পিন্টু রহমান
১৩ অক্টোবর ১৯৭৫ খ্রি: চুয়াডাঙ্গার কুমারী গ্রামে জন্ম, পৈত্রিক ঘরবসতি কুষ্টিয়া জেলার বাজিতপুর গ্রামে। মাতা: জিন্নাতুন নেছা ও পিতা: বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিবর রহমান। তিনি একজন কথাসাহিত্যিক। গল্পের ছলে ভাষার আঞ্চলিকতায় চিত্রায়ণ করেন বাঙাল-জনপদের বহুমাত্রিক জীবনাচার। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ: পাললিক ঘ্রাণ (গল্পগ্রন্থ), পূরাণভূমি (উপন্যাস), কমরেড (উপন্যাস), পরাণ পাখি (গল্পগ্রন্থ)
পিন্টু রহমান

নাচের শহর রূপেশ্বরী : গল্পকার নুসরাত সুলতানার বহুমাত্রিক গল্পগ্রন্থ

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

গল্পকার নুসরাত সুলতানার ‘নাচের শহর রূপেশ্বরী’ গ্রন্থটি মানবিক সম্পর্ক, সামাজিক বাস্তবতা ও অতিপ্রাকৃত উপাদানের সমন্বয়ে রচিত একটি গল্পগ্রন্থ। গ্রন্থভুক্ত গল্পসমূহ পর্যালোচনা করে বলতে দ্বিধা নেই, এটি একদিকে যেমন সম্পর্কের সূক্ষ্ম দোলাচল ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণে গভীরতা আনে; তেমনি সমাজের প্রচলিত রীতিনীতি, লোভ, ক্ষমতা ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে। গল্পের ছলে লেখকের অনুসন্ধিৎসু মন আমাদের পাঠকমানসকে সমাজপাঠের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন।

কখনো এমন হয় যে, আবেগের প্রাবল্যে দার্শনিক চেতনা বিবর্জিত আখ্যান লিপিবদ্ধ করতে আমরা লেখকরা অস্থির হয়ে উঠি। কিন্তু নুসরাত সুলতানা সচেতনভাবে ওই পথ পরিহার করেছেন। ঘটমান ঘটনা এবং নিজস্ব মননের সমন্বয় ঘটিয়ে যে জগত বিনির্মাণ করেছেন, তা দার্শনিক চেতনায় উদ্ভাসিত। অথচ দর্শন কিংবা ভূগোল নয়, গ্রন্থটিতে সংকলিত হয়েছে সরস এবং সুখপাঠ্য সব গল্প। আসুন, গল্পের শরীরে গল্প ও গল্পকারকে তালাশ করি—

ইনকিউবেটর:
বিজ্ঞানমনস্ক একটি গল্প। বিজ্ঞানের বিশেষ জ্ঞান এবং দুই শিশুর জন্ম ও বেড়ে ওঠাকে কেন্দ্র করে গল্পের আখ্যান বিন্যস্ত হয়েছে। দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে আরিফ-লিজা দম্পতি গর্ভধারণ করে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সময়ের পূর্বে মিতুল ও টুটুল নামে দুটি যমজ শিশু ভূমিষ্ঠ হয়। অপুষ্টিজনিত কারণে জীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হলে চিকিৎসকরা তাদের ইনকিউবেটরে স্থানান্তরিত করে। শিশুদের জৈবিক রসায়নের বৈপরীত্যের পাশাপাশি ঐক্যসূত্রসমূহের নির্দিষ্টতা দেওয়ার যে প্রয়াস, নিঃসন্দেহে তা প্রশংসার দাবিদার। এছাড়া গল্পটি ভ্রাতৃত্ব, ভালোবাসা ও আত্মিক সম্পর্কের এক অনন্য উদাহরণ।

অদ্ভুত গোলাপ বাগান:
গল্পটি প্রেমের গভীর ও জটিল সমীকরণের কড়চা। ম্যারির গোলাপবাগান তৈরি করা দৃশ্যত প্রতীকী; যা তার নিজস্ব জীবন ও সম্পর্কের জটিলতাকে নির্দেশ করে। লেখকের বয়ানে শেরন ও ম্যারির সম্পর্কের উন্নতি ও তাৎপর্যপূর্ণ বাঁকগুলি মনোমুগ্ধকররূপে পাঠকহৃদয়ে প্রতিভাত হয়েছে।

