বিনয় কর্মকারের তিনটি কবিতা: ‘শার্ট’, ‘বেহায়া’ এবং ‘রক্ষণশীল’
অতিশ্রেণি বাদ দিলে,
শার্ট মানে– গায়ের ওপর একটা আলগা কাপড়ের আস্তরণ;
চেনা ঘামের ঘ্রাণ,
টুকরো কাপড়ের সম্মিলিত কারুকাজ–
যার পকেটে লুকিয়ে থাকে একেকটা সংসারি গল্প।
আর হাত থেকে পকেট-তো কারো কাছে, মহাকাশ সমান দূরত্ব!
বোতাম আর বোতামঘর?
সে-তো, পোস্টমর্টেম শেষে জুড়ে দেয়া একেকটা দরকারি সেলাই।
আমরা ঘাড় পাল্টাতে পারি না বলেই;
দুরারোগ্য ক্ষত নিয়ে দীর্ঘকাল বেঁচে থাকে কোনো-কোনো কলার।
বৃক্ষের গায়ে পেরেক ঠোকা,
ঝুলে থাকে প্রতিপাদ্যের ফেস্টুন; ‘গাছ-ই প্রকৃত বন্ধু’।
আর– ফিটনেসহীন গাড়িওয়ালার দাবি ‘নিরাপদ সড়ক চাই’!
ভোটের প্রচারণায় যে-দিন থেকে ফুলের মতো পবিত্র বলে শ্লোগান এলো;
সেদিন থেকেই প্রেমিকার উপমায়, ফুল সংক্রান্ত শব্দমালা নির্বাসিত।
আইনের কথা বলবেন?
দেয়ালে জরিমানার অংক বসিয়ে দেখেছি; বন্ধ হয়নি বেহায়া প্রস্রাবের স্রোত!
রক্ষণশীল বলে কথা;
‘তোমরা সবাই সাইট দাও, আমাগো বৌ বাজারে যাইবো!’
নিয়ম-নিষ্ঠাবান একটা নৌকার কাহিনি বলতো নিজাম কাকা;
যার পেশা ছিলো খেয়া পারাপার!
গোপন বলে আমারে যে দ্বিতীয় কান করতে নিষেধ করেছিলো;
বিবিসি নিউজে তিনিই সে-খবরের সংবাদদাতা!