ছদ্মবেশী নেকড়ে


অতি সহজে শিকার ধরার জন্য একদা একটি দুষ্টু নেকড়ে ফন্দী আটলো। একটা ভেড়াকে মেরে ফেলার পর নেকড়েটা তার চামড়া কেটে নিজের গায়ের উপর চাপিয়ে নিল। গায়ে ভেড়ার চামড়া চাপিয়ে সে ভেড়ার পালের সাথে মিশে গেল। ভেড়ার পালের রাখাল সেটা টেরই পেল না। নেকড়ে তো মহাখুশী। তবে রাখাল থাকায় সাথে সাথে নেকড়েটা ভেড়াদের উপর আক্রমণ করতে পারছিল না। নেকড়ে ভাবল, রাতের বেলা তো রাখাল থাকবে না, তখন সে ইচ্ছেমত ভেড়ার মাংস খাবে।

এদিকে সন্ধ্যায় রাখাল ভেড়াদের সাথে সাথে ছদ্মবেশী নেকড়েটাকেও খোঁয়াড়ে ভরে দিল। নেকড়ে চোখ বড় বড় করে পালের সেরা ভেড়াটাকে খুঁজতে লাগল। তার মাংস দিয়েই নেকড়েটা নৌশভোজ করতে চায়। কিন্তু নেকড়ের মনোবাসনা পূর্ণ হলো না। একটু পরেই রাখাল চিন্তা করল, সে রাতে ভেড়ার মাংস খাবে। কিন্তু ভেড়ার বদলে সে ছদ্মবেশী নেকড়েকেই জবাই করে ফেলল। এভাবেই ছদ্মবেশী নেকড়ের জীবনাবসান হলো।

শিক্ষা: অপরের ক্ষতি করতে চায় যে জন, নিজের ক্ষতি ডাকে সেই জন।


 

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি

পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন বাস করে

পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন বাস করে হৃদয়ের নরম কাতর অনেক নিভৃত কথা জানিয়াছি; পৃথিবীতে আমি বহুদিন কাটায়েছি; বনে বনে ডালপালা

গল্প

রাফির গুড ওয়ার্ক

দান বাক্সটা সামনে না আসার জন্য মনে প্রাণে খোদাকে কতবার যে ডাকা হয়েছে, সেটা আমার আঙ্গুলের কর জানে। জানে উপরওয়ালা।

শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ

শ্মশানের দেশে তুমি আসিয়াছ — বহুকাল গেয়ে গেছ গান সোনালি চিলের মতো উড়ে উড়ে আকাশের রৌদ্র আর মেঘে, — লক্ষ্মীর

অনেক আকাশ

গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে পৃথিবীর পথ ছেড়ে — সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে হৃদয় ভাসিয়া যায় — সেখানে সে