মে, ১৯৪৫ । দীর্ঘ ৬ বছর ধরে চলা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইউরোপীয় অংশের সমাপ্তি ঘটে জার্মানির আত্মসমর্পণের মাধ্যমে। জার্মানির সার্বভৌম ক্ষমতা চলে যায় মিত্রশক্তির চার দেশ আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়নের কাছে।
তারা দেখতে পায় এক ভঙ্গুর জার্মানিকে। মিত্রশক্তির বোমাবর্ষণের কারণে পুরো জার্মানির প্রায় এক চতুর্থাংশ বাড়িঘর ধবংসপ্রাপ্ত, অর্থনৈতিক কাঠামো অকার্যকর, মুদ্রাস্ফীতি তুঙ্গে এবং খাদ্যাভাবে শহরবাসীর অপুষ্টিতে ভুগছে। তার উপর যোগ হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ হতে আগত কয়েক মিলিয়ন জার্মান শরণার্থী। এমন একটি অবস্থা ছিল তখন যাকে স্মরণ করা হয় “Zero Hour” হিসেবে– যেখান থেকে সবকিছু পুনর্নির্মাণ করতে হতো।
সামরিক নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন জার্মানিকে নিজেদের মধ্যে চার ভাগ করে নেয়। আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স পশ্চিম জার্মানির অংশ নেয় এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন নেয় পূর্ব জার্মানি। জার্মানির প্রাক্তন রাজধানী বার্লিন চার শক্তির যৌথ প্রশাসনে পরিচালিত হবে, তবে পরিচালনার সুবিধার্থে একেও চার ভাগ করে নেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা পুরো যুদ্ধ পূর্ব জার্মানির জন্য ছিল না ।সোভিয়েত ইউনিয়ন আগেই পূর্ব জার্মানির ওডের এবং নেইসি নদীর জার্মান অঞ্চলগুলোতে সরাসরি সোভিয়েত ও পোল্যান্ড এর প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পরিচালনা শুরু করে, যার বেশিরভাগ অংশ পোল্যান্ডকে দেওয়া হয়। জার্মানির এই অংশগুলো হচ্ছে পূর্ব প্রুশিয়া, পমেরানিয়ার বেশিরভাগ অঞ্চল এবং সিলেসিয়া। তবে পশ্চিমাঞ্চলীয় মিত্রশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নের এই পদক্ষেপ মেনে নেয়নি, তারা প্রত্যাশা করে যে চূড়ান্ত শান্তিচুক্তির মাধ্যমে এসব ব্যাপার সমাধান হবে।
কিন্তু মিত্র শক্তির মধ্যে ব্যাপক মতপার্থক্য থাকার কারণে তাদের মধ্যে কখনোই শান্তি সম্মেলন হয়নি। বিভিন্ন বিষয়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও অন্যান্য মিত্রশক্তির মধ্যকার মতপার্থক্য দিন দিন তীব্র হতে থাকে। বিশেষ করে জার্মান ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়ন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির স্বীকার হয়েছিল। তাই তারা জার্মানির কাছ থেকে এর ক্ষতিপূরণ চাচ্ছিল। প্রাথমিকভাবে অন্যান্য মিত্রশক্তি রাজি হলেও তারা সোভিয়েত দ্বারা সমস্ত জার্মান ফ্যাক্টরি দখল এবং উৎপাদন এর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়াকে মেনে নিতে পারেনি। এছাড়া সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত এলাকা মূলত কৃষিভিত্তিক হওয়ায় মিত্রপক্ষ ক্ষতিপূরণের পরিবর্তে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় খাদ্য সরবরাহের কথা বলেছিল। কিন্তু সোভিয়েতরা খাদ্য পাঠাতে ব্যর্থ হচ্ছিল, ফলে পশ্চিমা মিত্রদের নিজেদের খরচের মাধ্যমে জার্মান জনগণ এর খাদ্য সহায়তা দিতে হচ্ছিল।
