দর্পণ ডেস্ক
একটি পূর্ণাঙ্গ ম্যাগাজিন। শিক্ষা, সাহিত্য ও গবেষণামূলক ম্যাগাজিন দর্পণ। ২০১৯ সালে ব্যতিক্রমধর্মী ম্যাগাজিন দর্পণ তার যাত্রা শুরু করে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে দর্পণ "গল্পবাজ" ম্যাগাজিন আত্তীকরণ করে।
দর্পণ ডেস্ক

মিথ্যাবাদী রাখাল

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

(ঈশপের গল্প থেকে রূপান্তরিত)


এক গ্রামে ছিল একজন রাখাল। তার মিথ্যা বলার বাজে অভ্যাস ছিল। গ্রামের মানুষদের মিথ্যা বলে বোকা বানিয়ে সে পৈশাচিক আনন্দ পেতো।

একদিন এক জঙ্গলের পাশে রাখালটি মেষ চড়াচ্ছিল। হঠাৎ করে তার মাথায় একটি শয়তানী বুদ্ধি আসলো। সে সিদ্ধান্ত নিল মিথ্যা বলে গ্রামের মানুষদের বোকা বানাবে। তারপর রাখালটি “বাঁচাও! বাঁচাও! বাঘ আসছে! বাঘ আসছে!” বলে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকল।

রাখালের চিৎকার শুনে গ্রামের সবাই ছুটে আসলো তাকে সাহায্য করতে। কিন্তু কই বাঘ? গ্রামবাসীরা অবাক! গ্রামের মানুষদের আসতে দেখে রাখালটি উচ্চস্বরে হাসতে শুরু করে। গ্রামের মানুষজন আর কিছু বুঝতে বাকি থাকলো না, তারা বুঝতে পারল কোনো বাঘ আসেনি, মিথ্যাবাদী রাখালটি তাদের সাথে মজা নিচ্ছে।

পরেরদিন আবার রাখালটি সেই জঙ্গলের পাশে গরু চড়াতে গেল। সেদিনও সে মজার ছলে “বাঘ আসছে, বাঁচাও! বাঁচাও!” বলে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকল। রাখালটির চিৎকার শুনে গ্রামের মানুষ কাজকর্ম ফেলে আবারো দৌড়ে আসলো রাখালটিকে বাঁচাতে। এসে দেখে বাঘ নেই, রাখালটি গতদিনের মতো উচ্চস্বরে হাসছে। গ্রামের মানুষজন তাদের মনে অনেক কষ্ট পেল। সবাই ফিরে চলে গেল।

পরেরদিন আবারও জঙ্গলের পাশে গরু চড়াতে গেল রাখালটি এবং সেদিন সত্যিই বাঘ এল। রাখালটি ভয়ে চিৎকার করতে লাগলো “বাঁচাও! বাঁচাও!” কিন্তু সেদিন আর গ্রামবাসীদের কেউ আসলো না। তারা ভাবলো, আজকেও হয়তো রাখালটি মজা করছে। এদিকে বাঘ এসে রাখালের মেষপালের মেষ সাবাড় করতে লাগলো। রাখাল কোনোমতে একটা গাছে উঠে তার জীবন বাঁচালো। সেদিন থেকে রাখাল সিদ্ধান্ত নিল, সে আর কোনো দিন মিথ্যা কথা বলবে না।

শিক্ষা: মিথ্যা বিপদ ডেকে আনে।


 

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu