মিথ্যাবাদী রাখাল


(ঈশপের গল্প থেকে রূপান্তরিত)


এক গ্রামে ছিল একজন রাখাল। তার মিথ্যা বলার বাজে অভ্যাস ছিল। গ্রামের মানুষদের মিথ্যা বলে বোকা বানিয়ে সে পৈশাচিক আনন্দ পেতো।

একদিন এক জঙ্গলের পাশে রাখালটি মেষ চড়াচ্ছিল। হঠাৎ করে তার মাথায় একটি শয়তানী বুদ্ধি আসলো। সে সিদ্ধান্ত নিল মিথ্যা বলে গ্রামের মানুষদের বোকা বানাবে। তারপর রাখালটি “বাঁচাও! বাঁচাও! বাঘ আসছে! বাঘ আসছে!” বলে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকল।

রাখালের চিৎকার শুনে গ্রামের সবাই ছুটে আসলো তাকে সাহায্য করতে। কিন্তু কই বাঘ? গ্রামবাসীরা অবাক! গ্রামের মানুষদের আসতে দেখে রাখালটি উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করে। গ্রামের মানুষজন আর কিছু বুঝতে বাকি থাকলো না, তারা বুঝতে পারল কোনো বাঘ আসেনি, মিথ্যাবাদী রাখালটি তাদের সাথে মজা নিচ্ছে।

পরেরদিন আবার রাখালটি সেই জঙ্গলের পাশে গরু চড়াতে গেল। সেদিনও সে মজার ছলে “বাঘ আসছে, বাঁচাও! বাঁচাও!” বলে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকল। রাখালটির চিৎকার শুনে গ্রামের মানুষ কাজকর্ম ফেলে আবারো দৌড়ে আসলো রাখালটিকে বাঁচাতে। এসে দেখে বাঘ নেই, রাখালটি গতদিনের মতো উচ্চস্বরে হাসছে। গ্রামের মানুষজন তাদের মনে অনেক কষ্ট পেল। সবাই ফিরে চলে গেল।

পরেরদিন আবারও জঙ্গলের পাশে গরু চড়াতে গেল রাখালটি এবং সেদিন সত্যিই বাঘ এল। রাখালটি ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো “বাঁচাও! বাঁচাও!” কিন্তু সেদিন আর গ্রামবাসীদের কেউ আসলো না। তারা ভাবলো, আজকেও হয়তো রাখালটি মজা করছে। এদিকে বাঘ এসে রাখালের মেষপালের মেষ সাবাড় করতে লাগলো। রাখাল কোনোমতে একটা গাছে উঠে তার জীবন বাঁচালো। সেদিন থেকে রাখাল সিদ্ধান্ত নিল, সে আর কোনো দিন মিথ্যা কথা বলবে না।

শিক্ষা: মিথ্যা বিপদ ডেকে আনে।


 

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
কবিতা

শাহজাহান পারভেজ রনির কবিতা

দ্রোহের কবিতা নিয়ে দর্পণের একটি বিশেষ সংখ্যা ‘অগ্নিফুল’, সংখ্যাটিতে প্রকাশিত শাহজাহান পারভেজ রনির পাঁচটি কবিতা— রঙিন মাছ এই দীঘি এতোটা

যদিও দিন

যদিও দিন কেবলি নতুন গল্পবিশ্রুতির তারপরে রাত অন্ধকারে থেমে থাকাঃ—লুপ্তপ্রায় নীড় সঠিক ক’রে নেয়ার মতো শান্ত কথা ভাবা; যদিও গভীর

নির্জন স্বাক্ষর

তুমি তা জানো না কিছু, না জানিলে- আমার সকল গান তবুও তোমারে লক্ষ্য ক’রে! যখন ঝরিয়া যাব হেমন্তের ঝড়ে, পথের