তরুন ইউসুফ
জন্ম ১৯৮৯ সালের ২৬ মার্চ সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর পাশের পর বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ: না গৃহী না সন্ন্যাসী (২০১৮), কান্না হাসি রম্য রাশি (২০১৯)।
তরুন ইউসুফ

খাট সমাচার

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

অবশেষে বিয়েটা হয়ে গেলো। সকল সন্দেহ সকল অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আমাদের দ্বৈত আকাশে (আমার আর আমার বউয়ের) বিয়ে নামক সূর্যের উদয় হলো। তার আগে অবশ্য আরও কিছু হলো। যেহেতু নিজেদের পছন্দের বিয়ে তাই বউয়ের বাড়ির দিকের লোকজনের সাথে বিস্তর লবিং করে তাদের মন গলাতে হলো। আবার আমার বাড়ির লোকজনের খানিকটা হাতে খানিকটা পায়ে ধরে সামলাতে হলো। তারপরও মন কষাকষি হলো। দলিল দস্তাবেজের রেট নিয়ে মাছের বাজারের মতো বিস্তর দর কষাকষি হলো। ঝগড়া হলো, হই-হুল্লোড় হলো এবং বিয়েটা হয়ে গেলো।

বিয়ের আগে আমি থাকতাম মেসে। মেস বলতে আমি আর আমার এক কলিগ মিলে একটা ফ্লাট ভাড়া নিয়েছিলাম। ফ্লাটের দুইখানা রুম। একখানা টয়লেট কাম বাথরুম। কানাগলির মত অতিচিপা একটা রান্নাঘর। রান্নাঘরের সামনে একচিলতে ফাঁকা জায়গা অনেকটা ডাইনিং স্পেস বলে চালানোর অপপ্রয়াস।

সেই ফ্লাটের একরুমে আমার সেই কলিগ আর তার ভাই থাকত। রুমটা ছোট হলেও সুবিধা ছিল সামনের দিকে বলে। বাতাস না পেলেও খানিকটা আলো পাওয়া যেত।

আমাদের রুমটা বড় হলেও চারিদিকে জায়গা না ছেড়ে বিল্ডিং হওয়ার কারণে আলো ঢোকার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। দিনে দুপুরে বিদ্যুৎ গেলেও মনে হতো রাত নয়টা। তারপরও সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন রুমে আমি আর আমার এলাকার এক ছোটভাই বেশ সুখে শান্তিতে দিন গুজরান করছিলাম।

কিন্তু একে তো সুখ সোনার হরিণ, অন্যদিকে সুখ বেশিদিন কপালে সয় না। আবার মুরুব্বিরা আরেক কথা বলে, ‘সুখে থাকতে ভূতে কিলায়।’ আমারও সেই অবস্থা হলো। সোনার হরিণ সুখ আমার কপালে বেশিদিন সইল না। চাকরি পাওয়ার পরপরই আমার আশেপাশের সবাইকে ভূতে কিলানো শুরু করল। মা বলে বিয়ে কর। বাবা একটু ঘুরিয়ে বলে তাড়াতাড়ি বিয়ে করার একটা সুফল হলো বাচ্চাকাচ্চা তাড়াতাড়ি মানুষ করা যায়। বিয়েই করলাম না বাচ্চা! আত্মীয়-স্বজন একটু বেশি বুঝদার। তারা বলে মা-বাপ বুড়া হয়ে গেছে। তাদের এবার একটু বৌমা দেখাও। আশেপাশের বন্ধুবান্ধব এক একেকটা বদের হাড্ডি, বিভিন্ন ধরনের ফাজিল ইয়ার্কি করে বলে– বিয়ে কর। আমিও নিজেকে মাঝে মাঝে বলি– বিয়ে কর। এই যে আশেপাশে থেকে উৎসাহের অত্যাচার, বিয়ে না করে উপায় আছে বলুন।

আমার এখনকার বউ তখনকার হবু বউ গ্যাদার মা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চরিত্র করে, কেঁদেকেটে ওর বাড়িতে ক্যামনে যেন ম্যানেজ করে ফেলল। আংটি পরানো হলো, বিয়ে ঠিক হয়ে গেলো। আমি যখন শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে লবিং করছিলাম; তখন তারা তেমন পাত্তাই দিচ্ছিল না। বিয়ে ঠিক হওয়ার পর হলো উল্টো। ওনারা আমাকে আর সময় দিতে রাজি হলেন না। তাড়াতাড়ি করে কোনোমতে খানিকটা কেনাকাটা করে বসে গেলাম বিয়ের পিঁড়িতে। বন্ধু-বান্ধব এলো, আত্মীয়-স্বজন এলো। কেউ নিজেদের মধ্যে কাজিয়া করল, কেউ কনেপক্ষের সাথে কাজিয়া করল। কবুল হলো, বিয়ে হলো। মুরুব্বিরা ফ্রি দোয়া করে চলে গেলো। অন্যরাও চলে গেলো। রইলাম আমি আর আমার বউ। হিপহিপ হুররে।

