পলাশ কুমার দাসের ৩টি কবিতা
বিষফোঁড়া
নদীর শরীর ভেসে ভেসে দৃষ্টিতে মিশে যায়।
অর্থহীন বাসনা তৃপ্তির সিংহাসন।
সমাজের মুখোশ নিষ্পাপ চরিত্র–
বাসনার চিলেকোঁঠায় ঝুলে থাকে আধুনিকতা ধারন করে।
নীরব উল্লাস,
শরীরের বারান্দায় উষ্ণ চায়ের কাপ ছুঁয়ে
রং তুলিতে যৌনতা আঁকে।
নৈতিকতার স্খলন মুছে যায় চাতুর্যতায়।
নিয়ম করে
বিবেক বিক্রি সংক্রামক।
আর।
দেহ বিক্রেতা সমাজের কাঠগড়ায় দাঁড়ায়।
আহত হয়।
অতঃপর,
ধর্মের দোহায় দিয়ে নর্দমায় নিক্ষেপ করে।
তবুও আমার কবিতার বিরোধ নেই।
কারণ,
ওরা ধর্ম লিখতে লিখতে বেশ্যালয় ত্যাগ করে।
ঘুড়ি
হাওয়ার সংস্পর্শে–
ঘুড়ির স্বভাব পাখির ডানায় আত্মপ্রকাশ।
কৃতজ্ঞতার সিংহাসনে বসে হাওয়ার সাথে ঘুড়ির
প্রেম হয়, সংসার হয়।
তারপর,
মায়ার তাবিজ কণ্ঠে জড়ায়।
স্বাধীনতা কাব্যের শব্দগুলো ছুঁয়ে–
মৃত্যু খাদের পাড় দিয়ে হেঁটে যায় কিন্তু ফিরেও তাকায় না!
নিখুঁত চাতুর্যতায়।
তা সত্ত্বেও–
বোধের আবডালে নাটাই হাতে মহাজন।
জীবিত লাশ সৎকার
অলস মস্তিষ্কে অস্তিত্বের সংকটে-
ভাবনার সাগরে বর্জের তরী।
অতঃপর,
মনুষ্যত্বের দেয়াল ভেঙে
নৈতিকতার স্খলন, মানবতার পতন।
অতৃপ্ত বাসনার তালাসে
মানুষের কাছ থেকে মানুষ হেটে যায়,
সামাজিক বেষ্টনী ভেঙে দৃষ্টির দ্রাঘিমার বাহিরে।
শুধু অক্ষত রয় পদচিহ্ন।
পদচিহ্ন ক্রমশ গভীর হয়, অস্থিত্ব হারায়।
উম্মাদ, অচেনা শরীরে তুচ্ছ সম্পর্ক,
বিষ চোখের দৃষ্টিতে নীল কত প্রাণ?
মানুষের জঠরে জন্ম তার,
ভুলছে কেমন অমানুষী আচরণে।
ঘুমন্ত বিবেক, ভিতরের পশুটা ছুটছে অহর্নিশি–
শরীরটাকে কয়েক’শ টুকরা করে।
বেওয়ারিশ সম্মান কিংবা আতঙ্কে নতশির।
সুখগুলো নীরবে কাঁদে,
আহত কিংবা রক্তস্রোতের নিত্য অনুষ্ঠানে।
নগ্ন স্মৃতিচিহ্ন অন্ধকার ভবনে–
প্রেমহীন উৎসবে বেলা শেষ।
সময়ের চোখে অন্ধকার ঢেলে,
অনুশোচনার বাতায়ন খুলে দৃষ্টির দ্রাঘিমায়–
মরুতে প্রাণের চিহ্ন।
আর বিষাদ তরী ছুটছে জীবিত লাশ নিয়ে–
সৎকার করবে বলে।