মোহাম্মদ জসিমের দু’টি কবিতা
সাদা পৃষ্ঠার ঝুমঝুমি
“…পুস্তকের পৃষ্ঠাগুলো ব্যবহৃত হইতেছে তোমার অভ্যাস রচনায়…”
অক্ষরের ডিম্বাণু ভেঙে বেরিয়ে আসে পয়সা ও চাঁদ
অক্ষরের ডিম্বাণু ভেঙে বেরিয়ে আসে সান্ধ্য অবসাদ
মৃতদেহ ডাকে মৃদুস্বরে…
সূর্যোদয় থেকে তোমার বসত ততটাও দূরে নয়—ভাবি, সূর্যাস্তের দিকে মুখ করে দাঁড়ালেও লাল লাল নীরবতা ফুটে উঠলে রঙ্গনের ডালে—মৃত সন্ধ্যাকালে—কার নাম মন্থন করবে তুমি!
পানাহার বন্ধ ছিলো—নিদ্রার অপেক্ষা, আখক্ষেতের সিঁথি কেটে কে যেন বেরিয়ে যাচ্ছে, আর—পাখি পাখি আর্তনাদের মধ্যে তুমি চাইলে আমি যেন গোরস্থানে কাকতাড়ুয়া হই।
কাকতাড়ুয়া হয়েছি, বহুকাল—এবার হাত নাড়ানোর অনুমতি দাও—একটু ছুঁয়ে দেখি…
নৈ—রাজ্যের তাথৈ নুপূর: ০৪
উড়ো না তাথৈ…
অতিরিক্ত বইলা কিছু নাই—চূর্ণ চূর্ণ ফালি ফালি যা কিছু পইড়া আছে দ্যাখো সকলেই ব্যর্থ হইতে আসিয়াছে। ইহা ও উহার মইধ্যখানে একটা একলা পেঁপেগাছ খাড়াইয়া আছে—ন্যাংটা, নিপোশাক! তারে তুমি দ্রৌপদী নামে ডাকতে বাধ্য—কেননা বস্ত্রহরনের জইন্যই দ্রৌপদীরা জন্মায়। তাইলে!…
ব্রাহ্মণের প্রপৌত্র আমি—জাত ভুইলা হাত ধরছি শুদ্রের কন্যার, তুমি হ্যা কইলে যা, না কইলেও তা—আখেরে ব্রাহ্মণেরই শাস্ত্রহরণ হইবে।
ভুইলা যাও। কি ভুলবা সেইটা কই… ভুইলা যাও শাস্ত্রের অক্ষর, বস্ত্রের অহংকার। খালি কও— ভুলো না আমায়…