বিয়ের আগে মেসে থাকা যায়। শুধু মেসে না, শখ করে মাঝে মাঝে তাবু খাটিয়ে জঙ্গলে রাত্রি যাপন করা যায়। কিন্তু বিয়ের পর থাকা যায় না। ঢাকায় থাকি। ঢাকার মানুষ পাখিদের মতো। বাড়িতে নয়, বাসায় থাকে। সুতরাং বাসা নিতে হবে। মুরুব্বি গোছের কেউ কেউ হয়তো বলবেন, কেন বউকে গ্রামের বাড়িতে রাখলে কি হয়? গ্রামের বাড়িতে রাখলেই তো চলে।

আমি বলব না কাকু, চলে না। সেই দিন আর নাইরে নাতু, খাবলা খাবলা প্যারার ছাতু। আগের প্রাচীন বাংলা সমাজে বিয়ে করার পর, দিনের বেলায় স্বামী স্ত্রীরা নিজেরা নিজেদের দেখতে পেত না।

যদি কেউ এ ধরনের চেষ্টা করে বাড়ির খতরনাক মুরুব্বিদের হাতে ধরা খেত, তাহলে বউয়ের কপালে বিস্তর অত্যাচার জুটত। ক্লাসিকাল রাইটারদের লেখনিতে এগুলো আমরা বিস্তর পড়েছি। কিংবা স্বামী অনেক দূরের কোনো জায়গায় চাকরি করে। বাড়িতে চিঠি লিখবে বাবা-মায়ের কাছে। বউয়ের কাছে সরাসরি চিঠি লিখবে সে উপায় ছিল না। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে দু’একবার নববধূর খোঁজ নিতে হতো। কাতর নয়না বধূ ঐ দু’এক কথার সংবাদেই আনন্দে চোখের জল ফেলত।

এখন মডার্ন যুগ। চিঠির যুগ কবেই পুরনো হয়ে গেছে। মোবাইল কল আর মেসেজও বাতিলের খাতায় ধরতে গেলে। ফেসবুক ট্যুইটার চ্যাট ফ্রি। সেখানে লাইক পোক নিয়মিত চলে। না দেখে থাকার উপায় নেই ভাই। ইমো, হোয়াটসঅ্যাপ, ভাইবার আরও কত কিছু। এখন আর শুধু কথা নয়, সরাসরি দেখা।

আগে নাকি স্ত্রী স্বামীকে পারসোনাল চিঠি লিখতে গিয়ে শেষে তোমার জন্য চুমু লিখতে লজ্জায় মরি মরি হতো। এখন সেসব পানসে হয়ে গেছে। এখন তোমার জন্য সবকিছু।

মেস ছেড়ে বাসা নিলাম। মাঝারি সাইজের বাসা। দুটা রুম। ড্রয়িং ডাইনিং আলাদা। দুটি বাথরুম। রান্নার রুমটা বেশ। আমার আগের রুমের অর্ধেক। আগের বাসার টাইলসে কালো কালো দাগ ছিলো। এখনকার টাইলসে মুখ দেখা যায়। মাথা আচড়াতে আয়নার প্রয়োজন হয় না।

বাসা তো বেশ। কিন্তু বাসার জিনিস কই। যখন মেসে ছিলাম তখন আমার কাপড়চোপড়ের বাইরে ঘুমানোর জন্য একটা তোষক ছিল। সাথে একটা চাদর আর বালিশ। এই দিয়ে আমার দিব্যি চলে যাচ্ছিল।

কিন্তু বিয়ে করে তো আর এভাবে চলে না। বিয়ে মানেই নিয়ম কানুন। সব কিছু আইনানুযায়ী হতে হবে।

বাসা থাকতে হবে সাজানো গোছানো। টিভি থাকতে হবে, ফ্রিজ থাকতে হবে। আলনা, ড্রেসিং টেবিল, সোফা, সাথে খাটটাও হতে হবে তোফা। আজকাল আবার কত কিসিমের আধুনিক স্টাইলের আসবাব বেরিয়েছে।

