ঘুমিয়ে গেলে তুমিও চন্দ্রবিন্দু;
বিস্ময়চিহ্নের আগে তোমাকে বসিয়ে দিলে চুম্বনও বেজে ওঠে চুমুর মতো।
প্রাচীন বরাবর হাঁটতে শুরু করলে পিছনে পড়ে থাকে―
তালব্য(শ), ঘুণপোকা আর আতর শ্রমিকের ঘাম।
‘বুকপকেটে আস্তাবল নিয়ে ঘুরছি লাগামের সাথে দেখা হলেই কিনে ফেলব ঘোড়া’
তোমার এইসব আলাপ ও প্রলাপে সূর্যাস্ত উঠে যায় নূহের নৌকায়।
তুমি জল ভাঙতে ভাঙতে আবারও প্রলাপ বকো― কাটা আপেলের শাস অপেক্ষায় থেকে হলদে হয়ে গেলে, মৃত্যুর মতো খিদেও ক্ষয়ে যাওয়া পাখি।
অথচ তোমার অগোচরে মৃত্যু গাইছে; তুমি তার মন খারাপের ঋতু।
তুমি এক অদ্ভুত ম্যাজিক, চাইলেই তুলে নিতে পারো কামরাঙা, বিষণ্ণ ঝোপঝাড় কিংবা পুরো সরাইখানা।
আফিমেরা পাশাপাশি ঠোঁট মেলালে রাডারে ভেসে ওঠে টর্নেডো;
তবু সাদা রং চিরদিন একা, তবু হেমন্ত কাঁপে।
নুয়ে পড়া আকাশ আজ তোমার নির্জন।
হাত বাড়লে নীলও ডাহুকপাখি; কাশ থেকে কবিতা অব্দি একটি গাঢ় মাউথ অর্গ্যান― তুমি রোদ্দুর বাজাও।
দুপুরের নাম হেতাল হলে শরীরও উষ্ণ জবা
ক্যালেন্ডার থেকে লাল তারিখগুলো নেমে এসে বিলবোর্ডে ঝুলিয়ে দিলো―
মিথ্যে এক আশ্চর্য ঝর্ণা
ডুবতে চাইলে ভাসিয়ে নিয়ে যায় চৈত্রের কাছে,
আর বয়স বেড়ে গেলে ঢুলতে থাকে পানশালার টেবিলে।
কয়েকটি হারানো অক্ষরের খোঁজে নিখোঁজ হলো ইতিহাসের গোটাকত পৃষ্ঠা।
তারপর থেকে সাবধান হয়ে গেলো আধপাকা কামরাঙা,
নিজের ঘ্রাণ, রঙের আদল ছড়িয়ে দিলো বোটায় বোটায়;
আর সমস্ত ছুটির দিনের নাম দিলো মিহিতা সরকার।