উপন্যাসাংশ: “দাঁড়াবার সময়” // রফিকুর রশীদ

রফিকুর রশীদ সমকালীন কথাসাহিত্যের একজন অন্যতম লেখক। তিনি মুক্তিযুদ্ধ  নিয়ে গবেষণা করেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বেশ কিছু লেখা লিখেছেন। তাছাড়া শিশু সাহিত্যেও তাঁর রয়েছে  সরব পদচারণা। “দাঁড়াবার সময়” সমকালে জনপ্রিয় এক উপন্যাস। উপন্যাসের একটি বিশেষ অংশ দর্পণে উপস্থাপনা করা হলো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার  দিনের পারিপার্শ্বিক আবহ এই অংশে ফুটে উঠেছে। উপন্যাসগ্রন্থটি আপনারা রকমারি থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।


…রওশনকে নিয়ে ভয়ানক এক দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম ভেঙে যায় মালেকের। ধসমস করে উঠে বসে বিছানায়। দীর্ঘদিনের ঢাকাবাসী জীবনে এমন স্বপ্ন কখনো দেখেনি সে। সারা দেহে তখনো কাঁটা দিয়ে আছে। ঘামে ভিজে জবজবে। স্বপ্নের ঘোর থেকে চক্ষুকর্ণের ধন্দ কাটে বিরামহীন গোলাগুলির শব্দ। মস্তিস্কের ক্রিয়াশীলতা ফিরে এলে শব্দের উৎস নির্ণয়ে সচেষ্ট হয়। খাড়া হয়ে ওঠে দুই কান, সূচলো হয়ে ওঠে দুই চোখ। মনে হয় দূরে নয়, নিকটেই কোথাও শুরু হয়েছে ভয়াবহ যুদ্ধ। জানালা খুলে একবার উঁকি দিয়ে বাইরেটা দেখে নেবে কিনা ভাবতেই দৃষ্টি পড়ে সেলিমের বিছানায়। একই ঘরে ওদের দুজনের শোবার ব্যবস্থা। সেলিমের বিছানা জানালার পাশে। এপাশ ওপাশ ফিরে সেলিমও ঘুম থেকে লাফিয়ে ওঠে, তখন মসজিদের মাইক্রোফোন থেকে আছড়ে পড়ছে ভোরের আজান। আজানের সেই পবিত্র ধ্বনিও গুলির ধাতব শব্দে বিদ্ধ হচ্ছে। কেঁপে কেঁপে ভেঙেচুরে যাচ্ছে মুয়াজ্জিনের কণ্ঠ নিঃসৃত ধ্বনিপুঞ্জ। সেলিম চোখ কচলে নিজেকে সজাগ করে, মালেকের দিকে প্রশ্নাকীর্ণ দৃষ্টি ছুঁড়ে দেয়– এ সব হচ্ছেটা কী?

কোথায়?

মালেক তখনো নিঃসংশয়  হতে পারেনি দুঃস্বপ্নের ধাক্কায় নাকি এই যুদ্ধবাদ্যে তার ঘুম ভেঙেছে। সেলিমের চোখ থেকে প্রশ্নের পাঠ নিয়ে সে অনুচ্চ কণ্ঠে জবাব দেয়,

– এ নিশ্চয় ইউনিভার্সিটির ঘটনা।

সেলিম কান খাড়া করে ভিন্নমত জানায়,

– অসম্ভব। গোলাগুলি হচ্ছে ধানমন্ডিতে।

মালেক চমকে ওঠে,

– কোথায়?

সেলিম কথা বলেনা। হুট করে মাথার পাশের জানালা খুলে ফ্যালে। বাইরে তখনো আঁধার কাটেনি নিঃশেষে। গলিপথে মধ্যরাতের নৈঃশব্দ। কেবল একটি শহুরে কুকুরের আর্তনাদ থেকে থেকে আছড়ে পড়ছে সেই নৈঃশব্দের গায়ে। খানিক দূরে বড় রাস্তায় দ্রুত গতিতে ছুটে যাচ্ছে কোনো রাগী মোটরযান। কেঁপে উঠছে কংক্রিট রাস্তা। দরজার ওপারে সেলিমের মামার চাপা কণ্ঠ,

– সেলিম।

প্রথম ডাকে সাড়া দেয় না সেলিম। তার দৃষ্টি জানালার বাইরে। কী যেন নিশ্চিত হতে চাইছে সে। আবার ডেকে ওঠেন তার মামা,

– মালেক!

