জসীমউদ্দিন

জসীমউদ্দিন

হাসির গল্প

পুতা লইয়া যাও

হাটে একটি প্রকাণ্ড বোয়াল মাছ উঠিয়াছে। এক ফকীর ভাবিল, এই বোয়াল মাছটার পেটি দিয়া যদি চারটি ভাত খাইতে পারিতাম! সে মাছের দোকানের কাছে দাঁড়াইয়া রহিল।

হাসির গল্প

পান্তা বুড়ী

পান্তা বুড়ী রোজ পাতিল ভরে ভাত রাঁধে। তার কতকটা খায়, আর কতকটায় পানি ঢেলে পান্তা করে রাখে। পানির ঠাণ্ডায় ভাত পচে যায় না। রোজ সকালে

হাসির গল্প

ঘুঘু দেখেছ, ফাঁদ দেখনি

বাপ মরে গিয়েছে। ঘুঘু আর ফাঁদ দুই ভাই। কি একটা কাজে দুই ভাইয়ের লাগল মারামারি। ফাদ রেগে বলল, “তুই ঘুঘু দেখেছিস। কিন্তু ফাঁদ দেখিস নাই।”

হাসির গল্প

শেয়ালসা পীরের দরগা

রহিম এক ঝাঁকা সুপারি নিয়ে হাটে যাচ্ছিল। মাঠের মধ্যে যেখানে তিন পথ একত্র হয়েছে সেখানে শেয়ালে পায়খানা করে রেখেছে। এইখানে এসে সে হঠাৎ আছাড় খেয়ে

হাসির গল্প

ভাগাভাগি

বাপ মরে গিয়েছে। দুই ভাই আলাদা হবে। বড়ভাই ছোটভাইকে বলল, “দেখ, আমাদের একটিমাত্র গাই (গাভী) আছে, কেটে তো আর দুই ভাগ করা যাবে না। তুই

হাসির গল্প

হেনতেন

অল্প বয়সেই আজিজের বাপ-মা মরে গেল। বুড়ো নানা আজিজকে এনে তাঁহার বাড়িতে রাখলেন। কিন্তু তার মতো দুষ্ট ছেলেকে সামাল দিবেন কতদিন? আজ এটা নষ্ট করে,

হাসির গল্প

প্রহারেণ ধনঞ্জয়

এক কুলীন ব্রাহ্মণ ছিল খুবই গরীব। কোনোরকমে দিন চলে যায়। কোন এক বর্ষাকালে সাত মেয়ের সাত জামাই এসে বসে আছে তার বাড়িতে। বেচারি শ্বশুর আজ

হাসির গল্প

এক কথায় এত কিছু

শ্বশুরবাড়ি গিয়ে জামাই কোনো কথা বলে না। শালীরা-শালারা কত ঠাট্টা-তামাসা করতে আসে; সে কোনো উচ্চবাচ্য করে না। তখন শ্বশুর গিয়ে জামাইয়ের বাপকে বলে, “দেখুন, আপনার

হাসির গল্প

তাহা আমি জানি

এক রাখাল ছেলে মাঠে গরু ছেড়ে দিয়ে গাছ তলায় বসে আছে। এমন সময় এক মুসাফির এসে তাঁকে বলল, “বাবা, তুমি আমাকে একটু পানি খাওয়াবে? আমার

হাসির গল্প

আমাদেরটাই পথ দেখাল

রহিম শেখ খুবই অসাবধান। আজ এটা ভাঙে, কাল ওটা হারায়। এজন্য বউ তাকে অনেক বকে। কিন্তু এতো বকেও বউ তাকে সাবধান করতে পারে না। সেদিন