জোবায়ের মিলনের দুটি কবিতা ‘এসো, তোমার পাশে একটু বসি’ এবং ‘অনার্য সময়’
এসো, তোমার পাশে একটু বসি
তুমিও আমার পাশে একটু বসো
পাশাপাশি বসে ভেতরে জমানো
ছোট ছোট মেঘকণাগুলো ঝরাই,
এসো।
আমি অচেনা হতে পারি তোমার
তুমি অচেনা হতে পারো আমার, আপত্তি করো না।
তোমার কিছু কথা অবশ্যই আছে
আমার কিছু কথা অবশ্যই আছে–
মুখ ফিরিয়ে না রেখে, মনোপুকুরে না পুষে
এসো ভাগাভাগি করি,
দিন-শেষে মুছে ফেলি মেঘলা ক্ষত।
কিছু দাগ, কিছু আঁচড়, কিছু কাটা-ছেঁড়া থাকবেই–
আমার পাশে না বসো
তার পাশে না বসো, কারো না কারো পাশে বসো;
তোমার পাশেও কাউকে না কাউকে টেনে নাও
তার সংগীতগুলো শোনো।
আকাশ কি বৃহৎ মহৎ? মোটেও না
মূলত, আকাশটা তার মেঘ ঝরিয়ে ফেলতে পারে বলেই
সে এমন নির্ভার ও বিশাল।
বকুল ফুলগুলো আর রইল না বকুল গাছে
চাঁদের গাত্র থেকে জ্যোৎস্না ঝরে গেল রাত্রি বাঁকে–
আলো-প্রসবিনী সূর্য আরোগ্যহীন ধুকছে মরণ রোগে…
সমুদ্রে নেই জাগ্রত-জাগরণী ডাক;
নদী কলতানে শুধু মুমূর্ষ আওয়াজ
সরব পাখির স্বরে অস্তগত মৌনতা;
কাগজের ফুলে ঠাসা নগর নার্সারি।
যাদের দেখেছি নিষ্ঠ সন্ন্যাসী রূপ
তারা সব নামকরা বড় যাদুকর!
তন্ত্র-মন্ত্র জব্দ করে নিয়েছে
সুরোলিত আকাশের সফেদ উঠান;
ছাতিম ফুলগুলো নেই আর ছাতিম গাছে।