গোবিন্দলাল হালদারের তিনটি ছড়া
প্রজাপতির রঙিন পাখা
রঙিন মনের আশা
রঙিন ফুলের দেশে ঘোরে
তাই গড়ে নাই বাসা।
ফুলের সাথে প্রেম পিরিতি
ফুল বাসরেই থাকে
ফুলের রেণু মনের ভুলে
পেখমগুলোয় মাখে।
প্রজাপতির দুইটি ডানা
নানান রঙের রেখা
প্রজাপতির সাথে আমার
সকাল বিকাল দেখা।
রঙিন ফুলের দু'টি মালা
খুব প্রয়োজন ছিলো
আমার প্রেমের প্রজাপতি
তাই উপহার দিলো।
সাগর আসবে সবার বাড়ি
দেখো আষাঢ় মাসে
আকাশ ভরা মেঘের ছড়া
সেই কারণে ভাসে।
সাগর আসবে সবার বাড়ি
মেঘ ডাকে গুড় গুড়
বিজলি রানীর আগুন পায়ে
নূপুর তোলে সুর।
সাগর আসবে সবার বাড়ি
বৃষ্টির খবর নিয়ে
জল কাদায় হয় মাখামাখি
কোলাব্যাঙের বিয়ে।
সাগর আসবে সবার বাড়ি
জল থইথই সরা
সাগর মানেই জল আলিঙ্গন
জলের বসুন্ধরা।
গরম এখন চরম চরম
আম কাঁঠালে রঙের ধরন
গা থেকে ঘাম হচ্ছে ক্ষরণ
সূর্য মামার রাগের কারণ
রেগে, আগুন ঢেলেছে।
মাঠ ফেটেছে কাঠ ফেটেছে
নদী নালা বিল ফেটেছে
হাওড় বাওড় ঝিল ফেটেছে
বুকের ছাতি তাও ফেটেছে
ও হায়, হৃদয় জেলেছে।
ক্ষেপে গেছে সূর্য মামা
পৃথিবীটা হচ্ছে ঝামা
আগুন তাপে হচ্ছে তামা
মামার গায়েও আগুন জামা
টেনে, ছিঁড়ে ফেলেছে।
এত গরম যদি পরে
এই পৃথিবী যাবে মরে
দমের বাতাস মনের ঘরে
যাবে না আর সহজ করে
খেলা, উল্টো খেলেছে।