হ্যাঁ আমরা নেশাসক্ত,
স্বাধীনতার নেশায় আসক্ত
মানুষের মতো বেঁচে থাকার নেশায়
সত্যকে সত্য আর মিথ্যাকে মিথ্যা বলার নেশায়।
অবশ্যই আমরা আসক্ত,
তা-না হলে কি কেউ আবার
দেশ বাঁচাতে নিজেকে উৎসর্গ করে বোকা!
এক বোটায় ঝুলে থাকা –
সিস্টেমের থেকে অধিকার বুঝে নিতে আসক্ত
কলঙ্কিত ও কুলুপধারীদের থেকে মায়ের সম্মান বাঁচাতে আসক্ত।
হে মহামান্য বোটার মালিক
আপনি তো জানতেন আমরা নেশাগ্রস্ত
তবুও কেনো আমাদের গুলি করে মারলেন?
দিতেন সামান্য প্রাপ্য, কিন্তু আপনি দিলেন না!
আপনি একবারও ভাবলেন না যে আপনিও নেশাগ্রস্ত
আর আমাদের নেশায় আপনি আজন্ম বুদ হয়ে আছেন।
এ-ই নেশাগ্রস্তদের ছাড়া কিন্তু অচল আপনি
কেননা আপনার বোটায় রসের জোগান দিতে হলে-
আপনি আমাদের হাড্ডি মাংস-ই আয়েশ করে খান,
তারপর যথাক্রমে
পোষ্য শুয়োর
রক্ষণশীল কুকুর
ও বুদ্ধিজীবী পেঁচা
সকলকে আপনি ভাগাভাগি করে চোষান, আমরা তো চুষতে চাইনি!
আমরা চেয়েছিলাম সামান্য প্রাপ্য, যা আমাদের কিছুটা দুঃখ লোপ করতে পারতো
কিন্তু আপনি দিলেন না আমাদের অধিকার,
বদৌলতে প্রাপ্য হিসেবে দিলেন বুকের ভেতর, মুখের ওপর বারুদ ও গলাকাটা খোন্তা।
আপনি আমাদের রক্তের নেশায় আসক্ত
আর আমরা অধিকার এর দাবিতে আন্দোলনরত,
আমাদের মাথানত আছে শুধু নারীর সম্মানার্থে
নিচু স্বরে কথা বলছি দেখে ভাববেন না আমরা মারা গেছি।
আমাদের হিংস্র করলে কি হয় তা আপনি যুগভালে জানেন
যুদ্ধের দামামা বাজার আগে বললাম, গাঙ সাঁতরে পালাও।
তবুও জেনে রাখুন হিপোক্রেসির মা,
ফলনহীন গাছকে যেমন কেউ ভালোবাসে না
কিন্তু একটি চারাকে সকলেই ভালোবাসে ও যত্ন নেয়,
আমরা সেই চারা আর আপনি ফলনহীন গাছ
এখন আপনার বোটায় শুধুই রক্ত আর থলিতে জমা গোবর।
এসবের পরে-ও আমরা ভয়াল নেশাসক্ত
এখনো ফিরতে চাই ঘরে, বক্ষে নিয়ে যুতসই অধিকার
গড়তে চাই সবুজের মতো সহজ কোমল মাটির শস্যদানা
খুন নয়, জীবনের পাশে জীবন থাকবে এমন প্রেমিক সেনা।
২০ জুলাই ২০২৪
আল নার্জিস, রিয়াদ