আহমেদ আববাস
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা। মূলত গল্প লেখেন। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: আত্রাই নদীর বাঁকে বাঁকে (২০১৯), বিদেশী বিনোদিনী (২০২০)
আহমেদ আববাস

কর্নেলের প্রিয় পোষাপ্রাণী

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

নির্মল এবং নিরেট গ্রামীণ জনপদ থেকে জনাকীর্ণ শহরে আগমন। শিক্ষার প্রয়োজনই পদাপর্ণের পথ প্রসারিত করে। আর এতে অগ্রজই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তারই স্পৃহায় সরকারি আনন্দমোহন কলেজে প্রবেশাধিকার জোটে। সাড়ে আটটায় ক্লাস। ছাত্রাবাসে সিট না পাওয়ায় দূর থেকে যাতায়াত দুরূহ হয়ে ওঠে। তাই শীঘ্রই কলেজ পরিবর্তন। পাশেই নাসিরাবাদ কলেজ, সহজেই ভর্তির সুযোগ মেলে। সেখানে দশটায় ক্লাস, সমস্যা হয় না। তবু মনের ভেতরে প্রচ্ছন্ন ইচ্ছে যেকোনোভাবে কলেজ সমীপবর্তী স্থানে অবস্থান গ্রহণ।

‘নৌ মহল’ ময়মনসিংহ শহরের অভিজাত আবাসিক এলাকা। সেসময় বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনের পরিবারও সেখানে বাস করত। আর সেই নৌ মহল এলাকাতেই স্থানীয় সহপাঠী সুলতানের সঙ্গে যৌথভাবে উপভাড়ায় থাকার সুযোগ মেলে। গ্রামের ছেলে শহরে এসে যা দেখি, তাতেই অবাকের সীমা থাকে না। তখন দেশে তৃতীয় সংসদ নির্বাচনের ধুম পড়ে যায়। সহপাঠী সহায়ক দলের বিভিন্ন মিছিলে অংশগ্রহণ করে একটি নতুন ফোনিক্স সাইকেল বাগিয়ে নেয়।

আমাদের আশ্রয়স্থলের অদূরেই একই গলিতে একটি নতুন ঝকঝকে দোতলা বাড়ি। আধুনিক নির্মাণশৈলী সহজেই পথচারিদের দৃষ্টি কাড়ে। জানতে পারি, বাড়িটি একজন রিটায়ার্ড কর্নেলের। কর্নেল এই শব্দটি শোনার পর থেকেই ভয়ে আমার গা ছমছম করে উঠে, শিরদাঁড়া খাড়া হয়ে উঠে। না জানি কর্নেল সায়েব দেখতে কেমন! হয়ত তিনি দীর্ঘাকার এবং বিশালদেহী এক জোয়ান। অতিশয় প্রশস্ত পাকানো গোঁফ আর ভরাট এবং ভয়ংকর কন্ঠস্বর। শুনলেই হয়ত পিলে চমকে যাবে।

একদিন ভীতকন্ঠে সুলতানকে জিজ্ঞেস করি, ‘তুই কি কর্নেল সায়েবকে দেখেছিস?’

‘দেখবাম না ক্যারে, হ্যা তো ডেলি বেইন্নারা আতে একখান ছড়ি লইয়া হাফপ্যান্ট পইরা আঁটে। মাথায় ক্যাপ থাহে। হেই রাস্তা দিয়া আইয়া এই খেলার মাঠের চাইরো দিকে জগিং করবার লাগে।’

‘সকালের পর আর কখনো বার হয় না।’

‘পোত্যেকদিন বিয়ালবেলা একটা কুত্তা লইয়া আঁটে হাঁজের বেলা গরে যায়েগা।’

‘আমাকে একদিন দেখাবি।’

‘কাইল্লাই তরে দেহাইবাম।’

ছোটবেলা থেকেই ইচ্ছে ছিল, বড় হয়ে একদিন মিলিটারিতে যোগদান করব। তাদের পোষাক, তেজস্বি উদ্যম, সাজসজ্জা, নিয়মনিষ্ঠা সবই আমাকে তীব্রভাবে আকর্ষণ করত। এজন্যে কর্নেলকে সচক্ষে দেখার ইচ্ছে মনকে গভীরভাবে আলোড়িত করে। কর্নেল কী আদৌ কোনো স্বাভাবিক মানুষ! নাকি অন্যরকম বৈশিষ্টপূর্ণ!