আমেরিকান এবং ব্রিটিশরা বিকল্প পরিকল্পনা হিসেবে জার্মানির কলকারখানা চালুর কথা বলেছিল তখন সোভিয়েতরা এর বিরধিতা করে। ১৯৪৬ সালে পশ্চিমা মিত্ররা সোভিয়েত ইউনিয়নকে তাদের নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল হতে ক্ষতিপূরণ নেওয়ার অনুমতি প্রত্যাহার করে। ফলে সহযোগিতা ভেস্তে যেতে থাকে এবং সোভিয়েত ও পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বিপরীতমুখী সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে উঠতে থাকে।
মূলত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকেই সোভিয়েত এবং মার্কিন সম্পর্কে সন্দেহ চলে আসতে থাকে। এর কারণ হলো দুইটি আদর্শ– পুঁজিবাদ এবং সমাজতন্ত্র। মার্কিনরা বিশ্বে পুঁজিবাদের, সোভিয়েতরা সমাজতন্ত্রের ধারক এবং বাহক ছিল। এই বিপরীতমুখী দুই আদর্শের মধ্যে প্রতিযোগিতার সরাসরি প্রভাব পড়ে তখনকার জার্মানিতে। অনেকেই মনে করেন, মূলত নিজেদের কৌশলগত অবস্থান শক্তিশালী করার জন্যই এই দুই শক্তি জার্মানিকে নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায় এবং এ থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত।
১৯৪৫ সালে মিত্রশক্তিরা জার্মানির রাজনৈতিক দল গঠনের অনুমতি দেয়। জার্মানির ভাইমার যুগের দুই বাম দল খুব দ্রুতই গড়ে উঠে– সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (SDP) এবং জার্মান কমিউনিস্ট পার্টি (KPD) আরও দুইটি নতুন দল গড়ে উঠে– খ্রিস্টিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি (CDU) এবং ফ্রি ডেমোক্রেটিক পার্টি (FDP)। এপ্রিল, ১৯৪৬ সালে সোভিয়েতদের চাপে পড়ে এসডিপি এর নেতারা পূর্ব জার্মানিতে কমিউনিস্টদের সাথে একত্র হবার সিদ্ধান্ত নেয়, গঠিত হয় সোস্যালিস্ট ইউনিটি পার্টি (SED), সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত এলাকায় সোভিয়েতদের অনৈতিক সাহায্য পেয়ে এসইডি স্থানীয় এবং আঞ্চলিক নির্বাচন জিতে নেয়। কিন্তু অক্টোবর, ১৯৫৬ সালে যখন বার্লিনে (যেখানে চার শক্তিরই নিয়ন্ত্রণ ছিল) অধিকতর অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় যাতে এসইডি এসপিডির কাছে হেরে যায়।
১৯৪৭ সালে পশ্চিম জার্মানিতে বিভিন্ন পর্যায়ের অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে থাকে। কিন্তু একথা পরিষ্কার হয়ে যায় যে, সোভিয়েতদের অঞ্চলে তারা মুক্ত স্বাধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত করবে না। তখন আমেরিকা এবং ব্রিটেন জার্মানির অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়নের জন্য নিজেদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং তাদের এলাকার নাম দেয় ‘Bizonia’। বিজনিয়ায় দ্রুত রাজনৈতিক দলগুলো শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে। ১৯৪৮ সালে সোভিয়েতদের অপেক্ষা না করে পশ্চিমা শক্তিগুলো নিজেদের পরিকল্পনায় অগ্রসর হতে থাকে। তারা জার্মানিতে ব্যাপক অর্থনৈতিক সাহায্য এবনং সুবিধা দিতে থাকে এবং পশ্চিম জার্মানিতে নতুন মুদ্রা প্রচলন করে যার নাম ডয়শেমার্ক। এসব পদক্ষেপের কারণে জার্মান অর্থনীতি ভালো হতে শুরু হয়। কিন্তু নতুন মুদ্রা চালু হবার ব্যাপারটি সোভিয়েতরা একেবারেই ভালোভাবে নিতে পারেনি। জুন ১৯৪৮ সালে সোভিয়েতরা বার্লিনের পশ্চিমাঞ্চল অবরোধ করে এবং সে অঞ্চলে থাকা ২ মিলিয়ন মানুষের ব্যাপক খাদ্য ও জ্বালানি সংকট দেখা দেয়। ১৯৪৮-৪৯ সালে পশ্চিমাশক্তি প্লেনের সাহায্যে পশ্চিম বার্লিনে খাবার ও রসদ পাঠালে সোভিয়েতদের অবরোধ ব্যর্থ হয়। মে, ১৯৪৯ সালে সোভিয়েতরা অবরোধ তুলে নেয়।
বার্লিন অবরোধের ফলে পশ্চিমা মিত্ররা জার্মানির রাজনৈতিক পুনর্গঠন নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ে। ফলে এ প্রক্রিয়া তারা দ্রুত সম্পাদন শুরু করে। এপ্রিল, ১৯৪৯ সালে ফ্রান্স ‘Bizonia’-তে যুক্ত হয়, ফলে এর নতুন নাম হয় ‘Trizonia’। ১৯৪৯ সালের বসন্তের মধ্যে ৬৫ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টারি কাউন্সিল নতুন সংবিধান প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করে ফেলে এবং মে, ১৯৪৯ সালে ফেডারেল রিপাবলিক অব জার্মানি বা পশ্চিম জার্মানির জন্ম হয়। এই দেশের রাজধানী হয় ‘বন’ এবং দেশটি হবে পার্লামেন্টারি গণতন্ত্র। অন্যদিকে, সোভিয়েত নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে পিপল কংগ্রেস গঠিত হয় এবং সদ্যগঠিত দেশটির নাম হয় জার্মান ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক বা পূর্ব জার্মানি। রাষ্ট্রটি সমাজতন্ত্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে।
মূলত সোভিয়েত এবং পশ্চিমা শক্তির মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে একক জার্মান রাষ্ট্র গঠিত হবার পরিবর্তে পাশাপাশি একই জাতির দুই বিপরীতমুখী ভিন্ন আদর্শের দুই রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
আগস্ট, ১৯৪৯ সালে পশ্চিম জার্মানিতে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্টিত হয়। এসডিপি ও এফডিপি যৌথভাবে সরকার গঠন করে। কনরাড এডেনুর প্রথম চ্যান্সেলর হন। তার নেতৃত্বে জার্মানির অর্থনীতি এগিয়ে যেতে থাকে। সরকার এ অঞ্চলে সামাজিক ন্যায় এবং সম্পদের সমান বণ্টননীতি গ্রহণ করে। এসব নীতির কারণে শিল্প দ্রুতগতিতে জেগে ওঠা শুরু করে, জীবনজাত্রার মান বৃদ্ধি পায় এবং রেশন দেওয়া বন্ধ হয়। পশ্চিম জার্মানির এই দ্রুত অর্থনৈতিক উত্থান ‘Economic Miracle’ হিসেবে পরিচিত।
অন্যদিকে পূর্ব জার্মানিতে এসইডির নেতৃত্বে অর্থনীতি গঠনে মনোযোগী হয়। কিন্তু এই অঞ্চল প্রাকৃতিক সম্পদ ছিল কম, জনগণ ছিল পশ্চিম জার্মানির এক তৃতীয়াংশ (১৭ মিলিয়ন)। সরকার সাধারণ শিল্পে ব্যাপক বিনিয়োগ করতে থাকে। কিন্তু সোভিয়েতদের যুদ্ধ ক্ষতিপূরণ দিতে থাকার কারণে শিল্পায়নের সুফল পুরোপুরি পূর্ব জার্মানি ভোগ করতে পারছিল না। মূলত এটি ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের পাপেট রাষ্ট্র। জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়নি তেমন, খাদ্যেও ছিল ব্যাপক ঘাটতি। প্রচুর কৃষক পূর্ব থেকে পশ্চিম জার্মানি চলে যাচ্ছিল।ফলে দীর্ঘদিন রেশন ব্যবস্থা চালু রাখতে হয়। এছাড়া কমিউনিস্ট সরকারের ব্যাপক দমননীতি, চার্চ উৎপীড়নসহ বিভিন্ন কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ পশ্চিম জার্মানি চলে যাচ্ছিল। ১৯৫২ সালে পশ্চিম জার্মানির সাথে পূর্ব জার্মানি সীমান্ত বন্ধ করে দিলেও বার্লিনের মাধ্যমে পূর্ব জার্মার্নির মানুষ পশ্চিমে চলে যাচ্ছিল।
অন্যদিক পশ্চিম জার্মানির উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত ছিল। চ্যান্সেলর এডেনুর পশ্চিমা শক্তির সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং ১৯৫১ সালে পশ্চিম জার্মানি ‘European Coal and Steel Community’-এর সদস্যপদ পায়। ১৯৫৫ সাকে এটি ন্যাটোর সদস্যপদ লাভ করে এবং বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পশ্চিমা মিত্রশক্তির কাছ থেকে সার্বভৌমত্ব লাভ করে। অন্যদিকে পূর্ব জার্মানিতে ১৯৫৩ সালে শ্রমিক আন্দোলন শুরু হয়। চারদিকে বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়লে সোভিয়েত সেনারা তা কঠোরভাবে দমন করে, অন্তত ২১ জন মারা যায় এবং কয়েকশত আহত হয়। ১৯৫৪ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন পূর্ব জার্মানির কাছ থেকে যুদ্ধ ক্ষতিপূরণ নেওয়া বন্ধ করে দেয়। ১৯৫৫ সালে পূর্ব জার্মানি সোভিয়েত নেতৃত্বাধীন ওয়ারশ প্যাক্ট এ যোগ দেয়, যা ছিল কমিউনিস্ট রাষ্ট্রসমূহের সামরিক জোট। কৃষিখাতে কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। কিন্তু ১৯৫৮ সালের পর থেকে সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় অবস্থা আবার খারাপ হতে থাকে।
১৯৬১ সাল। পূর্ব হতে পশ্চিমে চলে যাওয়ার হার নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে এ অবধি পালিয়ে যাওয়া মানুষ এর সংখ্যা দাঁড়ায় ৩ মিলিয়নে। আগস্ট ১৩, ১৯৬১ সালে পূর্ব জার্মানির সরকার বিশ্বকে হতবাক করে দিয়ে বার্লিনের পূর্ব অঞ্চল কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে আবদ্ধ করে ফেলে, পরবর্তিতে কনক্রিটের দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে পূর্ব বার্লিনকে পশ্চিম বার্লিন হতে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। অফিসিয়াল অনুমতি ছাড়া পূর্ব জার্মানির মানুষ আর পশ্চিম জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারে না। যারা দেয়ালে চড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবে তাদেরকে পূর্ব জার্মানি গুলি করার নির্দেশ দেয় এবং দেশ থেকে এভাবে পালিয়ে যাওয়াকে অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবে নিজেদের নাগরিকদের বন্দি করার মাধ্যমে পূর্ব জার্মানি নিজেদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করে এবং সোভিয়েত ব্লকের সবচেয়ে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হতে থাকে, তবুও এটি পশ্চিম জার্মানির চেয়ে পিছিয়ে ছিল। পূর্ব জার্মানির সরকার আরও কঠোরভাবে দমননীতি গ্রহণ করে, ফলে এটি সর্বাত্মকবাদী কমিউনিস্ট একনায়কতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়।
আসলে দুই জার্মানির মধ্যে বিভেদ গড়ে উঠেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই। বার্লিন দেয়ালের উত্থান ছিল কেবলমাত্র আনুষ্ঠানিকতা। জার্মানরা কখনোই চায়নি এই দেয়াল, কিন্তু পরাশক্তিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব এবং স্বার্থের খেলায় জার্মানির বিভক্তিকরণ ঘটে, যাতে জার্মান জনতা নিজেরাই ছিল কেবল দাবার ঘুটি। তবে কিভাবে বিভেদের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকা বার্লিন দেওয়াল জার্মানরা ভেঙ্গে ফেলে? সে বিষয়ে আলোচনা হবে আগামী পর্বে।