নুসরাত নুসিন

শকুন্তলা সংখ্যা: ‘নুসরাত নুসিন’-এর কবিতা

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

দর্পণের বিশেষ সংখ্যা ‘শকুন্তলা’-তে প্রকাশিত নুসরাত নুসিন-এর তিনটি কবিতা


তোমার বেহালা


বিবিধ বিষের মতো শুয়ে আছি। সমস্ত দিনশেষে স্বাদে। বিবিধ দিনশেষে
বিষাদে। অন্ধকার থ্যালাসেমিয়া, অন্ধকার নিদান, বিষবাষ্পের কণা উড়ছে।

শরীর ছায়া হলে পাখি কলরব, পাখি জাগরণ, পাখি জাগে না।
সন্ধ্যা অসারতা, কাল অসারতা, তিনদিকে ফটফটে আলো।

কোথাও গলি-ঘুপছি নেই। ছায়া আছে, মাংসের পানির ঘ্রাণ।
তোমার বেহালা নিচু হতে হতে অসুরে নেমেছে। এই বাষ্পবায়ু,
এই উদগ্র টান, তরকারি মন চড়া হতে হতে কিচেনে মজেছে।


কল্পনা করো ম্যাজিক মোমেন্ট


সত্যি বলছি, কলহসুরে আমি আর নাই। এই সুরা ও সুরপথ ভ্যাপসা ঋতুকাল।
তুমি কল্পনা করো ম্যাজিক মোমেন্ট, গরমকাল। আমি কদাচিৎ হেঁটে যেতে চাই।

সম্মুখে ঋতুপরিবর্তন
সম্মুখে পতন
সম্মুখে খেলা
সম্মুখে আমি আর নাই।

ঋতুপরিবর্তনের কালে পাতারা জানে বদল, প্রণয়ে মৃত্যুর প্রক্রিয়া।


সুলতার কোকিল উড়ে যায়


ঋতুবদলে জীবন বহিয়া যায়। সুলতার কোকিল উড়ে যায়।

একটা ভ্রমের পাখির আওয়াজ বহুদিন পিছু ধরেছে। মাটির গানেরা
সব আল ধরে চলে। এক লক্ষ কামিনীর চারা পুঁতে যায় আর ঋতুহীন
বীজ ফেলে যায়।

ছায়ার পাশে দাঁড়ালে ছায়া সরে যায়। মৌসুমে তার কোকিল উড়ে যায়।

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu