“অগ্নিপ্রভাত” তরুণ কথাসাহিত্যিক সাঈদ আজাদের প্রথম উপন্যাস, গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে অন্যপ্রকাশ। তার গ্রন্থটির রিভিউ করেছেন প্রাবন্ধিক ও গবেষক বিশ্বজিৎ ঘোষ।
তরুণ কথাকার সাঈদ আজাদের প্রথম উপন্যাস ‘অগ্নিপ্রভাত’। উনিশ শ’ একাত্তর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে আলোচ্য প্রতিবেদন। একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা আর নির্মমতাই বক্ষ্যমাণ রচনায় প্রধানত ধরতে চেয়েছেন সাঈদ আজাদ। একাত্তরে ঢাকার ছবিই এই প্রতিবেদনে শিল্পিতা পেয়েছে। তবে উপন্যাসের ভরকেন্দ্রে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ থাকলেও সাঈদ আজাদ আরও অনেক প্রান্তকে এখানে নিয়ে এসেছেন।
‘অগ্নিপ্রভাত’-এর কেন্দ্রীয় চরিত্র হাবিল। প্রধানত হাবিলের দৃষ্টিকোণ থেকেই প্রতিবেদনের বিষয়াংশ উঠে এসেছে- এ আখ্যানের কেন্দ্রীয় প্রেক্ষণ বিন্দুটাই হাবিলের। তার চোখ দিয়েই ধরা দিয়েছে উপন্যাসের অন্য সব চরিত্র– মরিয়ম, আমিনা, নাবিল, রাধা, শীতল, হরিপদ, বাসন্তি, নুরু খালা, আদুরি, দুলাল, মনির, তাজুল, ধীরেন, নীতিশ, কালিপদ, সালাম, সুধীর সাধু, ফজিলত, রাবেয়া, ইমান, মিনা, আম্বিয়া, পাকিস্তানি সৈন্য– এমনই কত চরিত্র। চরিত্রগুলো যে পূর্ণ বিকশিত তা বলা যাবে না, পূর্ণ বিকশিত হওয়ার প্রয়োজনও নেই– কেননা লেখক এখানে চরিত্রনির্মাণ করতে বসেননি, তার অন্বিষ্ট একাত্তরে ঢাকা শহরসহ সারা বাংলাদেশে। সাঈদ আজাদ সেই ভয়ঙ্কর সময়ের ছবি এঁকেছেন এই প্রতিবেদনে, নানাভাবে নানা প্রসঙ্গে। এমন কয়েকটি খণ্ডছবি:
ক. পাকিস্তানি আর্মিরা আক্রমণ করেছিল মাঝরাতের দিকে। এখনও চলছে হত্যার উৎসব! এর মাঝেই চারদিক থেকে হঠাৎ ফজরের আজানের শব্দ ভেসে আসে। আজানের শব্দ এমন করুণ হয়! মুয়াজ্জিন যেন আজান দিচ্ছে না– করুণ কান্নার কষ্ট ছড়িয়ে দিচ্ছে আকাশে-বাতাসে! হায়েনারা ক্ষণিকের জন্য থামে। কিন্তু পরক্ষণেই আবার শুরু করে ওদের তাণ্ডবলীলা। স্রষ্টার আহ্বানে থামে না তাদের তাণ্ডব।
খ. দুর্বল পায়ে দৌড়াতে দৌড়াতে হাবিল দেখে, রাস্তার এখানে ওখানে ধোঁয়া উড়ছে, আগুন জ্বলছে। বস্তি পুড়ছে, দোকান পুড়ছে, দোকান জ্বলছে। ফুটপাতে, রাস্তায় পড়ে আছে লাশ। পোড়া-আধপোড়া লাশ। বিকৃত রক্তাক্ত থেঁতলানো লাশ। নারী পুরুষ শিশুর লাশ। শ্রমিক ভিখারি রিকশাওয়ালার লাশ। মাঝে মাঝে পায়ের তলায় রাস্তা কাঁপছে, বোঝা যায় রাস্তায় ভারী গাড়ি চলছে, সেই সাথে গুলির আওয়াজ। মানুষের আর্তনাদ। হাবিলের মনে হয়, যে কোনো সময় ওর গায়েও গুলি এসে লাগতে পারে। তা হলেও থামে না ও। দৌড়াতে দৌড়াতে কখন যে যাত্রাবাড়ী চলে আসে! একটা খালি রিকশা দেখে একরকম জোর করেই তাতে উঠে বসে হাবিল। হাঁপাতে হাঁপাতে কাকুতি করে বলে, ‘ভাই আমারে উট্টু ডেমরা নিয়া চলেন।’
গ. সকাল হলে উলঙ্গ অর্ধউলঙ্গ সবাইকে গরুর মতো পিটাতে পিটাতে নিয়ে যাওয়া হয় বাইরে। একটা ছোট হাউজের সামনে সবাইকে দাঁড় করানো হয়। অগভীর হাউজে অল্প পানি। পানিটা ময়লা ও ঘোলাটে। বোধ হয় এখানেই পশুগুলো গোসল করে।