এক বিকেলে সুলতান আমাকে সেই ফুটবল মাঠের পাশে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর চোখে পড়ে, ইংলিশ সিনেমায় যেমন দেখা যায় প্রায় পাঁচফিট দশ উচ্চতার এক বয়স্ক ভদ্রলোক মাথায় হ্যাট, গায়ে টি-শার্ট এবং হাফপ্যান্ট পরে এক কুত্তার গলায় শেকল ধরে টেনে নিয়ে বেড়াচ্ছে। বয়স্ক সুদর্শন পুরুষ, আঁটসাট চেহারা, দশাসই গোঁফের বাহার আর দোহারা গড়নের পেটানো শরীর। কিন্তু একটি বিষয়ে আমি বিস্ময়ে বিস্ময়াভিভুত হয়ে যাই। তার বেশভুষায় অপ্রত্যাশিতভাবে আমি যেন অস্বাভাবিক কিছু দেখতে পাই। একেতে আমি পাড়াগাঁয়ের ছেলে, তার ওপর সময়কালটাও ছিল আশির দশকের মাঝামাঝি। আমি ভাবতেই পারিনে একজন ষাটোার্ধ্ব ব্যক্তি কীভাবে হাফপ্যান্ট পরে! আর এতে দেখতেও তখন তাকে কেমন যেন বেঢপ, বেমানান, বিসদৃশ এবং কিম্ভূতকিমাকার দেখা যায়। পরবর্তীকালে এ বিষয়ে সমকালীন শক্তিমান কথাসাহিত্যিক জাকির তালুকদারের একটি প্রসঙ্গোচিত লেখা চোখে পড়ে, ʻরাস্তাঘাটে আজকাল কিছু কিছু বয়স্ক ধাড়ি ধাড়ি ঢ্যাঙ্গা লোকদেরকে হাফপ্যান্ট পরে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তারা মনে করে, অন্যেরা দেখে তাদের স্মার্ট ভাববে, এদেশের পরিমন্ডলের জন্যে দৃষ্টিকটু ঐ ড্রেস দেখে পর্যবেক্ষকগণ যে মনেমনে ঘৃণা প্রকাশ করে, এটা তারা বুঝতে পারে না।’

কর্নেল সায়েবের ঐ পোষাক দেখে সেসময় তার প্রতি মুগ্ধতা এবং কদর কিছুটা কমে যায়। আসলে ভদ্রলোকটি আদৌ কোনো কর্নেল নাকি অন্য কোনো অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা, এটা তৎকালে একজন গ্রাম্য কিশোরের পক্ষে সত্যাখ্যান করা সম্ভব হয়নি। তবে তার জ্যামিতিক নকশা এবং বাহ্যিক গতিবিধি দেখে কর্নেল বলেই প্রতীয়মান হয়। সবাই তাকে কর্নেল বলেই জানে। সবার মতো আমার মনেও গ্রথিত হয়ে যায়, উনি একজন কর্নেল। সেজন্যে উনার সম্পর্কে আরো কিছু জানবার উৎসাহ মনের গভীরে দানা বেঁধে ওঠে।

আগ্রহ ও অনুসন্ধানের পর একদিন তার ব্যক্তিগত ব্যাটসমানকে পেয়ে যাই। সিগ্রেট আমাদের দুজনের মাঝে বন্ধুত্ব বেগবান করে এবং সহজেই সদ্ভাব গড়ে ওঠে। ওর নাম জামাল। ওর মতে তার বয়স ২১, আমার ১৭ হলেও আমার চাইতে তাকে অনেক ছোটো দেখায়। কিন্তু সে ছিল ইঁচড়ে পাকা, সেয়ানা এবং পরিপূর্ণ সাবালক। জামাল জানায়, ‘স্যারের দুনডা মাইয়া আছে, একটা থাহে কানাডায় আরেকটা থাহে অষ্ট্রেলিয়া। অহন বাইত হ্যারা গরেবাইরা দুনজন। ম্যাডাম আর স্যার আর ঐ বেলজিয়ান কুত্তাডা। স্যার ৭৪ সালে পাকিস্তান থাইকা দেশে আওনের লগে লগে রিটায়ার কইরা হালাইছে। সারামাস খাওন দাওনবাদে মাসে আমারে দুইশ ট্যাহা দেয়। হ্যারবাদেও স্যারের মনডা মস্তবড়। যহন যা চাইবাম, লগে লগে দিয়ে হালায়।’

বেলজিয়ান শেফার্ড ডগ। অত্যন্ত মূল্যবান কুকুর। এই জাতীয় কুকুর যথার্থ সাহসী, ক্ষিপ্র, ক্রিয়াশীল এবং অতন্দ্র প্রহরি হয়। প্রভুভক্ত তো বটেই এবং অর্পিত যেকোনো কাজ করতে মরিয়া। হাই প্রোটিন গ্রেইন এদের খাবার। কৌটোজাত হিসেবে পাওয়া যায়– বিফ এন্ড লিভার ক্যান কিংবা চিকেন পেট ক্যান। তাছাড়া ফ্রেশমিট এরা পছন্দ করে। এজন্যে প্রতিপালন বেশ ব্যয়বহুল।

ব্যাটসম্যান জামাল জানায়, ‘স্যারের কুত্তার লাইগ্যা মাসে তো শ’পাঁচেক ট্যাহা খরচ অইবই।’

আমি শুনে স্তম্ভিত এবং হতচকিত হয়ে যাই। বাড়ি থেকে প্রতিমাসে থাকা খাওয়া এবং অন্যান্য খরচবাবদ আমাকে দেয়া হয় তিনশ টাকা। আর কর্নেল সায়েবের কুত্তার পেছনে মাসে খরচ হয় পাঁচশত টাকা।

নৌ মহলের অনতিদূরেই ময়মনসিংহ রেল স্টেশন। সেদিন রেল স্টেশনে গিয়ে ক্ষুধাক্লিষ্ট নিরন্ন মানুষের বিবর্ণ মুখচ্ছবি দেখে আবেগপ্রবণতা, পরদুঃখকাতরতা এবং মর্মবেদনায় মনটা নাকাল ও নাস্তানুবাদ হয়ে ওঠে। বিষয়টি হৃদয়ের গভীরে অতিমাত্রায় রেখাপাত করে। দুর্বিপাকে পড়ে দরিদ্রতার কারণে দিশাহারা হয়ে তাদের এই দুরবস্থা। আর এই নিঃস্ব ও ক্ষুধিত মানুষের অতি নিকটেই একজন সচ্ছল মানুষ তার একটা কুকুরের জন্যে অনায়াসে মাসে পাঁচশ টাকা খরচ করছে। অথচ ঐ পাঁচশ টাকায় এ ধরণের কয়েকটি ছিন্নমূল বাস্তুচ্যূত বুভুক্ষু পরিবার স্বচ্ছন্দেই মাস কাবার করতে পারে।

বিকেলবেলা মাঠে গেলে প্রায় প্রতিদিনই কর্নেল সায়েবকে সায়েবি টুপি মাথায় টি-শার্ট গায়ে হাফপ্যান্ট পরে কুত্তার গলায় শেকল দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। একটি অলাভজনক পোষাপ্রাণির প্রতি যত্ন ও অনুরাগ দেখে আমার অপরিণত ও কোমল হৃদয় কেমন যেনো এলোমেলো ও আপত্তিকর হয়ে ওঠে। তার প্রতি ভক্তি, অনুরক্তিতে অবনতি ঘটতে থাকে।

দুদিন পর আবার আচানক জামালের সাথে আমার সাক্ষাত হয়। সে উৎফুল্ল হয়ে আমাকে জানাতে থাকে, ‘আমি আপনারে কইছি না, আমাগো স্যার অইল দয়ার সাগর।’

‘কেন! কী হলো?’

‘স্যার, বিবাহ করবাম পারছি না। মায় কইন্যা দ্যাখতাছে, হাতে কোনো ট্যাহা-পয়সা নাই। এই কথা কইতেই ছার আমারে পাঁচ’শ ট্যাহা বাইর কইরা আতে দিল। স্যার একখান ব্যাডাঐ।’

কর্নেল সায়েবের দানশীলতার কথা শুনে আবার তার প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ এবং মর্যাদা বেড়ে যায়। মাত্র ন’মাস আগে এ মেসে উঠার পর থেকেই দেখেছি তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সাধ্যমত সম্মানজনক কন্ট্রিবিউট করে থাকেন। আজ তার ব্যাটসম্যানের বিয়েতে পাঁচশত টাকা দিয়ে তিনি তার বদান্যতার হাতকে প্রসিদ্ধ করে তোলেন। এ যুগে পাঁচশত টাকা সাহায্যপ্রাপ্তি বিশাল ব্যাপার।

সপ্তাহখানেক বাদে জামালের সাথে দেখা হলে তার নতুন বউকে নিয়ে অনেক গল্প শোনায়। তার বাড়ি গফরগাঁও হলেও সে বিয়ে করেছে ত্রিশালে। এ খবরটি সে তার মনিব সায়েবকেও যথাযথ জানিয়েছে। মাকে দেখার নামে প্রতিমাসেই সে একবার ছুটি যায়। এখন থেকে দুবার লাগবে বলে কর্নেল সায়েবের কাছে আব্দার রেখেছে।

সেদিন হঠাৎ করেই বেলজিয়ান শেফার্ডের ক্যানফুড শেষ হয়ে যায়। এমন মাঝে মাঝে এবং ইতোপূর্বেও ঘটেছে। কর্নেল সায়েব জামালকে বাজারে পাঠিয়ে কুকুরের জন্যে খাসির মাংস আনতে বলেন। এক দোকানে সস্তামূল্যে এবং সুলভে খাসির বাসিমাংস পেয়ে পিলফারেজের ধান্দায় জামাল দুকেজি কিনে ফেলে।

বাড়ি এসে জামাল পরিমাণমত মাংস কুচিকুচি করে হালকা সেদ্ধশেষে কুকুরকে খেতে দেয়। ক্ষুধার্ত কুকুর হাপুস হুপুস খেয়ে নেয়। ঘন্টাদুয়েক পরেই কুকুরটির প্রবল ডায়রিয়া এবং প্রচন্ড ডিহাইড্রেশন শুরু হয়। অবিলম্বে কুকুরটি নিস্তেজ, বিবর্ণ এবং মলিন হয়ে পড়ে। গাড়ি পাঠিয়ে আনা হয় জেলা ভেট্রিনারি অফিসারকে। চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে আসেন ডিভিএম চিকিৎসক। প্রাণিটির অবস্থা দেখে নিরাশ ডাক্তার কুকুরের প্রাণশক্তি ফিরে পাবার জন্যে একটি ইঞ্জেকশন পুশ করেন কিন্ত সেটি আর প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে না। ক্রমশ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পশু চিকিৎসক জানায়, মাংস পচে বিষাক্ত হয়ে গেছিলো, কুকুর সেটি সইতে পারেনি।

প্রাণপ্রিয় কুকুরের প্রাণহানিতে কর্নেল সায়েব একেবারে ভেঙ্গে মুষড়ে পড়েন। মাঝে মাঝে কুপিত ক্রোধে জামালের দিকে মারমুখো হয়ে গালাগাল পাড়তে থাকেন। কিন্তু একজন বিশ্বস্থ ব্যাটসম্যান বলে বেশি বাড়াবাড়ি করতেও বিবেকে বাধে। তবু রাগে গরগর করতে থাকেন। ঠিক এসময় গফরগাঁও থেকে একজন অল্পবয়সি যুবতী মহিলা একটা শিশুকোলে হন্তদন্ত হয়ে কর্নেল সায়েবের সামনে ছুটে আসে। মহিলা অনেক খোঁজাখুঁজির পর কর্নেল সায়েবের বাড়ির সন্ধান পেয়েছে। জামালকে শাসানো দেখেই মহিলা বুঝতে পারে, ‘এটাই হবে কর্নেল সায়েব।’ দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে একজন মানুষ যেমন নির্ভীক হয়, ঠিক সেভাবেই নির্ভয়ে এবং সোচ্চার কন্ঠে মহিলা বলতে থাকে, ‘হ্যায় তো আইজগা তিনমাস অইল বাড়ি যায় না। হ্যার পোলাডা ব্যাকদিন দুধের লাইগ্যা চিকরাইতে থাহে। হেই খেয়ালডাও হ্যার নাই। আজ তিনবছর ধইর‍্যা আমাগো বিবাহ অইছে, অহনতরি বালামত খবরডা পরযন্ত লয় না।’

কর্নেল সায়েব অপুষ্ট যুবতী মহিলার কাছে বিস্তারিত শুনে বুঝতে পারেন, জামাল একটা দুরাচার, ধড়িবাজ, বদমাশ এবং ইতর শ্রেণির ছেলে। তারপর তার স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে বলেন, ‘জামালের অভাবের কথা বিবেচেনা করে মাস তিনেক আগে তাকে আমি বিয়ের জন্যে পাঁচশত টাকা দিয়েছি। পশুটা ঘরে একটা বউ থাকতেই ত্রিশালে গিয়ে আবার বিয়ে করেছে।’

তিনি ভাবেন, ছোকরাটাকে একটু শিক্ষা দেয়া দরকার আর দন্ডিতের মাধ্যমে তার বোধোদয় জাগ্রত করা জরুরি। এক্ষেত্রে তাকে আইনের হাতে হস্তান্তরই সমীচীন। তারপর তিনি কোতোয়ালি থানায় টেলিফোন করেন। সংবাদ পেয়ে ছুটে আসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ। পুলিশের দিকে ইঙ্গিত করে জামালের অভিমুখে তাকিয়ে তিনি বলেন, ‘দাঁড়া, এবার তোকে মজা দেখাচ্ছি। নচ্ছার, শয়তান কোথাকার!’

জামালের আদ্যোপান্ত হানিকর অপকর্মগুলো তিনি পুলিশের সামনে তুলে ধরেন। বিশেষ করে একবউ ঘরে থাকতে আরেকটি মেয়ের জীবন বরবাদ করায় তিনি ভীষণ ক্ষুব্ধ, বিরক্ত ও ক্রোধান্বিত। এখন জঞ্জালটাকে চটজলদি বাড়ি থেকে খারিজ করতে পারলেই যেনো তিনি স্বাচ্ছন্দ্য এবং ভারমুক্ত হতে পারেন। এজন্যে পুলিশকে লক্ষ করে বলেন, Please, get clear this bloody beggar and make him alright.


 

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu