হাসান সাইদুল
সাংবাদিক এবং সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী।
হাসান সাইদুল

সংস্কৃতি এবং রাজনীতি দুই অঙ্গনেই একমাত্র তরুণদের উপরই আমি ভরসা পাই: আহমদ রফিক

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

ব্যক্তিজীবনে চিকিৎসক হলেও আহমদ রফিক একই সাথে কবি, প্রাবন্ধিক ও গবেষক। একজন ভাষা সংগ্রামী হিসেবে তার রয়েছে সুপরিচিতি। ছাত্র জীবনে তিনি বাম রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এখনও সে ধারার রাজনীতি করছেন। ভাষা সংগ্রামী আহমদ রফিক ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে ৯০ বছর বয়স অতিক্রম করে ৯১-এ পা দিয়েছেন। সম্প্রতি এক সন্ধ্যায় সাংবাদিক হাসান সাইদুলের সাথে ইস্কাটনের বাসভবন অপরাজিতায় আহমদ রফিকের আড্ডা হয়। আড্ডার চুম্বক অংশ দর্পণে তুলে ধরা হলো।


হাসান সাইদুল

জীবন থেকে আরও একটি বছর চলে গেলো, এ বিষয়ে আপনার অনুভূতি কেমন?

আহমদ রফিক

আমি আসলে জন্মদিন পালনে বিশ্বাসী না। এটা একটা ছেলেমানুষী। আমি মনে করি এর মাধ্যমে জীবন থেকে আরও একটা বছর চলে গেলো। এ নিয়ে চিন্তা থাকে। গেলো বছর কেমন কাটলো। সামনের দিনগুলো বা কেমনে কাটাবো এসব চিন্তা থাকে। জন্মদিনে উৎসব করার বিষয়টা আমার কাছে জরুরী মনে হয় না।

হাসান সাইদুল

আপনার ছোটবেলার কিছু স্মৃতির কথা জানতে চাই?

আহমদ রফিক

আমার বাবা খুব ছোটবেলায় মারা গিয়েছিলেন। মা সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকতেন অনেক সময়। তাই নির্জনে আমার সময় কাটতো। খুব শান্তশিষ্ট ছিলাম। তেমন দুরন্ত ছিলাম না। ছেলেবেলায় আমি নজরুলের কবিতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। স্কুল জীবন থেকেই দুটো জিনিস আমার মধ্যে গভীরভাবে নাড়া দিয়েছে। একটি রাজনীতি, অন্যটি সাহিত্য। রাজনীতি মানে মুসলিম লীগের রাজনীতি নয়, বামপন্থি জাতীয়তাবাদের রাজনীতি। আমি কবিতায় বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম আর রাজনীতিতে সুভাষচন্দ্র বসুতে প্রভাবিত ছিলাম।

হাসান সাইদুল

সাহিত্য এমনকি সাহিত্যিকদের লেখার অন্যতম উপজীব্য হলো চির সুবজ গাছ ও নদী– যা আমাদের দেশে ক্রমশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এ বিষয়ে আপনি কী মনে করেন?

আহমদ রফিক

একেবারেই সত্যি কথা বলেছো। আসলে এমন প্রশ্ন কেউ করেনি আগে। আমাদের দেশকে চির সবুজের দেশ এবং নদীমাতৃক দেশ বলা হতো, অথচ এই দুটি অসাধারণ স্বীকৃতি আমাদের দেশ অবহেলায় হারাতে বসেছে যেনো। সবুজ এবং নদী দুটো দূষিত, হারিয়ে যাচ্ছে। বৃক্ষ এবং নদী লেখক সাহিত্যিকদের লেখার একটি অন্যতম উপজীব্য তাই সাধারণ মানুষ তো বটেই লেখক সাহিত্যিকদের সচেতন হতে হবে। সে সাথে সরকারকে আরও উদ্যোগী হতে হবে। সকলকে নদী বাঁচানোর জন্য সচেতন করতে হবে। আর আমরা যারা শহরে থাকি, তারা সকলে বাড়ির বারান্দায় এবং ছাদে গাছ লাগতে পারি। প্রকৃত অর্থে নিজকে সচেতন করতে হবে আগে।

হাসান সাইদুল

ভাষা আন্দোলনে কীভাবে জড়িয়েছিলেন, সেই স্মৃতি সম্পর্কে যদি বলতেন?

