গত রাতে তারা দা আসলেন। মানে, তারাপদ রায়।
এসে বললেন– হ্যাঁ রে চুঁই, বলতে পারিস মাল খেলে কী হয়?
প্রশ্নটা শুনে আমার ঘাবড়ে যাবার কথা, যদিও ঘাবড়ালাম না। বরং উত্তর দিলাম– ‘কী আর হয়? হয়তো ফ্রিজগুলো আলুর ভেতরে রেখে, বৌদি টিভির জ্বাল কমিয়ে দেয়, নয়তো ভাত খেতে বসে– আপনি কোনো রিস্ক নেন না। এই তো হয়!’
তিনি বললেন–
‘না, মাল খেলে স্লিপিং পিলের খরচা বাঁচে, আর এই
সময়ে পয়সা যে কতটা জরুরি তা তো জানিস। দশ টাকার চিপস, পনের টাকায় কিনে আজ দেখলাম ভিতরে পাঁচ টাকার হাওয়া ভরা। এদেশে হাওয়াও বিক্রি হয় রে শালা!’
মানুষ হয়ে খুব বেশি লাভ হ’লো না
যদি জানতাম
মানুষ জন্মে
মানুষ থাকা কঠিন,
– পারলে খোদা হয়ে জন্মাতাম,
খোদা হওয়ার নানাবিধ সুবিধা।
যেমন ধরো সেদিন, তোমাদের রান্নাঘর থেকে
কোপ্তার গন্ধ ভেসে এলো
আর আমারও বিবিধ অভাব,
– ইচ্ছে হলো খাই, কোপ্তাদের দুটোকেই।
নির্ঝঞ্ঝাট এমন একটি ঘুম চাই
যে ঘুমে ঢুকতে পারে না
রান্নাঘরের ঠুং ঠাং আওয়াজ
বাচ্চাদের হুটোপুটি
তরকারিওয়ালার ডাক
আমার তেমন একটি ঘুম দরকার
যে ঘুমে বিষ্যুদবার রাত আছে,
রোববার সকাল বলে কিছু নেই।
– আচ্ছা বলো তো ভাই, এমন হলেই কি
ডাক্তারেরা মলিন মুখ নিয়ে
বলে থাকেন- দুঃখিত, he is no more!