বকুল আহমেদের তিনটি কবিতা
সংবাদ শিরোনাম
ঈশ্বরের আকাশে হোলিমেঘ
রঙধনুর অট্টহাসিতে
জীবন আমাদের বিষাদী উপাখ্যান;
লাখো প্রাণ– মেঘেদের সফেদ রঙ
কাফন হয়ে আকাশে জ্যোৎস্না বেলায় চাঁদ
সে আলো গাঢ় অমাবস্যা নামায় মনে
তবু সয়ে যেতে যেতে মৃত্যুকে ক্ষুধা ভেবে
পান করা আমাদের নিত্য সংবাদ!
ঈশ্বরের আকাশে হোলিমেঘ
আমাদের শুধু শোক আর শোক।
মানুষের বিকল্প মানুষ
আমাদের চোখের সামনে যমদূত–
বন্দুক তাক করে আছে–
রাষ্ট্র্রের
পোষা
ছা’গুলো।
কথার বদলে গলগল কোরে বের হচ্ছে রক্ত,
প্রতিবাদী আঙুল কেটে জমা করছে রাষ্ট্র্রীয় কারাগারে আর রক্ত গড়িয়ে গড়িয়ে যে অক্ষর–
অক্ষর থেকে শব্দ,
শব্দ থেকে বাক্য,
বাক্য থেকে যে স্লোগান দাঁড়ালো–
‘মানুষের বিকল্প মানুষ’।
অযথা গুলি খরচের আর প্রয়োজন নেই
হে মহামান্য;
সব মানুষ মরে গেছে– যে যেখানে ছিলো।
অন্দরমহল
ঠোঁট যখন অন্দরমহলের চাবি
তখন ঠোঁটে ঠোঁটে খুলে যাক মহলের প্রবেশদ্বার।
চোখ ধাঁধিয়ে গেল–
ঘুরে ঘুরে দেখতে থাকি নদীর স্রোত
দেখতে থাকি মহলের সম্মুখ
অভ্যর্থনায় পাখনা মেলেছে প্রজাপতি–
প্রিয় ফুল।
দেখতে থাকি শৃঙ্গ
দেখতে থাকি প্রিয় পৃথিবী
এঁকে ফেলি স্বর্গনহর
অথচ অনেকেই বলেছিল
ঐখানে যেও না গো– মৃত হবে মন,
এসব ভেবে ভেবে–
দেখি চোখের সামনে চকচক করছে রূপালী চাঁদের চাবি, অথচ হচ্ছে এখন চন্দ্রগ্রহণ।
ঠোঁট যখন অন্দরমহলের চাবি
তখন ঠোঁটে ঠোঁটে খুলে যাক মহলের প্রবেশদ্বার।