যাও শালা লোগ, পিয়ো যিতনা মন চায়।
অমন পানি কেউ পান করতে পারে! অবিশ্বাস্য চোখে হাবিলরা দেখে ওদের সামনেই মিলিটারিরা প্যান্টের বোতাম খুলে হাসতে হাসতে হাউজের পানিতে প্রস্রাব করছে। দু-একজন বন্দি এখনও পানি পানি বলে কাতরাচ্ছে। মিলিটারিরা তাদের মুখে প্রস্রাব করে আর বলে, পিয়ো। আর তারা ক্রমাগত হাসতে থাকে। হাসতে হাসতেই তারা এক একজন বন্দির মুখে প্রস্রাব করতে থাকে।
– উপরের তিনটি উদ্ধৃতি থেকেই একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নিষ্ঠুরতা সম্পর্কে একটা ধারণা লাভ সম্ভব। এ-রকম অনেক ছবি আছে ‘অগ্নিপ্রভাত’ উপন্যাসে। পাকিস্তানি বাহিনী বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করেছে, কখনও তারা হিন্দু জনগোষ্ঠী বা মুক্তিবাহিনীকে আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু নির্বাচন করেছে। পাঠক, লক্ষ করুন এই উদ্ধৃতাংশ :
‘সে এক অবমাননার দৃশ্য। উলঙ্গ বাপ আর ছেলেকে পাশাপাশি বেঁধে রেখেছে পিশাচরা। বাপ-ছেলে দু’জনেই মাথা নিচু করে রেখেছে। কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছে না। সাধারণত এভাবেই জানালার শিকের সাথে বন্দিদের সবাইকে বেঁধে রাখা হয়। কাউকে ঘুমাতে দেয় না ওরা। মাথার ওপরে কড়া আলো জ্বলছে। বাইরে দু’জন মেশিনগান নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। মাঝে মাঝে একজন মিলিটারি ঢুকে বন্দিদের এলোপাতাড়ি মার দিয়ে যাচ্ছে। যারে যেমন ইচ্ছা গালি-গালাজ করছে-‘ইয়ে শালালোগ, সব মুক্তি হ্যায়। শালা শোয়ারকা বাচ্চা, হিন্দুকা লাড়কা। … হামলোগ আদমি নেহি মাংতা। জমিন মাংতা।…আভি কাহা হ্যায় তুমহারা মুজিব বাপ?’
একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আর তাদের এদেশীয় দোসর কর্তৃক নারীধর্ষণ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের এক বেদনার্ত অধ্যায়। লক্ষ নারী সেদিন পাকবাহিনী কর্তৃক লাঞ্ছিত নির্যাতিত ধর্ষিত হয়েছে। সাঈদ আজাদের ‘অগ্নিপ্রভাত’ উপন্যাসে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বেদনার্ত এই অধ্যায়টা নানামাত্রায় উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত একটি বিষয় বলতেই হয়। এদেশের অনেক কথাকারের রচনায় এই প্রসঙ্গটা, ব্যবসায়িক স্বার্থে বোধ করি, যেভাবে খোলাখুলি স্থুলরূপে প্রকাশিত হয়েছে, সাঈদ আজাদ তা থেকে দূরে থেকেছেন। বিষয়টা বহুবার এলেও, বর্ণনায় তিনি ছিলেন নিরাসক্ত এবং পরিমিত। বিষয়টাকে তিনি বারবার এনেছেন, কম হলেও ক্ষতি ছিল না; তবু একবার দেখা যাক তার পরিমিতিবোধের মাত্রা:
ক. বাসটা ফেরিঘাটে আসতেই আতঙ্কিত হাবিল দেখে সামনে মিলিটারি! ওরা হাবিলদের বাস থামায়। তিনজন মিলিটারি ওঠে ওদের বাসে। অল্প বয়সী তিনজন মেয়েকে টানতে টানতে নামিয়ে নিয়ে ওদের গাড়িতে ওঠায়। একজন মহিলাকে নামিয়ে তার স্বামীসহ আর সবার সামনেই রাস্তায় ফেলে তার ওপর চড়াও হয়ে অত্যাচার শুরু করে ওরা। স্বামী বেচারা বাধা দিতে গেলে তাকে গুলি করে। লাশটা লাথি দিয়ে ফেলে দেয় মেঘনার জলে।
খ. আদুরি শাশুড়িকে ধরতে গিয়েও যেতে পারে না। মিলিটারিদের দু’জন ওকে ধরে ফেলে। একজন জোর করে মাটিতে ফেলে দিয়ে চড়াও হয় ওর ওপরে। সে উঠে গেলে আরেকজন। তারপর আরেকজন। আগুনে ততক্ষণে সারা গোয়াল জ্বলছে। অত্যাচারিত হতে হতে আদুরি দেখে, শাশুড়ি গোয়ালের দুটো গরুর সাথে পুড়ছে। আদুরির শ্বশুর তাকে বাঁচাতে ঘর থেকে বের হয়ে এলে মিলিটারিরা তাকে ধরে ফেলে শ্বশুরের সামনেই তার ওপর চড়াও হতে থাকে, একের পর এক। অসহ্য যন্ত্রণা আর লজ্জায় আদুরির সারা শরীর কাঁপতে থাকে। ও আকাশের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে- ঠাকুর, দিনভর তোমার পূজা করছি। তুমি আমার সন্তানটাকে বাঁচাও। ঠাকুর শুনতে পায় কিনা কে জানে। তবে, পশুরা কীভাবে যেন বুঝে যায় আদুরি অন্তঃসত্ত্বা। অথবা, হয়তো ওরা আগেই পাঁচ মাসের পেট দেখে বুঝেছিল। অত্যাচার শেষ হলে দু’জন ওকে দাঁড় করায়। আরেকজন বেয়নেট দিয়ে বুকের নিচ থেকে তলপেট পর্যন্ত চিরে ফেলে। আদুরির আর্তনাদ সারা গ্রাম কাঁপিয়ে আকাশে উঠে যায়।
– লক্ষণীয়, উভয় ক্ষেত্রেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক নারীর উপর অত্যাচারের ছবিটা খোলামেলা বা নিরাভরণ হতে পারত, যেমনটা ঘটেছে অনেক কথাকারের রচনায়, কিন্তু এক্ষেত্রে সাঈদ আজাদ তরুণ কথাকোবিদ হয়েও রেখেছেন বিস্ময়কর পরিমিতিবোধের স্বাক্ষর।
‘অগ্নিপ্রভাত’ উপন্যাস মুক্তিযুদ্ধকে কেন্দ্র করে রচিত হলেও এখানে তেমন নেই যুদ্ধের ছবি, মুক্তিযোদ্ধার বীরত্বের কথা, কিংবা তাদের রুখে দাঁড়ানোর চিত্র। এমনটাও ঘটেছে পূর্ববর্তী অনেক উপন্যাসের বেলায়। বক্ষ্যমাণ আখ্যানে যুদ্ধের কথা যে নেই, তা বলছি না; তবে এদিকে আরও মনোযোগ দেওয়া যেত।
সাঈদ আজাদের ‘অগ্নিপ্রভাত’ কেন্দ্রীয় চরিত্রের প্রেক্ষণবিন্দু থেকে দেখা উপন্যাস। হাবিলের দৃষ্টিকোণে দেখা খণ্ড খণ্ড ঘটনার মালা গেঁথে রচিত হয়েছে ‘অগ্নিপ্রভাত’-এর অবয়ব। ঘটনাগুলো পরস্পর বিচ্ছিন্ন– পরস্পর বিচ্ছিন্ন না বলে বলা ভালো আপাত বিচ্ছিন্ন। কেননা প্রতিটি ঘটনার সূত্রেই আছে কেন্দ্রীয় চরিত্র হাবিলের প্রেক্ষণ। হাবিলই ‘অগ্নিপ্রভাত’ উপন্যাসের কেন্দ্রানুগ শক্তি। একটির পর একটি ঘটনার সমন্বয়ে একটি অখণ্ড এবং একান্ত সংগঠন নির্মাণ ‘অগ্নিপ্রভাত’ উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। সাঈদ আজাদ প্রতিবেদনটি সমাপ্ত করেছেন একটি চমৎকার প্রতীক দিয়ে। হাবিলের স্ত্রী মরিয়মের সন্তান প্রসবের আকাঙ্ক্ষার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয় ‘অগ্নিপ্রভাত’। মরিয়মের সন্তান আর স্বাধীন বাংলাদেশ এখানে এসে মিলিত হয় এক মোহনায়, অভিন্ন সত্তায়। ঊপন্যাসের শুরুতেই ইঙ্গিতটা রেখে গেছেন সাঈদ আজাদ। কী কৌশলেই না তিনি আভাস দিয়ে গেলেন পরিণতির প্রতীকটার:
‘এই দেশটার সাথে তার বউয়ের কোথায় যেন মিল আছে! লোকে শুনলে হয়তো বলবে, মানুষের মুখ কখনও দেশের মতো হয়? গ্রামের মতো হয়? কিন্তু মরিয়মের শ্যামল কচি মুখের সাথে আজন্ম বেড়ে ওঠা গ্রামের কোথায় যেন মিল খুঁজে পায় হাবিল। …লাল শাড়ি পরে মরিয়ম যখন সবুজ ধানক্ষেতের আল ধরে হাঁটে, কী জানি কেন, বউকে তার তখন নিজের গ্রামের মতোই মনে হয়।’
পাঠক, লক্ষ করুন– শেষ বাক্যের রঙ প্রতীকটা– লাল শাড়ি আর সবুজ ধানক্ষেত। এই ইঙ্গিতময় প্রতীকটাই পরিণতিতে মরিয়মের সম্ভাব্য আকাঙ্ক্ষা আর দেশের আসন্ন স্বাধীনতার সাথে একাত্ম হয়ে যায়:
মরিয়ম চাপাস্বরে চিৎকার করলেও সবাই শুনতে পাচ্ছে। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে কখন মরিয়মের অনাগত সন্তান আসবে পৃথিবীতে। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে একটি নতুন শিশুর চিৎকার শোনার জন্য। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে একটা নতুন সূর্যের। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে কখন কুয়াশা সরে গিয়ে আঁধার ভেদ করে সবুজ ধানক্ষেতের ওপার থেকে উঠবে লাল একটি সূর্য!
সাঈদ আজাদ নবীন কথাকার। প্রথম প্রয়াসেই শব্দ ব্যবহার এবং আখ্যান বর্ণনায় তিনি যথেষ্ট দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তার ভাষা নির্মেদ, সংহত এবং আকর্ষণীয়। সাঈদ আজাদের ভাষায় আছে আবেগের লাবণ্য, অন্তরাশ্রয়ী গতি এবং পেলব স্নিগ্ধতা। তার ভাষা পাঠককে অদৃশ্য এক মায়ায় জড়িয়ে রাখে। পাঠক, লক্ষ করুন– হাবিলের দৃষ্টিকোণে স্ত্রী মরিয়মের এই রূপালেখ্য:
‘হাবিলের মনে হয়, মরিয়মের শ্যামল কচি মুখখানা যেন বর্ষা শেষে শীতের পলিপড়া জমি। পিঠভর্তি রাশি রাশি চুল, যেন মেঘজমা বর্ষার কালো আকাশ! স্বপ্নময় বড় বড় চোখ দুটি যেন কালো পানির গভীর দিঘি, ডুব দিলে শরীর-মন শীতল হয়। শীতকালে পুঁটি মাছের গায়ে রোদ লাগলে যেমন ঝিলিক লাগে, মরিয়মের হাসি তেমন। আলতা-পরা শ্যামল পা দুটি যেন কচি দূর্বার মতো কোমল।’
বর্ণনামূলক পরিচর্যাতেও সাঈদ আজাদের সতর্কতা ও ইঙ্গিত সবিশেষ লক্ষযোগ্য:
‘হাবিল আশপাশে তাকিয়ে একটা আধলা ইট দেখতে পেয়ে তুলে নিয়ে কুকুরটাকে ছুঁড়ে মারে। কুকুরটার গায়ে লাগে না। তবে ভয় পেয়ে কুকুরটা দূরে চলে যায়। হাবিল খানিক সামনে হেঁটে কী মনে করে পিছু ফিরে তাকায়। তাকিয়ে দেখতে পায়, কুকুরটা আবার ফিরে এসেছে মৃতদেহ দুটোর কাছে। কুকুরটার দিকে তাকিয়ে হাবিলের মনে হয়, কুকুরটা যেন পাকিস্তানি সেনাদের মতোই। ওরা যেমন ঘুমন্ত নিরীহ ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করছে, কুকুরটাও তেমনি ভিখারি মা আর বাচ্চাটা বেঁচে থাকতে নিরীহ ছিল বলেই তাদের লাশ খাচ্ছে।’
ঔপন্যাসিক হিসেবে প্রথম প্রয়াসে সাঈদ আজাদ যে প্রতিশ্রুতির স্বাক্ষর রেখেছেন, তা আমাদের আশান্বিত করে। উপন্যাস রচনার জন্য কথাকারের যে পর্যবেক্ষণ ক্ষমতা জরুরি, সাঈদ আজাদের সেটা আছে বলেই আমাদের মনে হয়েছে। তার ভাষায় আছে নানামাত্রিক কাজ। লেগে থাকলে, সাধনা করলে ঔপন্যাসিক হিসেবে সাঈদ আজাদ যে একটি নান্দনিক পাটাতনে দাঁড়াতে পারবেন– এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।