আজ তারা কই সব

আজ তারা কই সব? ওখানে হিজল গাছ ছিল এক — পুকুরের জলে
বহুদিন মুখ দেখে গেছে তার; তারপর কি যে তার মনে হল কবে
কখন সে ঝরে গেল, কখন ফুরাল, আহা, — চলে গেল কবে যে নীরবে,
তাও আর জানি নাকো; ঠোট ভাঙা দাঁড়কাক ঐ বেলগাছটির তলে
রোজ ভোরে দেখা দিত — অন্য সব কাক আর শালিখের হৃষ্ট কোলাহলে
তারে আর দেখি নাকো — কতদিন দেখি নাই; সে আমার ছেলেবেলা হবে,
জানালার কাছে এক বোলতার চাক ছিল — হৃদয়ের গভীর উৎসবে
খেলা করে গেছে তারা কত দিন — ফড়িঙ কীটের দিন যত দিন চলে

তাহারা নিকটে ছিলো — রোদের আনন্দে মেতে — অন্ধকারে শান্ত ঘুম খুঁজে
বহুদিন কাছে ছিলো; — অনেক কুকুর আজ পথে ঘাটে নড়াচড়া করে
তবুও আঁধারে ঢের মৃত কুকুরের মুখ — মৃত বিড়ালের ছায়া ভাসে;
কোথায় গিয়েছে তারা? ওই দূর আকাশেল নীল লাল তারার ভিতরে
অথবা মাটির বুকে মাটি হয়ে আছে শুধু — ঘাস হয়ে আছে শুধু ঘাসে?
শুধালাম — উত্তর দিল না কেউ উদাসীন অসীম আকাশে।

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
পর্যালোচনা

গবেষণাধর্মী গল্প পর্যালোচনা: চন্দন আনোয়ারের ‘ত্রিপাদ ঈশ্বরের জিভ’

  গবেষণাধর্মী গল্প পর্যালোচনা: চন্দন আনোয়ারের ‘ত্রিপাদ ঈশ্বরের জিভ’ ড. মোঃ আব্দুর রশীদ “রাত্রির ঘননীল আকাশপথে অবিশ্রান্ত গতিতে উড়ে যাচ্ছে

গোলপাতা ছাউনির বুক চুমে

গোলপাতা ছাউনির বুক চুমে নীল ধোঁয়া সকালে সন্ধ্যায় উড়ে যায়- মিশে যায় আমবনে কার্তিকের কুয়াশার সাথে; পুকুরের লাল সর ক্ষীণ

গল্প

রথীন সোনারুর বউ

– বউমা, হুনছি তোমার গাভী নাকি বিয়াইছে? – কাকীমা, কাইল-ই কালি বিয়াইছে। কথাটা বলেই মোহনা পাড়াতুত কাকী শাশুড়ির দিকে তাকিয়ে

গল্প

প্যাঁচ

ড্রেসিং টেবিলের আয়নার উপরে কোণায় এক টুকরো সমান ভাঙা। মারুফা খয়েরি রঙের টাঙাইল শাড়ি পড়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে টুলে বসে