টুপটুপ বৃষ্টি শেষে যেই না মেঘ কেটে উঁকি দিলো ভরা পূর্ণিমা, এই মুহূর্তে আমি নিশ্চিত— জোছনা তোমার হাসি হাসি গালে চুমু খেয়ে পৃথিবীটা এতো আলোকিত করেছে…
নয়তো কী? অত রূপ চাঁদের কবে ছিলো?
হাসছো?
তুমি হাসলেই এমন হয়,
তুমি হাসলেই দাগী আসামীও বাইবেল পড়তে শুরু করে
তুমি হাসলেই ঘাতকের বিষমাখা ছুরি খসে পড়ে যায় হাত থেকে;
তুমি হাসলেই দগ্ধ হৃদয় মিঠা নদী হয়ে যায়।
কী বিশ্বাস হচ্ছে না?
হেসেই দেখো—
তুমি হাসলেই সহস্র প্রেমিক ক্রুশবিদ্ধ যীশু হতে চায়,
তুমি হাসলেই আমার খুব খুন হতে ইচ্ছা করে তোমার ভেতর।
শুনছো?
ঐভাবে হেসো না মেয়ে,
হাসলেই পৃথিবী নুয়ে পড়ে তোমার পায়ের কাছে।
তোমার আঙুল লিফলেট
তোমার আঙুল রাইফেল
তোমার আঙুল বিষের ছুরি
তোমার আঙুল চৌদ্দশিকের জেল
যে তোমার আঙুল ছুঁয়েছে— সে নির্ঘাত মরেছে
জনমের মত মরেছে, অকালে মরেছে—
যে তোমার আঙুল ছুঁয়েছে—করাতে কেটেছে—আগুনে পুড়েছে—প্রেমে মরেছে, সত্য।
৪ নভেম্বর
তুমি এলে। আমার অপ্রাপ্ত নিলাজ কুড়িতে
ঈষৎ ছাপ ফেললো— চুরুটে পোড়া অধর।
কথা এমন ছিলো না, তবু— অযুত বার তোমার
নামের কলিং বাজলো হৃদকপাটে।
৭-ই নভেম্বর
তোমার দৃষ্টির মদে কিছুটা টাললাম হলাম।
বদ হলাম; তুমি ধ্রুপদি আঁচল টেনে ধরলে,
বুঝলাম ফুলের জন্ম পাপ যদি ভ্রমর না জানে
মধু আহরণ।
১৩-ই নভেম্বর
চাঁদ ঘামছে; পৃথিবীর পায়ের উপর পড়ছে তার
ফোঁটা। কার সঙ্গমে কে জানে? তুমি
আঠারো প্লাস কৌতুক শোনাতে শোনাতে
মগ্নপ্রায় জিরাফের লোভী দাঁত দিয়ে টেনে
বুকে রাখা নিষিদ্ধ রুমাল সরিয়ে ফেললে;
ইশ্! রাতে, অনিয়ন্ত্রিত স্বপ্নে আর আসবে না তুমি;
উদ্দীপনায় আমার পায়ের আঙুল কাঁপে।