সামতান রহমান

গতিগোর

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

সামতান রহমানের দুটি কবিতা ‘দৃষ্টিসীমা’ ও ‘গতিগোর’


দৃষ্টিসীমা


চাঁদ দেখে ভয় পাই
আর না জানি কী দেখে ফেলি!
কোনো সাযুস্য যদি তেড়ে আসে?

অনেক জোনাক–
অনাগত দিনের দিকে তাকিয়ে থাকি,
কোন কোন আশ্চর্য ফিরে যায় স্বাভাবিক!

ব্যক্তিগত কমটুকু দিয়ে ঢেকে রাখি সূর্য।
অন্ধকারের উৎস লাগে না,
আলোর আয়োজন সরালেই–
চির আছে যে,
স্বজ্বল, তার ভেতরে সে
আমাকে ফিরিয়ে দেয়, আমার কাছে!

এখন, ফুল দেখেও আঁতকে উঠি
ফুলের চেয়ে যদি কিছু দেখে ফেলি!
কোন তুলনা, তুলে ফেলতে পারে চোখ?

আত্মগৃহীত বেড়িগুলোর দিকে নুয়ে থাকি,
নিশ্বাস থেকে ছড়িয়ে দিই ধোঁয়া,
হলুদপাতার গাছে ফুটে থাকে সিজনের অভাব!

দিতে দিতে অর্জিত–
বিরানটুকু দিয়ে চেপে ধরি বাগান।
যে বন হবে,
তার আর রোপণের অপেক্ষা কিসের?
বপনের মেনু
তোমাকে ফিরিয়ে দেয়, বিপন্ন মালির কাছে!


গতিগোর


দুর্গতি লেগে গেছে পায়। যেদিকেই যেতে যাই, উঠি গিয়ে হাটে। কোনো স্থান এনে, সেখানে, অন্য কোথাও গেলেও, আমাকে গিয়ে ছড়িয়ে পড়ে লাগা-হাট!

দোকান থেকে দোকানের শোভা হয়ে ওঠা কপাল আমার, বিক্রি দিয়ে প্রথম যে মুক্তি নিয়েছিল, সে এখন এক ঘাগু হাটুরে!

শুধু বিক্রি হয়ে যাই! যেতে যেতে, ব্যবহারগন্ধ বেরিয়ে আসে আর প্রকাশ্যে অনুভব চেপে ধরেন আমার ক্ষতিগ্রস্থ মালিক। অথচ কতো ক্রেতা-সওদাগরদের দেখছি, যাবার পথে, ক্রিতোমালের সুবাস নিয়ে বড়াই করে যাচ্ছে!

পানির দামে কিনেও তাই, সদ্যক্রেতা, আমাকে হাত বদল করতে মরিয়া। দর পেতে এতো সুগন্ধি মেখে দাঁড়াতে হয়েছে, এখন আর নিজের কোনো গন্ধ নাই। এতো রঙরূপ নিতে হয়েছে, তার বহু ব্যাপারের নিচে চাপা পড়ে গেছে প্রকৃত চেহারা!

সেই হাটুরিয়াকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এই যে বিকিয়ে যাচ্ছি, হাতে হাতে বেহাত হয়ে ফিরছি, এ থেকে কি আমার কোনো মুক্তি নাই? বলল, ‘যে মুক্তি চায়, সে তা কারো কাছে চায় না!’


This is an original content which is written by a DORPON author. Copying and publishing any part of the content is strictly prohibited.

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu