সতর্ক ছুরির দুপুর


সিদ্দিক প্রামাণিকের তিনটি কবিতা ‘পরিবার’, ‘বুনো দর্শন’ এবং ‘সতর্ক ছুরির দুপুর’।


পরিবার

একটাই ঘর। বাবা শুয়ে শুয়ে কাশছেন,
শিয়রে জড়োসড়ো বসে আছেন মা।
কাপড়ের দেয়াল টাঙিয়ে দ্বিতীয় স্বামীর সাথে
শুয়ে আছে বোন।
অন্য রুমে দাদা আর বউ— নতুন বিয়ের ঘ্রাণ।

লাইট বন্ধ হলেই ইঁদুরে আঁধার—
পড়ার টেবিলে শুই আমি আর বই।
থেকে থেকে কাশি,
থেকে থেকে চৌকির শব্দে ঘুমেরা ছুঁচো হয়ে যায়।


বুনো দর্শন

অ্যানিমেল ওয়ার্ল্ড থেকে যে সব বুনো দর্শন—
মোষের পালের মতো ধুলো উড়াতে উড়াতে
মারমুখী শিং, বিভ্রমের চাহনি আর বিভক্তের খুর নিয়ে
আমাদের লোকালয়ে তেড়ে এলো—
তাদের খুরে পিষ্ট হলাম। আর এই বিক্ষিপ্ত
ধুলোর তোড়ে সম্মিলিত ভাবে অন্ধ হতে হতে
পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে
আমাদের কন্ঠস্বরও বদলে গেল—
বুনো এই মোষের মতো।


সতর্ক ছুরির দুপুর

দুপুরে যে মেয়েটি নিজের ফ্ল্যাটে খুন হলো
তার টাইলসের ফ্লোরে রক্তমাখা পায়ের ছাপ আর
কনডমের ছেঁড়া প্যাকেট দেখে
সিমটম সিরিয়াসলিই বলল, তারও আগে
এটা ছিল রেপের ব্যাপার

ফালি ফালি তরমুজের ওপর দিয়ে
একটা দুপুর কতো সহজেই
সতর্ক ছুরির মতো পার হয়ে গেল


 

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
কবিতা

তিনপাতা অরণ্য

মোহাম্মদ জসিমের দুটি কবিতা ‘তিনপাতা অরণ্য’ ও ‘মাধুকর’ তিনপাতা অরণ্য গাছেদের গণিকা গমনের গল্পে তিনপাতা অরণ্য লিখেছি; শুনছো…? অথচ—বাজপাখির ঠোঁট

তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও

তোমরা স্বপ্নের হাতে ধরা দাও—আকাশের রৌদ্র ধুলো ধোঁয়া থেকে স’রে এইখানে চ’লে এসো; পৃথিবীর পথে আমি বহুদিন তোমাদের কথা শুনিয়াছি—তোমাদের

গল্প

নোনা অশ্রু

এই গল্পটি একটি দলকে নিয়ে। ছয় জনের একটি তরুণ দল। হাসান, জয়, রাসেল, শিবা, সুমিত ও প্রান্তদের দল। প্রত্যেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের

মেঠো চাঁদ (মাঠের গল্প)

মেঠো চাঁদ রয়েছে তাকায়ে আমার মুখের দিকে — ডাইনে আর বাঁয়ে পোড়া জমি — খড়-নাড়া — মাঠের ফাটল, শিশিরের জল!