কাঁদো কাশ্মির কাঁদো, কাঁদো; প্রার্থনার মতো কাঁদো, আর
বুক চিত করে ধরে রাখ সূর্যের দিকে—
যতটা জখম আসে গ্রহণ করো হাসি মুখে
যতটা ক্ষত আসে মেনে নাও নীরব শর্তে,
রক্ত জমতে দিও না, শুকতে দিও না, গড়িয়ে যেন যায়
রক্তোচ্ছ্বাস যেন হয়
ঘরে ঘরে যেন অন্তত একজন ভেজা থাকে লহুতে—
স্বাধীনতা সহজ নয়, স্বাধীনতা অধরা নয়
স্বাধীনতায় রক্ত লাগে, প্রচুর রক্ত লাগে
কান্না লাগে যুগ-যুগের।
বুকের কাছে বর্ম দিও না, উদাম বুক পেতে দাও
উন্নত অস্ত্রের মুখে
একটি পাঁজর ঝাঁঝরা হলো মানেই হলো— এক পা
এগিয়ে গেলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দিকে
একটি দেহ রক্তাক্ত হলো মানেই হলো— একটি রেখা
অঙ্কিত হলো মানচিত্রের জন্যে;
রক্তের বিকল্প নেই কাশ্মির, রক্ত দাও
স্বাধীনতা, সে বড় রক্তপ্রিয়— তার জন্য রক্ত লাগে
ট্র্যাজেডি লাগে, আর্তনাদ লাগে।
পৃথিবীর ইতিহাসে চোখ দাও, দ্যাখো
রক্ত ও ট্র্যাজেডির উপর দিয়েই ভেসে ভেসে এসেছে
স্বাধীনতা নামক মুক্তির জাহাজ।
কাঁদো কাশ্মির, কাঁদো; প্রার্থনার মতো করে কাঁদো,
আর বুক চিত করে ধরে রাখ সূর্যের দিকে—
সুলতানা, তোমার উঠানে ঘাস নেই।
পাথর লাগিয়েছ কবে?
দুই একটি ঝর্ণা ছিলো, নদীর বেণীতে যাওয়ার
নালাও ছিলো— ভরাট করলে কবে?
কংক্রিটের দেয়াল দিয়েছ চারপাশে
রাধাচূড়াগুলো তুলে রোপণ করেছ মেহগনি।
জোড়া ভ্রু ছিলো তোমার
প্লাক করে এঁকেছ ডারউইন
বাহুতে, বাজুতে উল্কি নিয়েছ পরে
কাঁকনের শব্দ নেই, নিঃসাড় আঙিনা!
গাউনে বেমানান— তা বলছি না
শাড়িটা ছেড়েছ কবে?
কামিজে দেখেছি মঞ্জুলতার মতো, কামিনী ফুলের মতো
টি-শার্টে নিয়মিত এখন।
সুলতানা, তোমার চুলে জবাফুল গোঁজা নেই।
বয়কট করেছ কেন!
নেবুর যে বাগান ছিলো উঁচু জমিতে, সেখানে
কারখানা খোলার দরকার ছিলো কি!
বাসের হর্ণ বাজিয়ে কোথায় যাও সুলতান…
কোথায়?