শাহজাহান পারভেজ রনি রচিত তিনটি কবিতা
পাখি অধিকার পরিষদ
‘পাখি অধিকার পরিষদ’-এর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্যানেলে আমার নম্বর ছিলো চার। সভাপতি সাহেব অনুষ্ঠান উদ্বোধন করার পর, প্রথম অতিথির বক্তব্য থেকে যা বেরিয়ে এলো, তা হলো– একটা আকাশ দরকার, যার সুষম বন্টন থাকবে। দ্বিতীয় বক্তা বললেন, সুষম বন্টন তো থাকবেই পাশাপাশি এটাও নিশ্চিত করা প্রয়োজন– সরকারিভাবে যেন একটা কমিশন বসানো হয়।
তৃতীয়জনের কথায় উঠে আসে, গত পঞ্চাশ বছরে
পাখি হত্যার বিবরণ। তিনি বললেন, না এভাবে চলতে পারে না। এই স্বেচ্ছাচারিতার সংস্কৃতি, বন্ধ হউক।
ভেবে দেখলাম, সবাই যা বলার বলে দিয়েছে। বক্তব্য দেয়ার বিশেষ কিছু নাই। তবু কিছু বললাম, যেহেতু বলতেই হতো। আমি বললাম– আমাদের প্রধান অতিথি, তাঁর কিন্তু দারুণ বন্দুক চালানোর হাত। গত ডিসেম্বরে স্যারের সাথে পাখি শিকারের সৌভাগ্য হয়েছিলো,
উড়ন্ত বক মারার, সে যে কী কৌশল, আহ্!
শিম্পাঞ্জি
শিম্পাঞ্জিটাকে আঙুল চালিয়ে
পাছা চুলকানোর মজা নেয়ার পদ্ধতি,
না শেখালেই ভালো হতো
সে এখন আপন পর দেখছে না
সে এখন অধিকারের বাইরেও আঙুল চালায়।
রুহুলের এরকম কথায়, আমরা বহুবার হেসেছি
খুব হেসেছি আমরা, হাসতে হাসতে লুটিয়ে পড়েছি।
অথচ রুহুল? কই তার মুখে তো হাসি থাকে না
কেন, আমরা কি রুহুলকে ভুল দেখেছি তাহলে?
জোকার ভেবেছি?
–নাহ্, এটা সে-ই, সেই ছেলেটা,
যার গলায় ফাঁসির দড়ির দাগ,
যার চুল উড়ছে প্রবৃদ্ধির হাওয়ায়
আরে ভাই, যাকে তুমি সুবোধের গল্প বলেছিলে, মনে আছে?
জিহ্বায় রক্তের স্বাদ
মনে করি, সিংহাসন একটি রেডিও
সেখানে নির্ধারিত গানে
লোকটা দৃষ্টিহীন শ্রোতা।
ধরি, ছাগল কথা বলতে পারে
ধরি, ছাগলের ছালে অদ্ভুত ডোরাকাটা
কী বুঝলেন?
বলছি, ছায়াটাকে ঠেকান, ও খেয়ে ফেলবে
বলছি, ছায়াটাকে আটকান
লোকটার, প্রচন্ড বিপদ
মা-মাসী, ছায়াটা কাউকেই ছাড়ছে না।