ভোকাট্টা ঘুড়ি:
মনোমুগ্ধকর একটি গল্প। আখ্যানে ছড়িয়ে আছে মুগ্ধতার আবেশ। শাম্মী নামের একজন মহিলা তার জীবন, তার সম্পর্ক ও নিজের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্য দিয়ে গল্পকার পথ হাঁটে। গল্পটি একদিকে শাম্মীর আবেগ এবং স্বপ্নের এক জায়গা তুলে ধরছে, যেখানে সামাজিক মিডিয়ার পাতায় তার জীবন আর বাস্তবতা একে অপরের সঙ্গে মিলতে পারছে না। এটি একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পাঠকের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং এই সম্পর্কের গভীরতা, বিকৃতির পাশাপাশি ব্যক্তিগত সংঘাতও তুলে ধরে। গল্পের প্রতিটি দৃশ্য এবং চরিত্রের মাধ্যমে একটি অন্ধকার এবং আলোময় মনস্তাত্ত্বিক যাত্রা উপস্থাপন করা হচ্ছে।

দয়িত:
স্বপ্নবিলাসী কিশোরী বিনিতা ও তার পরিবারকে কেন্দ্র করে কাহিনি আবর্তিত হয়েছে। বিনিতা প্রত্যন্ত গ্রামে বসবাস করে, তার বাবা আফসার দিনমজুর, মা জরিনা গৃহিণী, আর ভাই ইমরান পড়াশোনা করে। বিনিতা নার্স হওয়ার স্বপ্ন দেখে, কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। অন্যদিকে গ্রামের প্রভাবশালী ধনী ব্যক্তি আজগর সাহেব, যিনি সুযোগসন্ধানী এবং লাম্পট্যের সুযোগ খোঁজেন। দরিদ্রদের সহায়তা করার নামে তিনি আসলে তাদের দুর্বলতাসমূহ কাজে লাগাতে চান।

বিনিতা ও করিম একই গ্রামের বাসিন্দা। একে-অপরের প্রেমে পড়ে। বিয়ে হয় তাদের। কিন্তু আজগর সাহেব তাদের সুখের পথে কাঁটার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। সিনেমাটিক আবহে কাহিনি সম্মুখে এগিয়ে চলে। গল্পটিতে নারীর প্রতি সমাজের শোষণ, দারিদ্র্যের অসহায়ত্ব এবং ভালোবাসা ও সাহসের জয়গানকে তুলে ধরা হয়েছে।

সাতটি পিতলের ড্যাগ:
গল্পটি রহস্য ও অলৌকিক উপাদানে ভরপুর গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি। এতে ভয়, লোভ, শাস্তি ও অতিপ্রাকৃত শক্তির মিশ্রণ ঘটেছে; যা পাঠককে বিশেষ এক ভাবনার জগতে নিয়ে যায়। গল্পের মূল প্রতিপাদ্য হলো লোভ ও তার পরিণতি, যা কুসংস্কার ও বিশ্বাসের আবহে চিত্রিত হয়েছে।

নাচের শহর রূপেশ্বরী:
রূপেশ্বরী এক রহস্যময় শহর, যেখানে একদিন হঠাৎ করেই পুরুষরা সংসার-ধর্ম ভুলে নাচতে শুরু করে। জমিদার মনোজ চৌধুরী হতবাক হয়ে লক্ষ্য করেন, তার শহরের পুরুষেরা যেন এক অদৃশ্য শক্তির টানে ঘুঙুর বেঁধে জীবনের সব দায়িত্ব হতে অব্যাহতি নিয়েছে। তাদের মধ্যমণি রহস্যময়ী এক নারী—ইরাবতী; যার সবুজাভ চোখে লুকিয়ে আছে অদ্ভুত সব মায়া।

গুজব ছড়িয়ে পড়ে, ইরাবতী কোনো অশরীরী আত্মা; যে পুরুষদের মোহগ্রস্ত করে সংসার থেকে বিচ্যুত করছে। জমিদারের স্ত্রী মীনাক্ষীর পরামর্শে এক তান্ত্রিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু এতে রহস্য আরও ঘনীভূত হয়। জমিদারের ছেলে মিথুন এই অস্বাভাবিক ঘটনার রহস্য উদঘাটনে নামে। সে ইরাবতীর কাছে গিয়ে জানতে পারে, একসময় এই শহরেরই তরুণী ছিল সে; যে নির্মম অত্যাচার ও বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেছিল। প্রতিশোধের নেশায় সে এক অশরীরী রূপে ফিরে এসেছে। নাচের মাধ্যমে পুরুষদের শাস্তি দিতে চায়।