– জ্বী! তৎক্ষণাত জবাব দেয় মালেক।

– সেলিম ঘরে আছে তো? উৎকণ্ঠিত কণ্ঠস্বর। এবার সাড়া দেয় সেলিম আগ বাড়িয়ে,

– আছি আছি। বদমেজাজী জবাব।

– তোমারা কেউ এখন বাইরে যেও না।

দরজার কাছ থেকে সরে যান মামা। সেলিম নিশ্চিত সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করে,

–  এ সব বত্রিশ নম্বরে।

মালেক শিউরে ওঠে,

– বলিস কী! আতংকে সংকটে মালেকের সম্মোধন এক ধাপ নেমে আসে। সেলিমের সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। সে অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে জানায়,

– হ্যাঁ, তাই।

মালেক যেন বিশ্বাসই করতে পারে না,

– তার মানে?

সেলিম নিরুত্তর। বাইরে আলো ফুটছে। গোলাগুলির শব্দ স্তিমিত হয়ে আসছে। গলিপথে কে একজন নামাজী জোর পায়ে হেঁটে গেল।

বত্রিশ নম্বর ধানমন্ডিতে গোলাগুলির মানে যে কী, রেডিওর প্রভাতী অধিবেশনে জানা গেল একজন বদমেজাজী মেজরের কণ্ঠে– ‘আমি মেজর ডালিম বলছি…।’

রেডিও ঘোষণা থেকে সুস্পুষ্ট ধারণা গড়ে ওঠার আগেই দিলারা বেগম উচ্চস্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। দু’হাতে বুক চাপড়ে মাতম শুরু করেন। তার বিলাপের ধ্বনি দেয়ালে দেয়ালে প্রতিধ্বনিত হয়। বৃদ্ধ স্বামী তাকে সান্ত্বনা দেন, কাঁদতে নিষেধ করেন, এমন কি চাপা কণ্ঠে সামরিক আইনের হুমকি ছাড়েন। মালেক বিমূঢ় হয়ে তাকিয়ে থাকে। সেলিমের কাঁধে হাত রাখতেই সে মালেককে জড়িয়ে ধরে শিশুর মতো কেঁদে ওঠে। এমন করে ভেঙে পড়া ওর স্বভাবের সঙ্গে মোটেই মানায় না। ওকে সান্ত্বনা দিতে মালেক এক সময় আবিষ্কার করে, তার কণ্ঠে স্বর ফুটতে চাচ্ছে না, নিজের অজান্তে তারও দু’চোখ হয়েছে আর্দ্র। পাশের বাড়ির রেডিওর ভল্যুম চড়িয়ে দিলে এ বাড়ির কান্নাধ্বনি খানিকটা চাপা পড়ে। রাষ্ট্রপতি খোন্দকার মোশতাক আহমেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কীভাবে দেশের শাসনভার গ্রহণ করেছে, কর্কশ কণ্ঠে রেডিও থেকে সেই বাণী শোনানো হচ্ছে। সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের জন্যে সামরিক আইন জারি এবং সান্ধ্য আইন বলবৎ করা হয়েছে। পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত জনসাধারণকে নিজ নিজ গৃহে অবস্থানের নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। টুকরো টুকরো নির্দেশ প্রচারের ফাঁকে ফাঁকে চলছে ইসলামী গান, গজল ইত্যাদি।

আবিশ্বাস্য হলেও সত্য এই যে, পাকিস্তানি সৈন্যরা একাত্তরে যা পারেনি, পঁচাত্তরে এসে গুটিকয় বাঙালি সৈন্য কী অসাধারণ নৈপুন্যেই না প্রায় অসম্ভব সেই কাজটি কয়েক ঘন্টার মধ্যে সম্পন্ন করলো। তখনো রাতের বৃন্তে ফোটেনি ভোরের কুসুম, নাগরিক পাখির কণ্ঠে ফোটেনি কাকলি। ইতিহাসের সেই জিরো আওয়ারে কে জানে উত্তরের হিমালয়শৃঙ্গ তাঁর আকাশমুখি দৃষ্টি আনত করেছিল কিনা, দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরের স্রোতরারা এক নিমেষের জন্যে স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছিল কিনা, তবে সবাই দেখেছে দিবসের প্রথম প্রহর ঘোষণা করতে এলো যে প্রভাতরবি তাঁর শরীরে নেই উদয়ের বর্ণবিভা, অস্তের গ্লানিমা তাকে করেছে আচ্ছন্ন। হালাকু-চেঙ্গিসের প্রেতাত্মাও সেই প্রভাতে লজ্জায় মুখ ঢেকেছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে মানুষটি এনে দিয়েছিলেন মহাকাব্যিক ব্যাপ্তি এবং গগণস্পর্শী স্পর্ধায় যার চরিত্র বীররসে অভিষিক্ত হয়ে মহানায়কোচিত মহিমায় বিভূষিত হয়েছিল, মানবিক মহানুভতার ছিদ্রপথে তার জীবন অকস্মাৎ নেমে আসে ট্রাজিক পরিণতি। রাজনৈতিক কাব্যকলার এই মহানায়কের পতনে সারা দেশ স্তম্ভিত, জনতা কর্তব্যবিমূঢ়, সন্ত্রস্ত। ইতিহাস তাকে নক্ষত্রের মহিমায় আকাশে তুলেছিল, নাকি বাঙালির বহু বছরের লড়াই সংগ্রামের শৌর্যবীর্যের ইতিহাসকে তিনি শৈল্পিক প্রজ্ঞায় আকাশস্পর্শী করে তুলেছিলেন একদিন তার চুল-চেরা বিশ্লেষণে প্রকৃত সত্য নিরূপিত হবে হয়তো, কিন্তু আজকের এই দিনটি যে বাঙালি জাতিকে পিতৃ হত্যার কলঙ্ক কালিমায় কলুষিত করে দিল, তা কোনোদিন মোচন হবার নয়।

পিতা– সে তো ভালোমন্দ, স্নেহ-ক্ষমা-এইসব মানবীয় গুণাবলি নিয়েই পিতা। তাকে হত্যা। সভ্যতা দ্বিধা হও। হে মানব নত হও। নত হও। দেশের ত্রাণকর্তারা মুসল্লীদের জুমার নামাজ আদায়ের সুবিধার্থে দেড় ঘণ্টার জন্যে কার্ফু শিথিল করারা ঘোষণা দিলেও সেলিমের মামা মোশারফ হোসেন মসজিদে গেলেন না। কিন্তু ঐ সুযোগে মালেক এবং সেলিম শত নিষেধ উপেক্ষা করে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এলো। মহল্লার রাস্তা তখনো ফাঁকা। মুসল্লীরাও সম্ভবত সরকারি ঘোষণায় আস্থা আনতে পারেনি। বেশ কিছুদূর যাবার পর একজন বৃদ্ধকে দেখা গেল, মাথায় টুপি চাপিয়ে হাতে তসবিহ ঝুলিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। মহল্লার মসজিদের দিকে। তসবিহ টেপা থামিয়ে একবার আড় চোখে তাকালেন সেলিমের দিকে। কিন্তু ততোক্ষণে বাঁ দিকের গলি থেকে ছুটতে ছুটতে একজন এসে গতিরোধ করে দাঁড়ায়, কথাবার্তায় বোঝা গেল সেলিমের বন্ধুস্থানীয় কেউ। সে জানায়, মিরপুর রোডের ওদিকে যাবার কোনো উপায় নেই, শুগ্রবাদের মোড়ে ট্যাংক বসানো আছে, বত্রিশ নম্বরের মুখে ব্যারিকেড। কাজেই গতিপথ তাদের পরিবর্তন করতেই হয়। এবং এই সিদ্ধান্তটি ভারি কাজে লেগে যায়। পিছনে ফিরতেই এই দুঃসময়ে একটি রিক্সা পেয়ে যায়। রিক্সাঅলা আমতা আমতা করেও শেষে মহল্লার ভেতর দিয়ে যতদূর সম্ভব যেতে রাজি হয়, কিন্তু রিক্সায় উঠতে গিয়ে সেলিম মৃদু আপত্তি জানায়,

– এ সময় মোহাম্মদপুরে না গেলেই নয় মালেক ভাই!

এ আপত্তি এর আগেও তুলেছে সে। কিন্তু সাবেরের জন্যে মনটা ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মালেকের। রাজনৈতিক এ পরিবর্তনে সে কতোটা বিপর্যস্ত, কী সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, খুব জানতে ইচ্ছে করে। রিক্সায় উঠে বসে সে তাড়া লাগায়,

–ওঠ ওঠ! দেখা করে এক্ষুণি চলে আসবো।

আর কথা বাড়ায় না সেলিম, উঠে বসে রিক্সায়। দ্রুত চালাতে অনুরোধ করে রিক্সাঅলাকে।

মোহম্মদপুরে ঢোকার পর কিছুটা চাঞ্চল্য পরিলক্ষিত হয়। দোকানপাট কিছুই খোলেনি বটে, কিন্তু রাস্তায় মানুষ বেরিয়েছে। অধিকাংশই মুসল্লী; তবে মুসল্লী ছাড়া সাধারণ মানুষও আছে। দু’চারটি রিক্সাও নেমেছে এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যেই। এক রিক্সাঅলার কাছে জানা গেল, গত রাতে ধানমন্ডি থেকে নিক্ষিপ্ত এক লক্ষচ্যুত রকেট মোহম্মদপুরের কোন বাড়িতে আঘাত হেনেছে, সে বাড়ির ৭/৮ জন সদস্যের সবাই নিহত।

যার জন্যে এত ছোটাছুটি, বাসায় এসে দেখে গেল সে-ই নেই। নূরজাহান জানালো মিনিট দশেক আগে কোথায় বেরিয়ে গেছে, এক্ষুণি আসবে। নূরজাহানের চোখের নিচে বেদনার বিষণ্ণ মেঘ খেলা করে। ভালো করে তাকাতে পারে না মালেক। অভিমান করে কথাই বলে না অনেকক্ষণ। সেলিম এরই মাঝে তাড়া লাগায়। মনে করিয়ে দেয় বাইরে রিক্সা দাঁড়িয়ে আছে। ঘড়ির কাঁটায় মাপা সময়, এক মুহূর্তও অপচয় করার উপায় নেই। হঠাৎ সবাইকে চমকে দিয়ে মালেক তার আচানক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে,

– আমি বাড়ি যেতে চাই, সেলিম শোন…

নূরজাহান বিস্ময়ে ফেটে পড়ে,

– বাড়ি মানে?

– বাড়ি মানে আবার কী, বাড়ি। শোনো, তোমরা সাবধানে থেকো। আর সাবেরকে বলো…

এতক্ষণে নার্গিস এসে জড়িয়ে ধরে মালেককে। সেলিম ক্ষোভ প্রকাশ করে,

– আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গেল মালেক ভাই।

নার্গিসকে বুকের মধ্যে নিয়ে আদর করতে করতে জানায়,

– না, মাথা আমার ঠিক আছে। আমি আজই যাবো। সাবেরকে কিছুদিন বাইরে কোথাও থাকতে বলো।

নূরজাহান অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে উচ্চারণ করে,

– এ অবস্থায় তুমি কিছুতেই যাবে না।

উঠে দাঁড়ায় মালেক। নূরজাহানের চোখে চোখ রাখতে চেষ্টা করে মালেক, কিম্বা সে চোখ থাকে নমিত। রাস্তায় নেমে এসে সেলিমকে বুঝাতে চেষ্টা করে,

– আমাকে নিয়ে ভাবিসনে। আমি ঠিক চলে যাবো। তুই মাকে বুঝিয়ে বলিস।

– কী বলবো?

– আমি বাড়ি যাচ্ছি। তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো।

– আমি কিছুতেই বলতে পারবো না।

হনহন করে হেঁটে চলে যায় সেলিম। মালেক চিৎকার করে ডাকে। সে দাঁড়ায় না। অবশেষে রিক্সাঅলাকে তার পিছে পিছে পাঠিয়ে মালেক নিজের পথে না বাড়ায়। বাড়ি তাকে যেতেই হবে। আর কারো জন্যে না হোক, রওশনের জন্যে…

বি. দ্র. দর্পণে প্রকাশিত সকল লেখার স্বত্ব দর্পণ ম্যাগাজিন কর্তৃক সংরক্ষিত। দর্পণ থেকে কোনো লেখার অংশ অন্যত্র প্রকাশের ক্ষেত্রে দর্পণের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক।

একই ধরনের লেখা

দর্পণে লিখুন

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, মুভি পর্যালোচনা, বই আলোচনা, ভ্রমণ অথবা দর্পণের যে কোনো বিভাগে

লেখা পাঠানোর ইমেইল

editor@dorpon.com.bd
নিয়মাবলী জানতে ক্লিক করুন
ADVERTISEMENT
মাসওয়ারি
প্রবন্ধ

সাহিত্যের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ

আলী রেজার প্রবন্ধ সাহিত্যের শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বিজয় বাঙালি জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমেই বাঙালি

গল্প আলোচনা

গল্প পাঠপ্রতিক্রিয়া: রিপনচন্দ্র মল্লিকের ‘স্বর্ণসন্তান’

গল্প পাঠপ্রতিক্রিয়া: রিপনচন্দ্র মল্লিকের ‘স্বর্ণসন্তান’ পিন্টু রহমান (‘স্বর্ণসন্তান’ গল্পটি শব্দঘর সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, পরবর্তীতে ‘কাঠপরানের দ্রোহ’ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়) 

দারিদ্র্য

হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্‌। তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান কন্টক-মুকুট শোভা।-দিয়াছ, তাপস, অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস; উদ্ধত উলঙ্গ

গল্প

সরীসৃপ

“সামিনা, দেখো; বিষয়টা তুমি কীভাবে নেবে জানি না। কিন্তু আমি খোলাখুলিই বলতে চাই—বেবিটা অ্যাবরশন করে ফেলব।” গায়ে কোট চাপাতে চাপাতে