, মরে মরে কাঠ
বসতিজুড়ে মানুষের বর্জ্য, ময়লা ও কফ।

গাছের নিরাময় করবো বলে পা বাড়াই।
গাছের ডাক্তার যদিও জানা নেই,
থাকি ঠিক সেখানে; যেখানে চারাগাছ মাথা তোলে।

আহত শিরীষ উড়ে যেতে দেখেছি
কাঠপিঁপড়ের মরে যেতে থাকাও…
ময়লার স্তুপের ওপর রঙিন প্রজাপতি।

বুনো বাতাসের আঙুলে আঙুল রেখে
হেঁটে যায় সানসিল্ক রোদ।

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
কবিতা

রাত্রিনামা

রাত্রিনামা সকাল রয় █▒▒১▒█ একটা জলজ্যান্ত দানবীয় পথসমুদ্রে আমাদের প্রথম দেখা— তুমি চলেছিলে যুদ্ধজয়ের ভঙ্গিতে—পরনে তোমার ফুলতোলা গোলাপি জামা। যে

কবিতা

ভারতবর্ষ

জাগিয়াছে শুভ্ৰ ঊষা–পুণ্য বেদবতী প্রাচীমঞ্চে, ভারতের উদয়গগনে। কোন্‌ এক আদি মহাতপস্যার ক্ষণে বাজিয়াছে আমাদের মঙ্গল আরতি! মধুমান সূর্য সোম ঢালিয়াছে

কবিতা

জীবিত লাশ সৎকার

পলাশ কুমার দাসের ৩টি কবিতা বিষফোঁড়া নদীর শরীর ভেসে ভেসে দৃষ্টিতে মিশে যায়। অর্থহীন বাসনা তৃপ্তির সিংহাসন। সমাজের মুখোশ নিষ্পাপ

তিলোত্তমা

‘অত গভীর মনোযোগ দিয়ে কী দেখছ?’ বলতে বলতে ঘরে ঢুকলেন মিস্টার ঘোষ। বড় সওদাগরি অফিসে অনেকখানি উপরতলার চাকরে। ছুটির দিন