তবে মিথুনের ভালোবাসা ও মানবিকতায় ইরাবতীর কঠিন হৃদয় নরম হয়। সে প্রতিশোধের পথ ছেড়ে মুক্তির পথ অনুসন্ধান করে। গল্পের শেষটায় ইরাবতী অদৃশ্য হয়ে যায়, কিন্তু মিথুন তার দেওয়া নাচের আদর্শকে সামনে রেখে রূপেশ্বরীকে নতুন করে গড়ে তোলার সংকল্প নেয়।

ঔরসজাত:
লীনা নামের একজন নারীর জীব এবং তার সম্পর্কের গতি-প্রকৃতি নিয়ে গড়ে উঠেছে গল্পটি। লীনা কমনওয়েলথ স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ইংল্যান্ডে গমন করে। নতুন পরিবেশে পিএইচডি ফেলো ব্যাননির সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে। তবে একসময় তার মধ্যে লীনার প্রতি প্রেমের অনুভূতি জন্ম নেয়, যা লীনা এড়িয়ে চলে। গল্পের মূল সমস্যা তখন আসে যখন ব্যাননি লীনাকে তার ব্যক্তিগত জীবনের গল্প শোনায় এবং একটি গভীর সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু লীনা স্বামী শাহেদকে নিয়ে তার জীবন এবং সংসারেই আটকে থাকে। গল্পটি এরই মধ্যে এক দুরন্ত প্রেম, দায়বদ্ধতা এবং জীবনের সমঝোতার টানাপোড়েনে আবদ্ধ হয়। শেষে ব্যাননির অবস্থা খারাপ হলে লীনা ও শাহেদ তাকে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে; কিডনি দানের মাধ্যমে লীনা তার মাতৃত্বের দায়িত্ব পালন করে। শিবলী নামক নতুন সন্তান জন্মানোর পর লীনা বুঝতে পারে, স্বামী শাহেদ এবং ছেলে সাদির কাছে তার আসল সুখ। গল্পের মাধ্যমে জীবন, সম্পর্ক, আত্মত্যাগ, এবং পরিবারের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের কথা উঠে এসেছে।

লাল শাড়িটি:
একটি পরিবারের আদরের মেয়ে নীরু এবং তার বিয়ের পরবর্তী ঘটনার প্রেক্ষিতে রচিত গল্প। নীরুর প্রিয় লাল রঙের শাড়ি হারিয়ে গেলে শুরু হয় ঘটনার ঘনঘটা। পুরো বাড়ি জুড়ে শাড়ির খোঁজ শুরু হয়, কিন্তু তা পাওয়া যায় না। এ ঘটনায় বাড়ির মানুষদের মধ্যে সন্দেহ এবং দোষারোপ শুরু হয়। সোনা চাচা এবং সোনা চাচির ওপর অভিযোগ ওঠে যে, তারা শাড়ি চুরি করেছে। মেজ চাচা তাদেরকে শারীরিকভাবে প্রহার করতে শুরু করেন, কিন্তু তারা কোনো অপরাধ স্বীকার করে না। শেষপর্যন্ত শাড়িটি পাওয়া না গেলেও, ঘটনাটি সবাইকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে এবং সম্পর্কের মধ্যে ক্ষতচিহ্ন সৃষ্টি করে। এটি একটি পারিবারিক ড্রামা—যেখানে ছোট ছোট ঘটনা বড় পরিবর্তন আনয়ন করে।

অপহরণ:
অপহরণ গল্পের কাহিনিতে নিম্মি নামের এক তরুণীর জীবনের বিভিন্ন সম্পর্ক এবং পরিস্থিতির মধ্যে জটিলতা এবং নাটকীয়তা চিত্রায়িত হয়েছে। গল্পের শুরুতে নিম্মি তার মা শায়লা রহমানের সাথে শপিংয়ে বের হয় এবং এই সময় তার বন্ধু জিহাদও উপস্থিত হয়। শায়লা জিহাদকে পছন্দ করেন, এবং জিহাদ নিম্মির প্রতি আগ্রহী। তবে নিম্মির এক বিশেষ সম্পর্ক আছে নাভিদ আহমেদের সঙ্গে, যার সাথে সে প্রায়শই যোগাযোগ করে। তাদের সম্পর্ক লেখালেখি এবং সাহিত্য নিয়ে ঘুরপাক খায়। নাভিদ নিম্মিকে অনুবাদ সাহিত্যের বিষয়ে সাহায্য করে। তবে নাভিদ নয়, মেয়েটি জিহাদকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়। গল্পটি একদিকে সম্পর্কের জটিলতা এবং প্রেমের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা প্রদর্শন করে, অন্যদিকে পরিবারের মধ্যে দায়িত্ব এবং সম্পর্কের সূত্র নির্ধারণের ইঙ্গিত বহন করে।

