আমার লাশটা
জানি না আমার লাশটা কীভাবে দাফন হবে!
পদ্মায় অথবা রূপসায়– হয়তো কে বা কারা আমায় ভাসিয়ে দেবে দু’পায়ে দড়ি বেঁধে!
জোয়ার-ভাটিতে ভেসে বেড়াবো মরা গরুর মতো!
হয়তো একদিন মানুষশূন্য হবে পৃথিবী–
কেউ কাউকে থাকবে না ভাসিয়ে দেবার যমুনায় অথবা হোয়াংহোয়!
পশুরা হেসে উঠবে খিলখিলিয়ে এই বাংলায় অথবা ইতালিতে,
ইরানে অথবা আমেরিকায়!
স্বদেশ,
তোমারে ভালোবাসা হলো না বুঝি ভালো করে–
অতিথি এসেছে!
বাম বুকে করোনার করাঘাত–
ঠকঠক ঠকঠক ঠকঠক!
হে মহামরণ
হে মহামরণ, আর নেই কোনো ভয়,
এবার দাপাও, লাফাও যতটা পারো,
দরজার ছিটকিনি তো দিয়েছি তুলে,
দেখি, করোনা, আজ কেমনে প্রাণ কাড়ো!
প্রয়োজন নেই আর বাইরে যাবার–
বাহিরকে আজ রাখলাম বেঁধে ঘরে,
সময় এখন মহাসংকটময়;
সকলে আমরা আজ সকলের তরে।
একফোঁটা
কী অপার অন্ধকার শুকনো পাতাটির গায়ে!
সুরছেঁড়া কোনো এক ভাঙা বাঁশির মতো বুকে তার একফোঁটা স্পন্দন!
দূরে– বহুদূরে যেন কার করুণ চোখেরা পড়ে আছে নিষ্পলক
মরা পাখির মতো–
বিচ্ছিন্ন সময়ের সমব্যথী রাগে!