পুরাতন স্টাইল হলেই বাতিল মাল।

যাই হোক, এতকিছু একবারে করার সামর্থ আমার নেই। সবেমাত্র চাকরিতে ঢুকেছি। আগে বাড়িতে দিয়ে বাকি যা থাকত তাতে বেশ আরাম আয়েশে চলে যেত। এখন আরামের আর সেই সুযোগ নেই। বউ এসেছে, দায়িত্ব বেড়ে গেছে। আত্মীয়-স্বজনের সন্দেহও বেড়েছে। এরই ফাঁক ফোকড়ে নিংড়ে মুংড়ে যা থাকে ঐ দিয়েই ধীরে ধীরে কিনতে হবে। প্রথম কিনতে হবে একটি খাট। নতুন বউকে তো আর মেঝেতে রাখতে পারি না।

বন্ধুবান্ধব কিংবা কলিগদের খাট কেনার কথা বলতেই সবাই হই হই করে ইয়ার্কি শুরু করে দিল। একজন বলল, চিন্তা কি? আজকে বাসায় গিয়েই প্যান্টের বেল্ট খুলে ভাবিকে শপাং শপাং শব্দ শুনাবেন। দেখবেন আগামীকাল শ্বশুর মশায় খাট পাঠিয়ে দিয়েছে।

ইয়ার্কি শুনে দেতো হাসি দিলাম। বললাম, উল্টোটাও তো হতে পারে। ধরুন বউই আমাকে বেল্টের শপাং শপাং শব্দ শোনাল। তাহলে তো বিপদ। আর বউকে তো এখনো বাসায় আনতে পারিনি। সে আসবে বলেই তো খাট কেনার তাড়া।

কেউ বলল, নতুন বিয়ে ভাই। খাটটা একটু শক্ত সমর্থ কেনাই বাঞ্ছনীয়। না হলে ভেঙে টেঙে কেলেঙ্কারী হয়ে যেতে পারে।

অনেকে মুচকি হেসে বুদ্ধি দিলো, খাটের নাট-বল্ট খুব ভালোভাবে টাইট দিয়ে নিও। না হলে কিন্তু ভয়ানক শব্দ হবে। শেষে প্রতিবেশীরা তেড়ে মারতে আসতে পারে।

সকলের এমন প্রায়নগ্ন ইয়ার্কি কাষ্ঠহাসি দিয়ে কোনোমতে কাটিয়ে দিলাম। কিন্তু ইয়ার্কি দিয়ে তো আর খাট আসবে না। আর খাট না হলেও চলবে না। তাই ছুটির দিনের একদিন বেরিয়ে পড়লাম খাট কিনতে। পাশেই আসবাবপত্রের বেশ বড়সড় একটা মার্কেট আছে। ওখানেই যাওয়া যাক।

আসবাবপত্রের বাজারে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার। এত এত সব আসবাবপত্র চিন্তাও করা যায় না। অদ্ভুত সুন্দর সব ডিজাইন। আজকাল মালেয়শিয়ান উড নামের একপ্রকার উডের আসবাবপত্র বের হয়েছে। যেমন চকচকে তেমন কারুকার্যময়। হরেক নকশা করা। দেখলেই মনে হয় কিনে ফেলি। দেখলাম বেশ বিক্রি হচ্ছে। অনেকেই ভ্যান বোঝাই করে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ভ্যান বোঝাই তো আমার পকেট সাপোর্ট করে না। খানিকটা দ্বিধা-দ্বন্দ্ব নিয়ে মাঝারি সাইজের একটা দোকানে ঢুকলাম। পছন্দসই একটা খাট দেখিয়ে দোকানিকে বললাম, ভাই এইটার দাম কত হবে?

দোকানি হাসি বিগলিত মুখে বলল, খাট কিনবেন বুঝি?

তার হাসি দেখে মনে হলো, বত্রিশ দাঁতের সাথে আরও কিছু দাঁত ভাড়া করে এনেছে।

আরে বসুন, তারপর দাম শুনবেন। কিছু আনাবো ঠান্ডা না গরম?

আমি দোকানির আতিথেয়তা দেখে মুগ্ধ হলাম। বললাম, আরে না না, ঠান্ডা-গরমের দরকার নেই। খাট হলেই চলবে।

দোকানি বেশ আন্তরিকতার সাথে জিজ্ঞেস করল, নতুন বিয়ে করেছেন বুঝি?

আমি খানিকটা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, বুঝলেন কি করে?

দোকানি প্রত্যুত্তরে বলল, ও আমরা দেখেই বুঝতে পারি। বয়স তো আর কম হলো না। নতুন বিয়ে করলে খাটের শখ একটু অন্যরকম থাকে। বয়স বলে কথা। আমরাও তো এই সময় পার করে এসেছি তাই না।

আমি দোকানির ইঙ্গিতবাহী আলাপ আর বেশি দূর আগাতে না দিয়ে পুনরায় জিজ্ঞেস করলাম, দাম যেন কত?