কলিমুল্লাহ দরবেশ:
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর ‘লালসালু’ উপন্যাসে বর্ণিত ভণ্ড মজিদের অনুগামী খুঁজে পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পাঠ করি ‘কলিমুল্লাহ দরবেশ’ শিরোনামের গল্পটি। কিন্তু পাঠ প্রক্রিয়া যত বেশি অগ্রসর হয়, আমার আশাভঙ্গের বেদনা তত বেশি প্রকট হয়ে ওঠে। কেননা গল্পকার নুসরাত সুলতানা যে দরবেশের চরিত্র চিত্রায়ণ করেছেন, সে চরিত্র খুব বেশি মানবিক কিংবা প্রেমিক। প্রেমিক কলিমুল্লাহ ব্যর্থ প্রেমের যাতনা হৃদয়ে ধারণ করে নিজেকে নিয়তির কাছে সঁপে দিয়েছে। অথচ কৈশোরের প্রেমিকা রূপালিকে নিয়ে তিনি সুখী হতে চেয়েছিলেন। সুখের আশায় ধর্মীয় বিধান উপেক্ষা করে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন। স্বামীর একার উপার্জনে সংসারে টানাটানি থাকলেও সুখের অভাব ছিল না। আরও বেশি সুখের প্রত্যাশায় প্রেমিক কলিম সন্তানের স্বপ্নে বিভোর হয়। অথচ স্বামীর বিভোরতার বিপরীতে দৃশ্যমান হয়ে ওঠে স্ত্রীর অপারগতা; অর্থের লোভে পথ হারায় মেয়েটি। নেশায় আসক্ত হয়। নেশার ঘোরে পরপুরুষের বুকে সুখ খোঁজে। সুখের অসুখ বিষয়ে পাঠকের মনে লেখক বিরহবাচক বিচিত্র চিত্র আঁকেন। ঘটনা পরস্পরায় একজন কলিমুল্লাহ প্রেমিক হতে দরবেশে রূপান্তরিত হয়।

গল্পের কলকব্জা:
কালযাত্রায় ঐতিহাসিকভাবে বদলে যায় পরিবেশ-প্রতিবেশ। বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে গল্পপ্রত্যয় শুধুমাত্র আখ্যানের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই, পাঠকরুচি আরও ভিন্নতর অনুসঙ্গ প্রত্যাশা করে। গল্পকার নুসরাত সুলতানা ওইসব অনুসঙ্গের সামঞ্জস্য বিধানে সচেষ্ট এবং আন্তরিক। প্রায় প্রতিটি গল্পের সূচনাতে আছে ঘোর সৃষ্টির প্রবণতা। কৌতূহল সৃষ্টির মাধ্যমে পাঠককে সঙ্গী করে লেখক অজানা গন্তব্যে পাড়ি জমিয়েছেন। অজানা এজন্য বলছি যে, পাঠক হিসেবে গল্পের সমাপ্তি বিষয়ে আগাম কিছু ধারণা থাকে, কিন্তু আলোচ্য গ্রন্থের কতিপয় গল্পে পাঠকের প্রত্যাশার বিপরীতে লেখকের অবস্থান; সমাপ্তিতে এমন আবহ সৃষ্টি হয়েছে যা ভাবনার বিপরীত কিন্তু চিত্তাকর্ষক। তার গদ্যভাষা মেদহীন, কাব্যাশ্রয়ী এবং সাবলীল। সাবলীলভাবে রূপক, উপমা, প্রতীকের ব্যবহার নিশ্চিত করেছেন। কাহিনি বিন্যাসের মতো গদ্যের চলনশক্তির বিষয়ে অধিকতর পরিমিতিবোধ প্রত্যাশা করছি। চরিত্র এবং তাদের কথোপকথনের মাধ্যমে গতিপ্রাপ্তির বিষয়টি নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। কিছু ক্ষেত্রে ভাষার আঞ্চলিকতা লক্ষণীয়। আমি মনে করি, এ লক্ষণ যে কোনো লেখকের জন্য শক্তিশালী হাতিয়ার। শ্রেণীবিভাজনের নিরিখে চরিত্রদের মুখে উচ্চারিত আঞ্চলিকতার ফলে কাহিনি আরও বেশি জীবনঘনিষ্ঠ এবং হৃদয়গ্রাহী হয়ে ওঠে।

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu