ইমরান মাহফুজ

মৃত্যুমুখী পাখির সমাবেশ

বার পড়া হয়েছে
শেয়ার :

ইমরান মাহফুজের দুটি কবিতা ‘মৃত্যুমুখী পাখির সমাবেশ’ ও ‘দুঃখবোধের সমাজ’


মৃত্যুমুখী পাখির সমাবেশ

মা– দিন শেষে আমায় আর ডেকো না
রাতদুপুরে অশোকবনে পাখি নিয়েই থেকো।

খোদার কসম আমি মানুষ হতে পারিনি–
অথচ বাবা সেদিন লিখে দিলো প্রাপ্য সম্পদ
জন্মেই পেয়েছি ধর্ম
তাই কখনো হিন্দু বা খ্রিস্টান
কিন্তু মানুষ না!

মা– তোমার অযোগ্য সন্তান
আজ মৃত্যুমুখী পাখির সমাবেশে
নূপুর পায়ে শিশুর মতো
প্রার্থনা করছে– আনন্দ মৃত্যু!
তুমিও আঁচলের চাবি দিয়ে
খুলে দাও সিন্দুক– লাল হোক পৃথিবী!


দুঃখবোধের সমাজ

সত্য ও মিথ্যার সাঁকোতে চলছি তো চলছি। পরস্পরের চোখমুখ দেখে বিদ্বেষে ঠেকে বেদনার খাটে সঙ্গম শেষে ঘুমুতে যাই। কুসুমভোরে দুঃখ সন্তানের জন্ম হয়। নীলাকার দুঃখমাতা ঋতু বদলের পালা গুণে। বেদনাবিধুর আকুতি সুরে পাখিদের ডাক ভাগাভাগি করতে চায় শিল্পের ন্যায় সন্ধ্যাবোধ!

করুণ প্রতিবাদে পাখিরা জানায়– দুঃখবোধেরও আলাদা সমাজ আছে। মনুষ্য দুঃখের ন্যায় অনাবশ্যক হাহাকার করে না তারা। বেলা অবেলায় মিলে-মিশে থাকে। অনুরাগে ঝরাপাতা নিয়েও প্রার্থনা করে। অন্যদিকে অস্থির মানুষের দুঃখ কৃষাণীর উঠোনে চিটার মতো– এক কুলায় থেকে আরেক কুলায় ফিরে। সেই থেকে মানুষের দুঃখ ইস্ত্রিবিহীন জামার মতো কখনো গায়ে কখনো হেংগারে। অদল বদলের জীবন ভাসতে থাকে পদ্মপাতার মতো।


 

ট্যাগসমূহ

magnifiercrossmenu