দোকানি মুখে আগের মত হাসি ঝুলিয়ে রেখেই বলল, আপনার পছন্দের তারিফ করতে হয় মশায়। দারুণ চয়েস। খাটও মজবুত দামও বেশি না, মাত্র ত্রিশ হাজার। দাম শুনে ভিমড়ি খাবার জোগাড়, রীতিমত চুপসে গেলাম।

বললাম, দামটা একটু বেশি হয়ে গেল না?

ভালো জিনিস হলে দাম তো একটু বেশি হবেই। আপনারা চাকরি-বাকরি করেন, টাকা তো হাতের ময়লা।

মনে মনে বললাম, ব্যাটা তুমি আর কি বুঝবা? বেতন সাকুল্যে যা পাই দু’মাসেরটা একসাথে করলে একটা খাট। এতো টাকা দিয়ে খাট কিনলে দু’মাস খাবো কি?

দোকানিকে তো আর এসব কথা বলা যায় না। তাই বললাম, না ভাই আমার বাজেট অত না।

বাজেটের মধ্যে কি আর সবসময় সবকিছু হয়। তারপরও আপনার বাজেট কত বলেন? দেখি দিতে পারি কিনা। দোকানির এহেন আন্তরিকতা সত্ত্বেও কিছু না বলে বেরিয়ে এলাম। ত্রিশ হাজারের খাট। খুব কম করে বললেও বিশ হাজার বলতে হবে। আমার বাজেট সর্বোচ্চ দশ।

পাশের আরেক দোকানে ঢুকে একটু কম কারুকাজের খাট দেখিয়ে বললাম, কি কাঠের খাট ভাই? বলল, সেগুন কাঠের।

ঢাকার এই আরেক সমস্যা। সেগুন কাঠ ছাড়া অন্য কোনো কাঠই নেই। এতো সেগুন কাঠ যে এরা পায় কোথায়? বললাম, লাইফ গ্যারান্টি মনে হয়।

দোকানি মনীষীদের মত উত্তর দিল, লাইফেরই কি কোনো গ্যারান্টি আছে? আপনার গ্যারান্টি কত দিনের?

আর কথা বাড়ানো যায় না। বের হয়ে এ দোকান ও দোকান করলাম। সবখানেই সেগুন কাঠের খাট এবং অতি উচ্চমূল্য। আমার বাজেটে কুলায় না। বুঝলাম খাট কেনা হবে না। অথচ সপ্তাহখানেক বাদে বউয়ের বাসায় আসার কথা। অন্য আসবাবপত্র না থাক অন্তত একটা খাট না হলে চলে কিভাবে। নতুন বৌকে তো আর মেঝেতে শোয়ানো  যায় না।

মনখারাপ নিয়ে বাসায় ফিরছিলাম। হঠাৎ বুকপকেটে রাখা সেলফোন বেজে উঠল। ফোন বের করে দেখি, বাবা ফোন দিয়েছে। রিসিভ করতেই জিজ্ঞেস করল, কেমন আছিস? বললাম, ভালো।

রাস্তার শব্দ শুনে জিজ্ঞেস করল, বাইরে নাকি, কোথায় গেছিলি?

খাট কিনতে গিয়েছিলাম। কিন্তু কেনা হলো না। যে দাম।

কণ্ঠ শুনে বাবা বুঝতে পারলেন মন খারাপ। জিজ্ঞেস করল, বৌমা কবে আসবে?

শুক্রবার।

ঠিক আছে, দেখি কালকে খাট কিনতে পারি কিনা। কালকে তো পাঠাতে পারবো না। পরশুদিন ঐদিককার কোনো বাসে তুলে দিব। তুই নামিয়ে নিস।

আমি বললাম, আচ্ছা।

আহ! হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। বাবা ফোন রাখতেই সটান বউরে ফোন দিলাম।

বললাম, শোন বাবা খাট পাঠাচ্ছেন।

তারপর ঢাকার দোকানের আসবাবপত্রগুলোর বিস্তর দুর্নাম করলাম। বউও খুশি।

বলল, যাক বাবা, তোমার চিন্তা দূর হলো।

আমি একটু ইয়ার্কি করে বললাম, চিন্তা করো না। ভালো কাঠের খাটই পাঠাচ্ছে, ভাঙবে না।

তুমি না, কিছু মুখে আটকায় না। যাহ, বলে কেটে দিল।

আমি তখন হাওয়ায় উড়ছি।

বি. দ্র. আমাদের খাটটি বেশ শক্ত। এখনো ভাঙেনি। নাটবল্টুও বেশ টাইট করে লাগিয়েছি। এখন পর্যন্ত প্রতিবেশিদের কাছ থেকে শব্দ সংক্রান্ত কোনোরূপ অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu