পিঠের দেয়াল বেয়ে নেমে যাচ্ছে সিল্কের হলুদরাঙা রোদের আয়না।
আবহসঙ্গীত। সময় ঘড়ি।
পাতার মর্মরে মৃতদের কণ্ঠস্বর।
ল্যান্ডস্কেপ। অপরিচিত পাখি। চিৎ হয়ে শুয়ে থাকে
পঞ্চমীর চাঁদ। শীতের মরা মাছির চোখের মতো মৃতনগরী।
পরিত্যক্ত লবণ খনির সাথে নিভে যায় প্রতিটি দীর্ঘশ্বাস।
ঘুমের দরোজা থেকে পালিয়ে এসেছে
প্রজাপতি চোখ
বরফের ডিম
তা দিচ্ছে ক্লীব সভ্যতা
বিশ্বাসের জিহ্বায়
পবিত্র প্রেত অযুখানার
শাসকের কররেখায় আঁধার
ও
তার উদাম নৃত্য
কবরখানা থেকে শ্মশান
নীরবতা ভেঙ্গে
একজন বলে উঠলো মানুষ
মানুষটি
মানবতার চাদর মুড়িয়ে
ফিরে গেলো
ফ্রান্সের সেই শিক্ষকের কাছে
এসব-ই আদপে
হোমো স্যাপিয়েন্স
ও
প্রজনন-চক্র
বুঝতে পারি, তবু চুপ করে থাকি,
খুব কম কয়লাই হীরা হয়।
গাছেরা ঝরে ঝরে, মরে মরে কাঠ
বসতিজুড়ে মানুষের বর্জ্য, ময়লা ও কফ।
গাছের নিরাময় করবো বলে পা বাড়াই।
গাছের ডাক্তার যদিও জানা নেই,
থাকি ঠিক সেখানে; যেখানে চারাগাছ মাথা তোলে।
আহত শিরীষ উড়ে যেতে দেখেছি
কাঠপিঁপড়ের মরে যেতে থাকাও…
ময়লার স্তুপের ওপর রঙিন প্রজাপতি।
বুনো বাতাসের আঙুলে আঙুল রেখে
হেঁটে যায় সানসিল্ক রোদ।