কর্ন কাপুড়ি

কমল ছোঁয়া ধারা

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

কর্ন কাপুড়ির তিনটি কবিতা


ঘাট


ব্যবসায়ীর আসা যাওয়া, নদী-ঘাট চুপচাপ
নিম আর সেগুন ছায়ায় পড়ে থাকে পথ,
অপেক্ষায় যাত্রী-পায়ের শব্দের।

পেট-কাটা নদী এক করে দুই পাড়,
তুমি ও আমি কখনো কখনো
মিলে যায় সত্যের কান্নায়, নদীর ঘাটে;
গম্ভীর স্রোত গভীর না হওয়া পথে।

ফেলে আসা রাস্তা পিছতে পিছতে মিলিয়ে যায়;
এ পর্যন্ত ছাড়তে আসে কয়েকজন, আর দেখা হয় না।

বিশ্রামের নামে শুয়ে পড়ি ছায়ের ওপর
চোখে হাত রেখে দূরত্ব দেখে নিই,
রাস্তা ঠাণ্ডা হয় নদীর জলে, তারপরে ওই পাড়।

আমার মতো অনেক, তোমার সাথে মিলতে আসে ঘাটে
নিম-সেগুনে ঠেসা রাস্তা ভীড় নিয়ে হাঁটে।


কমল ছোঁয়া ধারা


কমলিকা, কোন নদীর নাম?
নীচের থেকে বয়ে চূড়া ছুঁয়ে যায়
প্রত্যেক ধারা দলে দলে।

উজ্জ্বল সুর তার পাহাড়ি  ভাষায়,
তরল ক্ষত পায়ে
বিন্দু নূপুর কলকলিয়ে ছোটে।

কোথায় এ নদী, কমলিকা?
ও…ই চূড়া থেকে দেখা যায়,
সাতটি শাখার মেলানো ধারা
পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে উপরে ওঠে
সাপের মতো বুকের ভরে।

শিখর তলের কমল ছোঁয়ার পর
আবার ঝরে কমলিকা…
দেশের মাঝে গভীর খালে।

এভাবে ফসল ফলে যে চেতনায়
সে নদীর নাম কমলিকা।


দূরের থেকে


পৃথিবীর রূপ
মুখস্থ করে স্থির হয়েছো।

আমি কতদূর আর যেতে পারি
এ নাভির চারপাশ ছেড়ে,
কোথায় বেরোতে পারব!

এই ভেবে নিশ্চিন্তে রাতের মায়া
পর্দা নামায় তোমার চোখে।

এতটাই দরকার ছিল,
অনন্ত ছাড়িয়ে আমি উঠে পড়েছি;
তোমার এ বোধে সূর্য খোঁজা যায় না।

শব্দে মেতে আছ তুমি,
ভোরের পাখির মতো।

দূর থেকে শুধু একবার দেখব,
তুমি ভিজবে অমাবস্যায়।

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu