স্যার নমস্কার। আজ ক’টা হল স্যার?
কে বলছেন?
এইকাল-এর বার্তা সম্পাদক, পিন্টু দাসগুপ্ত।
আচ্ছা বলুন…
বলছি কি আপনার এলাকায় নতুন কেস…
আমার থানায় আজকের সকাল দশটা অবধি— কেস সাতটা। আপনার কাছে কী খবর?
আপনাদের কাছ থেকে খবর নিয়েই তো রিপোর্ট করি স্যার। নতুন আর কী থাকবে?
থাকে তো। অনেক সোর্স আপনাদের।
স্যার একটা কথা বলবো?
বলুন না।!
কুলতলা মোড়ে চার তলা বাড়িটায়…
কী হয়েছে?
এক বৃদ্ধ স্যার। হার্টের পেসেন্ট ছিলেন। মারা গেছেন ভোরবেলা…। কেসটা কিন্তু কোভিড নয়।
আপনি জানলেন কি করে?
রিপোর্টাররা অনেক ভাবে জানতে পেরে যায়।
বুঝলাম। তো আমাকে এখন কী করতে হবে?
ডাক্তার পাঠিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট লিখিয়ে দিন। বডিটা শ্মশানে নিয়ে গিয়ে দাহ করতে হবে তো!
ডাক্তার তো আমার হাতে নেই।
স্যার, খুব সমস্যায় পড়ে গেছে বাড়ির লোক। লকডাউন তার উপর ভাইরাসের ভয়। কোনো ডাক্তার আসছেন না। ফোন করলে থানাও পাশ কাটিয়ে যাচ্ছে।
ঠিক আছে। ব্যাপারটা খোঁজ নিয়ে আমি ওসিকে জানাচ্ছি। তারপর ডিএসপি, এসপি। নোডাল অফিস হয়ে স্বাস্থ্য ভবন। সব জায়গায় রেকর্ড হবে। হসপিটালে বডি ঢুকবে তারপর পোস্টমর্টেম…
স্যার, ভদ্রলোকের মেয়ে আর ওয়াইফ অত হ্যাপা সহ্য করতে পারবে না। বলছে চার তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে…
তো আমি কি করবো?
কিছু একটা করুন স্যার। নইলে…
নইলে কি?
স্যার আপনার সাথে কথা বলছি। সব রেকর্ড হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। আপনি…
কী করবেন আমার?
ওরা আত্মহত্যা করলে কিন্তু আপনি ফেঁসে যাবেন। কমসে কম যাবজ্জীবন হবেই।
বড় বেকায়দায় ফেললেন তো!
স্যার একটা উপায় করুন। যিনি মারা গেছেন তিনি আমার বন্ধুর কাকা হন।
ওঃ, তাই বলুন। শুনুন, ডাক্তার একজনকে পাঠাচ্ছি। তিনি হোমিও না অ্যালোপ্যাথি, কবিরাজি না কুয়াক, সেসব দেখতে যাবেন না। ডিসি মানে ডেথ সার্টিফিকেট লিখে দেবেন। গাড়ি ভাড়া নিয়ে দুহাজার টাকা পড়বে।
ঠিক আছে স্যার, ধন্যবাদ। এ সময় মানুষ মরে গেলে… ডেথ সার্টিফিকেট পাওয়া… ওঃ চাট্টি খানি কথা নাকি!