জীবন জুড়ে পাঁচ হাজার মিটার দৌড়ানোর পর দৌড়ের সঙ্গীরা হাঁটতে চলে গেছে। কবিকে একাকীই দৌড়াতে হয়। কবির কোনো সঙ্গী নেই, কবির জীবন ব্যক্তিগত। কবি চলো, চলো একাই; চলো সান্ধ্যকালীন অন্ধকারের পথে। ছুটে চলো বিনিদ্র রাত। সঙ্গী বলতে তুমি ও তোমার পরম। দুনিয়ার আত্মাগুলো সাময়িক বিস্তার করলেও শরীর পতনের সাথে সাথে তোমাকেও ছেড়ে দেবে। অন্য কোনো আত্মার সাথে বাঁধবে ঘর। চিরশয়ানের এই দিনে উল্লাস করো– দৌড়ের উল্লাস। পরম আত্মার প্রতি এই যাত্রা সফল হোক।
একটা প্রজাপতি বাসের নিচে পড়ে মরতে চেয়েছিলো। সেই লক্ষ্যে ফ্লাইওভার থেকে ঝাঁপ দিলো। কবি মাত্রই আশাবাদী। এরপরও কবি মারা যান। প্রজাপতিটাও অনেকবার মরেছিলো। এবার করলো আত্মহত্যা, মরতে পারেনি। এই তার দুঃখ।
এই কথাগুলো পড়ে আপনার কুসংস্কার মনে হতে পারে। প্রজাপতিরা কুসংস্কার পছন্দ করে। আপনার হয়তো কুসংস্কার অপছন্দ। আপনি দূরে থাকুন। প্রজাপতিরা কবিতা লিখে না, কুসংস্কার লিখে। কবি মনে করেন, একেকটা কবিতা একেকটা কুসংস্কারের নাম।
কুসংস্কারের রাত দীর্ঘ। প্রজাপতিরা বলে কবি না হয়ে শয়তানে পরিণত হবো। গালি দেবো। দেবীকে ধর্ষণ করতে এগিয়ে যাবো। এসব নিশ্চয় আপনার ভালো লাগবে না। আপনি সরে যান। না হয় বলুন, নিজেই সরে যাব। ধর্মের প্রভুকে গালি দিয়ে মরতে নারাজ। কবিতা নামের কুসংস্কার লিখতে লিখতে মারা যেতে চাই, খুন হতে আগ্রহী নই।