আহমদ রফিক

স্কুলজীবন থেকে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলাম। সে সময় ছাত্র জীবনে বাম রাজনীতি করেছি। ৪৭ সালে কলেজ জীবনেও তাই। এরপর ৪৯ সালে ঢাকায় এসে স্বভাবতই সব গণআন্দোলনের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেছি। এবং সেই ধারাবাহিকতায় ভাষা আন্দোলনে যোগদান।

হাসান সাইদুল

আপনি তো ভাষা সংগ্রামী, ভাষা নিয়েই রক্ত ঝরিয়েছে আমাদের বাংলাভাষীরা; তার পরেও ভাষার মাস, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস কেনো খ্রিস্ট্রীয় সালে পালন করা হয়?

আহমদ রফিক

আসলে এটা একটি চিন্তার বিষয়। আগেও আমি বলেছি। অফিসিয়ালি এবং তৎকালীন সময়ে শিক্ষিতজনরা ইংরেজি মাসে দিন গুনতো। মানে খ্রিস্ট্রীয় সাল ব্যবহার করতো। বাংলা মাস মানে আষাঢ় শ্রাবণ ইত্যাদি মাসগুলো গ্রামের মানুষ ব্যবহার করতো, এখনও তারা বাংলা মাসই ব্যবহার করে থাকেন। শহরে বা যারা উচ্চ শিক্ষিত তাদের অনেকেই বাংলা সাল ও মাসের নাম জানে না। প্রকৃত অর্থে এভাবেই ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস পালন করা হলো। একই ধারায় ২৬ মার্চ, ১৬ই ডিসেম্বর পালন করা হয়।

হাসান সাইদুল

যে অর্থে বাংলা ভাষা অর্জন করা হলো সে হিসেবে বাংলা ভাষা কী আমাদের জন্য সার্বজনীন হয়েছে বলে মনে করেন?

আহমদ রফিক

এখনও সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলিত হয়নি। ৫২ সালে আমরা তিনটি স্লোগানে মুখর ছিলাম। (এক) রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, (দুই) রাজবন্দিদের ফেরত চাই, আর (তিন) সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার। প্রথম মানে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই, আমরা তা অর্জন করতে পেরেছি। পরের দুটি স্লোগান অনুযায়ী আমরা অর্জন করতে পারিনি।

হাসান সাইদুল

২১-এ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ সালের বিশেষ স্মৃতি কী মনে করতে পারেন?

আহমদ রফিক

ওই দিনটা ছিলো শোক ও স্মৃতির। আমি স্বচোখে কত কী দেখেছি সব হয়তো মনে নেই। তবে আমি আমার কয়েকটা বইয়ে লিখিছিও যে, তখন চিকিৎসা সেবা খুব ভালো ছিলো না। ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে যখন আমরা আন্দোলন শুরু করলাম। পুলিশ তখন গুলি ছুঁড়ল। বরকতের কপালে গুলি বিঁধে; জব্বারের মাথায়, রফিকের পায়ে। বরকত তো সাথে সাথেই মারা গেলো। জব্বার ও রফিককে আসলে বাঁচানো যেতো। জব্বারের বুকে আর রফিকের পায়ে গুলি বিঁধলে প্রচুর রক্ত ঝরে। রক্ত থাকলে এ দুজনকে বাঁচানো যেতো। সিরাজউদ্দিন নামে আরেকজন ছিলো সেও ওইদিন গুলি খেয়ে মারা যায়। তারও পায়ে গুলি বিঁধেছিল।

হাসান সাইদুল

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাংলা ভাষা নিয়ে আপনার অভিমত কী?

আহমদ রফিক

আমাদের দেশে সংবিধানে আছে রাষ্ট্রভাষা বাংলা। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে আদালত পর্যন্ত কোথাও বাংলা ভাষার সঠিক স্থান নেই। বিদেশি ভাষার ব্যবহারই বেশি। সত্যিকার অর্থে এখন আর ভাষা সম্পর্কে আমাদের মমত্ববোধ বা দায়িত্ববোধ নেই। আমাদের দেশে বাংলা ভাষা উচ্চারণের ক্ষেত্রেও আছে অসঙ্গতি। বাংলা ভাষার পরিবর্তে ইংরেজির ব্যবহার বেড়েছে। বাংলা ভাষার প্রতি যে আমাদের ভালোবাসা থাকা দরকার সেটির বড় অভাব এখন। বাচ্চাদের বিদেশি ভাষা শেখার প্রতি এক প্রকার চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। ক্রমশ ইংরেজি মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। অন্য প্রতিষ্ঠানের কথা বাদই দিলাম আমাদের দেশে যে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে সেগুলোতেও উচ্চ শিক্ষায় নাই বাংলার ব্যবহার। মেডিকেলে পড়তে হলে ইংরেজিই বাধ্যতামূলক। সবক্ষেত্রে বাংলা ভাষা অবহেলিত।

হাসান সাইদুল

৪৭-এ দেশ ভাগ, ৫২-এর ভাষা আন্দোলন এবং ৭১ পূর্ব বাংলা সাহিত্যের সব লেখক সাহিত্যিকরা বলা চলে একজোট ছিলো। লেখার উপজীব্যও ছিলো প্রায় অভিন্ন। কিন্তু এখন সেই অভিন্নতা নেই তার কারণ কী?

আহমদ রফিক

তা তো স্পষ্টই। ৪৭ সালে, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনকালে সব লেখক সাহিত্যিকদের লক্ষ্য ছিলো ভাষা ও স্বাধীনতা। সকলে সম্মিলিতভাবে দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশের জন্য তখন খেত-খামারে থাকা লোক যুদ্ধ করেছে। স্কুল শিক্ষক, লেখক সাহিত্যিকরা কাজ করেছে। কিন্তু ৭১-এ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাহিত্যিকরা ভাগ হতে লাগলো তার কারণও আছে। সকলেই এখন আত্মকেন্দ্রিক হয়ে গেছে। এখন এমন একটা ভাব পরিলক্ষিত। সবাই নিজের চিন্তা করছে। এখন এমনও শোনা যায় যে, কে বড় কবি কে ছোট কবি; কে ভালো কে মন্দ। এখন অনেকইে শাসক দলের কাছে নিজের বিবেককে অর্পণ করছে। যার ফলে এখন আর লেখক-সাহিত্যিকদের মাঝে কোনো ঐক্য নেই। এর ফলও কিন্তু ভালো না। আমরা প্রতিনিয়ত তা দেখছি।

হাসান সাইদুল

পৃথিবীতে ব্যবহার না করার ফলে অনেক ভাষা প্রায়ই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে, আপনার কি মনে হয় একটা সময় বাংলা ভাষার অবস্থাও তাই হবে?

আহমদ রফিক

অসম্ভব! যত দিন বাংলা সাহিত্য থাকবে ততদিন বাংলা ভাষার ব্যবহার থাকবে । পৃথিবীতে একটি মাত্র ভাষা ‘বাংলা’– যা রক্ষা করতে মানুষ জীবন দিয়েছে। যে ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই একটি দেশ স্বাধীন হয়েছে সে ভাষা টিকে অবশ্যই টিকে থাকবে। বিলুপ্ত হওয়ার প্রশ্নই আসে না। হয়তো বিদেশি কিছু শব্দ বাংলা ভাষায় স্থান করে নিয়েছে। মানুষ সে শব্দগুলোকে বাংলা থেকে আলাদা করতে পারবে না।

হাসান সাইদুল

৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ১৯৭১-এর স্বাধীনতা সংগ্রামের পথ খুলে দেয়। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

আহমদ রফিক

এটা ঠিক যে ৫২-এর ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠা নয়, সব ধরনের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়েরও আন্দোলন ছিল। সাহিত্য-সংস্কৃতিতে এবং রাজনীতিতে। এর প্রমাণ মেলে পরবর্তী সময়ে আমাদের সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার বিকাশ এবং রাজনীতির গণতান্ত্রিক প্রকাশে। ভাষা আন্দোলনের এই বহুমাত্রিক চরিত্রের প্রকাশ বিশেষভাবে ঘটেছে ষাটের দশকে জাতীয়তাবাদী ও প্রগতিবাদী রাজনীতির বিকাশে। আর ‘রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব’ সবাই স্বীকার করেন যে, ৫২-এর ভাষা আন্দোলনের পথ ধরে যে জাতীয়তাবাদী চেতনা ও রাজনীতির বিকাশ, তার পরিণতি একাত্তরের স্বাধীনতার যুদ্ধ। পরিণামে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অভ্যুদয়। দুঃখজনক হলেও সত্য যে কারণে আমরা ভাষা আন্দোলন করলাম তা আজও পূরণ হয়নি। রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হলেও তা এখনও সার্বজনীন হয়নি।

হাসান সাইদুল

একমাত্র শিক্ষিতরাই তো বর্তমানে বাংলা ভাষাকে কলুষিত করছে, আপনার কী মনে হয়?

আহমদ রফিক

ইংরেজির প্রাধান্য সর্বত্র বর্তমান। পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে এটা অকল্পনীয় ছিল। এ সমস্যা প্রধানত শিক্ষিত শ্রেণিকে ঘিরে। অথচ গ্রামের মানুষ বাংলা সন তারিখ থেকে শুরু করে সবকিছুই বাংলায় সম্পন্ন করতে অভ্যস্ত। কিন্তু অশিক্ষার কারণে সমাজে তাদের নিয়ন্ত্রক শক্তি নেই। বরং শিক্ষিত শ্রেণী ও ধনিক শ্রেণী বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতিগত প্রতিনিধিত্ব করছে।

হাসান সাইদুল

এখন তরুণ প্রজন্মকে কীভাবে বাংলা ভাষার প্রতি আকৃষ্ট করা যায়?

আহমদ রফিক

রাষ্ট্রভাষাকে জাতীয় ভাষা এবং জীবিকার সঙ্গে যুক্ত করতে না পারলে মাতৃভাষার এই অবেগের ফুলঝুরি ও স্লোগান দিয়ে কোনো লাভ হবে না। আকাশ সংস্কৃতি, অপসংস্কৃতি ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতি বাংলাদেশি এবং বাংলা ভাষাকে দুর্বল করছে। বিশ্ব সংস্কৃতি, সাম্রাজ্যবাদী কর্পোরেট পুঁজি, বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি ও বিশ্ব বাণিজ্য একই সঙ্গে ভোগবাদী সমাজের আদর্শ মিলে এমন একটা অবস্থানে পৌঁছেছে যে আমাদের নিজস্ব আদর্শ ঐতিহ্য এখন বিসর্জন দেয়ার পর্যায়ে রয়েছে। এই প্রভাব থেকে নতুন, তরুণ প্রজন্ম ও আমরা যদি মুক্ত হতে না পারি এবং খাটি স্বদেশ ও মাতৃভাষা প্রেম নতুন ও তরুণ প্রজন্মের মধ্যে যদি চর্চা না হয় তাহলে এ থেকে মুক্তিলাভ হবে না।

হাসান সাইদুল

বাংলা ভাষাকে জীবিকার সঙ্গে যুক্ত করতে হবে বলে কী বুঝাতে চাইছেন? একমাত্র জীবিকার ভাষা বাংলা করতে হবে সেটা কীভাবে?

আহমদ রফিক

বর্তমানে যে প্রজন্ম তৈরি হচ্ছে তারা বিদেশি ভাষায় কথা বলতে পারলে মনে করে বিশাল কিছু হয়ে গেছে। আর বিদেশি ভাষা জানলে এখন বড় বড় কোম্পানি এবং বিদেশে চাকুরি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। যার ফলে প্রজন্ম এখন বাধ্য হচ্ছে, আর যেভাবেই হোক বিদেশি ভাষা শিখছে। আর এটাই হচ্ছে জীবিকার ভাষা। আজ যদি সব জায়াগায় বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হতো, কর্মসংস্থানগুলোতে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক হতো তবে এমন হতো না।

হাসান সাইদুল

তরুণ প্রজন্মের জন্য আপনার পরামর্শ কী?

আহমদ রফিক

একমাত্র তরুণরাই তো সে দিন জেগে ওঠেছিল! ৫২-এর ভাষা আন্দোলন তো করেছিলো ছাত্ররা। ১৪৪ ধারা তো মন্ত্রী এমপিরা ভঙ্গ করেনি, ছাত্ররাই করেছে। সত্যিকার অর্থে সংস্কৃতি এবং রাজনীতি দুই অঙ্গনেই একমাত্র তরুণদের উপরই আমি ভরসা পাই। তারা স্বাধীনভাবে চিন্তা করবে রাজনীতির সুস্থতা এবং শুদ্ধতা নিয়ে। ছাত্র রাজনীতির বিরোধী নই কিন্তু তাই বলে ছাত্র রাজনীতির নামে গুন্ডামি, টেন্ডারবাজি, মাস্তানি, খুন, নির্যাতন চালাবে তা কোনোভাবেই হতে পারে না। সুস্থ রাজনীতি করতে হবে। চিন্তাশীল, মননশীল তারুণ্যের মেধার বিকাশ ঘটাতে হবে। পঞ্চাশের দশকে আমরা রাজনীতিটাকে প্রাধান্য দিয়েছিলাম, তেমনি আজকের তরুণ সমাজগঠনে কাজ করবে; তবে তা সত্য ও ন্যায়ের পথে থেকে।


This is an original content which is written by a DORPON author. Copying and publishing any part of the content is strictly prohibited.

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu