মঈনুল হোসেন ফাহাদের দুটি কবিতা: “সুদ” এবং “মাস্ক”
মুনাফার প্রত্যাশায় বিনিয়োগ করছি না।
ধার দিচ্ছি সুদসহ দিয়ে দিও।
যতগুলো দুঃখ নিচ্ছ চক্রবৃদ্ধি হারে দিয়ে দিও।
এমন না যে সুখ পেয়ে গেলে
সেজন্য সুখ দিবে, তা হবে না মোটেও।
আমাকে দুঃখই দিতে হবে
কানাকড়ি হিসেব করে।
কিছু কথা
অহেতুক গায়ে লেগেছিল, জমা আছে।
সুদ বাড়তে বাড়তে স্তুপ হয়ে গেছে— যা মাথার উপরে চলে যাচ্ছে।
ফিরিয়ে দিবো
বুঝিয়ে দিবো সব, সময় মতো।
আমিও মুখোশ পরে ফেলেছি।
যেদিন মুখোশ খুলে গরগর করে সত্য বের হবে
আমিও তেঁতো সত্য সুদসহ দিয়ে দিবো।
এটা প্রতিশ্রুতি।
স্ট্যাম্প করে রেখেছি
ঘটনাপ্রবাহ, দিনপঞ্জি।
ফিরিয়ে দিবো কাককে অহেতুক সন্দেহ করা।
ফিরিয়ে দিবো নদীকে সব জল।
সুদসহ।
যা পেয়েছি, নিয়েছি বা গ্রহণ করেছি সব দিবো।
মাস্ক পরে কারা যেন ছুটে যাচ্ছে,
মুখোশের পরিবর্তে।
গোলাগুলি হচ্ছে, ভাঙচুর হচ্ছে।
সেলুন বন্ধ হয়ে গেছে
বন্ধ হয়ে গেছে চায়ের দোকান
বন্ধ হয়ে গেছে ফার্মেসি।
মাথায় একঝাঁক চুলের কারণে ভাবা যাচ্ছে না কিছুই।
পেটের ক্ষিধা আর মাথাব্যথায় বসে থাকা যাচ্ছে না
খোলা যাচ্ছে না জানালা— ঢুকে যাবে ইট-পাথর।
নেওয়া সম্ভব না ঘুমের ওষুধ।
তবুও বেরিয়ে পড়লাম মাস্ক পরে
দৃশ্য দেখার জন্য।
হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ নিয়ে এলো থানায়।
বাকি রয়ে গেল — চুল
বাকি রয়ে গেল চা-নাস্তা
বাদ যাবে ঘুম।